ছোটগল্প - তাপসকিরণ রায়





ছোটগল্পঃ

বৃদ্ধ বুকের ছেঁড়া স্মৃতি 
তাপসকিরণ রায়



বৃদ্ধের বুকের ছেঁড়া স্মৃতি। সময়ের পর্ব তাঁকে নিয়ে এসেছে সায়াহ্নের শেষে। সময়ের পথ অনেক দূর গুটিয়ে এসেছে। জীবন তো সততই এমনি ধারায় বয়ে চলে। 

রমেন বাবু বার্ধক্যের ভারে নতজানু। আজকাল তাঁর চলাফেরা করতেও কষ্ট হয়। তবু মর্নিং ওয়াক না করলে তাঁর চলে না। এ যে ছোট বেলার অভ্যাস। জীবনের অনেক অভ্যাসই ছুটে গেছে তাঁর, শুধু এটাই এখনও ধরে রেখেছেন। তবে আর কত দিন, কে জানে !

সকালের অন্ধকার ছেঁটে যাচ্ছিল। ঊষার নরম আলো এখনও ভালভাবে ফুটে উঠতে পারেনি। সব নগর শহরের একই হাল, আকাশ ছোঁয়া অট্টালিকার ভরমার। সে সব বাধা পেরিয়ে সূর্যদেব বড় লেটলতিফ হয়ে পড়েন। মানে ঊষাকাল কাটিয়ে ভোর ছাড়িয়ে তারপর সূর্যদেব তার আগুন লাল আলো ছড়িয়ে থাকেন এ সব ঘর বাড়ি আকাশচুম্বী অট্টালিকার ফাঁক ফোঁকর গলিয়ে। 

রমেন বাবু উঠে পরেছেন। খোলা হাওয়ায় শরীরে হাওয়া খেলানো পোশাক গলিয়ে তিনি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছে। এমনি তে আজকাল তাঁর অবাধ গতি, ছেলে বউ বাধা দেয় না। আগে স্ত্রীর বেশ আপত্তি থাকত, বলত, এত সকালে বেরিয়ো না গো, সকালের ঠাণ্ডাটা গায়ে লেগে যাবে। কিম্বা মেজাজ খারাপ থাকলে হয় তো বলেই বসত, একদিন তোমার মর্নিং ওয়াকে না গেলেই নয় ! 

বাধা দেবার আজ আর কেউ নেই। রমেন বোঝেন, জীবনের বাধা নামক বস্তুটার যৌক্তিকতা আছে। বাধার পরের ছাড় পাওয়ার আনন্দ যেন অন্য রকম ! অনেকটা ছোটদের মত, ঘরের মধ্যে বন্ধ থাকার পর ছুট পাবার আনন্দ যেমনটা ! রমেন ছোট বেলায় দেখেছেন, সারারাত গোয়ালে বাঁধা গরুগুলি যে দিন সকালে বেলা করে ছুট পেত, তাদের পায়ে ছুটে যাবার ছন্দই যেন থাকত আলাদা !

পথ চলতে চলতে অসীমের সঙ্গে দেখা। রমেনের বাল্যের বন্ধু অসীম। পার্কের বেঞ্চিতে তাঁরা বসলেন। পাঁচজন বসার জায়গা বেঞ্চিতে। ওঁরা দুজন আর একটা ছেলে বসে আছে বেঞ্চির অন্য কোন ঘেঁষে। 

আকাশের দিকে তাকালেন রমেন। সকাল থেকেই আজ মেঘের ঘটা। কালো সাদা ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ। এখন হাওয়া দিলেই ওরা ছুটো ছুটি করে বেড়াবে। ধাক্কাধাক্কি করে বৃষ্টি নামাবে। 

-কি ভাবছ ? 

অসীমের কথায় রমেনের ভাবনা ভাঙ্গল, বৃষ্টি আসতে পারে - এখন উঠবো কি না ভাবছি...

- আরে, আর একটু বস না...দুটো কথা বলা যাবে খন ! 

- শেষে ভিজতে হবে না তো ?

- একটু ভিজলে হবেটা কি ?

- না, এখন আর ভেজাভেজি সহ্য হয় না ! বয়সটা তো আর কম হল না...দিনে দিনে শক্তি ক্ষয় হয়ে চলেছে। 

রমেন ও অসীমের হঠাৎ চোখে পড়ল, সামনের দিক থেকে একটা মেয়ে হনহন করে হেঁটে আসছে। সাদাসিধা, সুন্দর মুখশ্রীর একটি মেয়ে। দেখলেই মনে হচ্ছিল চিন্তায় সে জর্জর — কিছুটা আলুথালু বেশভূষা ও কেশ সজ্জা। স্পষ্ট দুঃখের একটা ছাপ তার মুখমণ্ডল ছেপে আছে। পাশের বসে থাকা ছেলেটা যেন স্বাভাবিক থেকে অনেকটা উত্তেজনা নিয়ে উঠে দাঁড়ালো। মেয়েটা সোজা এসে ছেলেটির মুখোমুখি হল। চট করে ও বৃদ্ধ দুজনের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলো, মনে হল চেনাজানার মধ্যে কেউ কিনা একবার তা নিরিখ করে নিলো। 

- তুমি জান, কালকে আমার বিয়ে...আমদের আজ পালিয়ে যাবার কথা — আর তুমি এখানে...

- কি করব, বল তোমার বাবার তো আমায় পছন্দ নয়, কোন চাকরি করি না যে তোমায় নিয়ে পালিয়ে যাবো। ছেলেটিকে অনেকটা নির্লিপ্তের মত মনে হল। 

- তোমায় বলেছি, টাকা পয়সা গয়নাগাটি আমি নিয়ে আসবো। তুমি শুধু কখন-কোথায় যাবে ঠিক কর। 
ছেলেটির মুখে ভয়ের ছায়া পড়ল। সে যেন আঁতকে উঠে বলে উঠলো, সে হয় না অঞ্জলী, আমি চোরের মত পালিয়ে যেতে চাই না। 

রমেন, অসীম চুপ করে ছিলেন। ওঁদের কানে সব কথাই আসছিল। প্রেমিক-প্রেমিকা ওদের বর্তমান পরিস্থিতির চাপে পড়ে স্থানকালপাত্র ভুলে গেছে হবে। 

পাশের বৃদ্ধ দুজনের কানে ওদের কথা যাচ্ছে সেটা ওদের ভাবনার বাইরে রয়েছে। অবশ্য এটাও হতে পারে যে ওরা এই বুড়োদের তত গ্রাহ্য করছে না। কারণ ওরা জানে অজানা এই বুড়োদের জানায়, না জানায় কিছু আসে যায় না। 

এক সময় বৃদ্ধেরা দেখলেন মেয়েটি ভীষণ রেগে পা দাপাতে দাপাতে চলে গেল। ওঁরা চুপ করে কিছু সময় বসে রইলেন। এমনি পার্কে বসলে অনেক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকতে হয়। 

না, দেরী হয়ে যাচ্ছে, ঘরে ফিরতে হবে, রমেন উঠে দাঁড়ালেন। মেঘ সরে গিয়ে কখন যেন রোদ উঠেছে, রোদ বড় চড়া মনে হচ্ছে, বুড়ো চামড়ায় বড় লাগে। রোদ মাথায় কিছু সময় থাকলেই আজকাল মাথা ধরে যায়। ঘরে মাথা টেপার জন্যে অবশ্য নাতি নাতনিরা আছে । মাথা ধরেছে শুনলেই ঘরে থাকলে ওরা এসে মাথা টিপতে লেগে যায়। দিয়েছে, বউ থাকা কালীন সেও মাথা টিপে দিয়েছে। তবে তা হাজারটা কৈফিয়ত নেবার পর, বলি , রোদে ঘুরবে না--তবু ধেই ধেই করে উনি ঘুরে বেড়াবেন !

- কোথাও তো যাই নি...শুধু মর্নিং ওয়াক — মিয়ানো গলায় বলতেন রমেন। 

- ওটাই কাল হয়েছে, ফিরতে ফিরতে তো আর মর্নিং থাকে না...

পদে পদেই ছিল স্ত্রীর শাসন। শাসন, বাধা ভাল, কিন্তু তা সময় কাল বুঝে হওয়া উচিত !

মনে পড়ে, রমেন বাবুর তখন মনে বসন্ত ভাবের জাগরণ ঘটছিল। সব কিছুর মধ্যেই একটা ভালবাসা, ভালোলাগার মেজাজ ছিল। নীলাকাশ, সবুজ বনভূমি, ফুলের শোভা, রাতের চাঁদ তারা সব কিছুর মধ্যেই তখন ভাল লাগার আমেজ খুঁজে পেতেন । 

এমনি দিনের এক চাঁদনী রাতের কথা তাঁর মনে পড়ে গেল। তখনও দেশের বাড়িতে তিনি, কলেজে প্রবেশের দিন গোনা চলছিল। কদিন ধরে গ্রামের সাদাসিধা ছেলেটা খুব বাঁশি বাজাচ্ছিল। যদিও তার সুরে এলোমেলো ভাবটাই ছিল বেশী। তবু মাঝ রাতের বাঁশি মনের গভীরে কেমন যেন ভাষার সৃষ্টি করে ! মনে হয় আমি নেই, বসন্ত এসে গেছে, এমনি ধরনের গানের কথা খুব করে মনে পড়ে। সে দিনের ঘোলাটে রাতে রমেন জঙ্গল ঝোপ ঝাড় পেরিয়ে মাঠের আল ভেঙে সেই ঝাঁকড়ানো ছাতিম গাছের কাছে চলে গিয়ে ছিলেন। আবছা অন্ধকারে তিনি দেখলেন, মদন ছাতিম গাছের গোড়ায় বসে আছে। কিছু সময় আগে তার বাঁশি থেমে গিয়ে ছিল। কিন্তু বাঁশির রেশ মনে মনে তখনও চলছিল, আরও একটু এগোবার আগেই রমেনের কানে এক মেয়েলি কণ্ঠ এসে ঠেকল। 

- আমি তোমায় ছাড়া বাঁচুম না মদন, চল আমরা কথাও পালায়ে যাই...

- কি খাওয়ামু তরে ? আমার চাল চুলা কিছুই যে নাই...

- তবে আমারে কাছে ডাকছিলা কেন্ ? তীক্ষ্ণ কণ্ঠ বেজে উঠেছিল মেয়েটির গলায়। 

মদনের গলার হাল্কা হাসির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। মনে হল, ওই হতচ্ছাড়ার কাছে মেয়েটির কোন মূল্য নেই। বস্তুত মদন এক ছন্নছাড়া যুবক, দিনভর গ্রামে এর ওর ঘরে কাজকর্ম করে যা পায় তা দিয়ে ও আর ওর রোগে শয্যাশায়ী মার কোন মতে পেট ভরে। লেখা পড়া পাঁচ ক্লাস অবধি। তাও পাস করেনি। কিন্তু ওই একটা নেশা আছে তার, ছোট্ট বেলা থেকে বাঁশিতে ফুঁক দিতে দিতে নিজের মত করে কিছু সুর সে আয়ত্ত করেছে। রাতের খাওয়া সেরে সে নাকি এই ছাতিম তলায় এসে বাঁশি বাজায়। নিথর রাতে বাঁশির কাঁপন সুরে এক দিন এ মেয়েটা ঘর ছেড়ে মদনের কাছে আসা শুরু করেছিল। আর একদিন সে সত্যি মদনকে ভালবেসে ফেলেছিল । কিন্তু মদন, সে তো নিজের মনের টানে বাঁশি বাজায়...সে তো রাতের নিরালায় বসে চাঁদ তারার শোভা দেখে, বুকের স্বপ্নে ভেসে এক আলোকিত কল্পনায় ঘুরে বেড়ায়। কখনও নিজেকে সে অনাথ বালক, কখনও রাজপুত্র ভেবে নেয়, আবার কখনও স্বয়ং নিজেকে সে কৃষ্ণ ভেবে আনমনে বাঁশি বাজিয়ে যায়। সে বাঁশির ফাঁসে বাঁধা পড়ে যমুনা। রাতের বাঁশির সুরে সেও নিজেকে ভুলেছে... ছাতিমের তলে গিয়ে সেও একদিন অজান্তেই মদনকে ভালবেসে ফেলেছে। কিন্তু মদন ? সে কি জানে, ভালবাসা কারে কয় ? কতটা তা যাতনাময় ? তার মনে সে গভীরতা নেই--ভাবের তাড়নায় সে তাড়িত মাত্র--বাঁশির সুরে সে ভেসে যায়--প্রকৃতিতে মিশে যাওয়া রঙের মানুষটার সকালে যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখে তার চার পাশের কঠিনতা, পেটের খাই ভরার চিন্তায় তাকে নামতে হয় কঠোর বাস্তবতায়। 

--না, না, না, আমি জানি না, তুমি আমারে লইয়ে পালাও। 

হাসে মদন, কুথায় ?

যেখানে পারো--এ গ্রাম ছাইড়া অনেক দূর--যেখানে আমার হিংস্র বাবা থাকবে না--

রমেনের কানে আরও একবার মদনের ম্লান হাসির শব্দ এসে ঠেকল। 

যমুনা খুব রেগে গেছে, এবার সে সোজা হয়ে দাঁড়ালো, ডুকরে কেঁদে উঠলো, এ আমি কোন পাষাণরে ভালবাসছি ঠাকুর ! তারপরই রাগে দুঃখে শরীরে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে মদনকে বলে উঠলো, আমি তবে আজই মরুম--কাইল সকালে তুমি আমার মরা মুখ দেখবা ! আর দাঁড়ায় নি যমুনা--সা সা করে অন্ধকার ঠেলে সে ঝড়ের বেগে দূরে মিলিয়ে যায়। 

রমেনের মনটা কেমন যেন করে উঠলো, যমুনার জন্যে মনটা তার বড় গুমট হয়ে গেল। যমুনা ধনী ঘরের মেয়ে। ওর বাবা অর্থের গরিমায় মাটিতে পা ফেলতে চায় না। 

ধীরে ধীরে ছাতিম তলা থেকে ফিরছিলেন রমেন। মনে মনে ভাবছিলেন, কে জানে যদি যমুনা সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করে ! কি ভাবে সে আত্মহত্যা করতে পারে ? গলায় ফাঁস লাগিয়ে, নাকি জলে ডুবে ? তবে জলে ডুবে মরবে কি করে ? ও তো ভাল সাঁতার জানে। 

ধীর পদে যমুনাদের বাড়ি পাশ কাটিয়ে হাঁটছিলেন রমেন। সামনেই এক দিকে যমুনাদের বড় দীঘি। ঘাট বাঁধানো জলাশয়। গভীর জলাশয়। এ দীঘির জলে ডুবে নাকি এ গ্রামের অনেকে মারা গেছে। আর এখানে ভূতের উপদ্রবও নাকি আছে ! 

রমেন সতর্ক হলেন, ভুতের ভয় তাঁর আছে। মনের হোক, আর বনের হোক, ভুতের ব্যাপারে তিনি দুর্বল বলতে হবে। কিছু করার নেই--দীঘির পারের রাস্তা ধরেই তাঁকে ঘরে যেতে হবে। 

হঠাৎ তাঁর কানে ঝপ, একটা শব্দ এলো। কেউ মনে হল জলে নাবল—কিম্বা ঝাঁপ দিলো ! মনটা কেঁপে উঠলো তাঁর। এ আবার ভূতের ব্যাপার স্যাপার নয় তো ! পরক্ষণেই তাঁর মনে হল, আচ্ছা, যমুনা মরার জন্যে জলে ঝাঁপ দিল না তো ? ধুর, তা কি করে হবে--যমুনা তো সাঁতার জানে। তা হলে নিশ্চয় কোনও ভৌতিক ব্যাপার হবে। তাড়াতাড়ি পা চালালেন তিনি। কিন্তু তখনও শব্দ হচ্ছে পুকুরে--একটা অস্ফুট চীৎকার, গোঙানি...

না, না, আর সাহস নেই রমেনের, বাড়ির দিকে দৌড় লাগলেন তিনি। মাঝ রাতের নিঃশব্দ ঘর--নিজের শোয়ার ঘরে ঢুকে মনের দিক থেকে কিছুটা সাহসী হয়ে উঠলেন। বারবারই তাঁর মনে হতে লাগলো, যমুনা আত্মহত্যা করেনি তো পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে ! কিন্তু...

যমুনার সুন্দর মুখটা বারবার তাঁর মনে ভেসে আসছিল। এমন মায়াময়ী মেয়েটিকে মদন ছেড়ে দিতে পারল? কিন্তু মদন তার উপযুক্ত ছিল না এ কথা ঠিক। রমেনের মনে এ কথাও একবার উঁকি মেরে গেল, আচ্ছা যমুনা যদি রমেনকে ভালবাসত ? তা হলে রমেন নিশ্চয় ওকে বিয়ে করে নিত। আচ্ছা, এমন যদি হত যমুনা তার কাছে এসে বলত, রমেন দা, তুমি আমায় বাঁচাও ! তা হলে রমেন কি করত ? রমেন কখনও যমুনাকে ফিরিয়ে দিতে পারত না, যমুনাকে সে বিয়ে করে নিত। 

আচ্ছা লোকজন ডেকে দীঘির ঘাটে একবার দেখতে গেলে হত না ! অথবা যমুনার বাড়ির লোকদের সতর্ক করে দিলে ! সে দিনের ভাবনা, ভাবনাই থেকে গিয়ে ছিল। ঝিম তন্দ্রায় এসব ভাবতে ভাবতে কখন যেন ঘুমিয়ে গেলেন রমেন। 

পরদিন সকালেই সব উজাগর হল--যমুনা সত্যি জলে ডুবে মারা গেছে। গলায় কলসি বেঁধে সে জলে ঝাঁপ দিয়েছিল।

রমেন বাবুর ভীষণ অনুশোচনা হচ্ছিলো। তিনি যদি সে দিন সঠিক আন্দাজ করতে পারতেন...

মদন খুব কেঁদে ছিল। সে হাউ হাউ করে কেঁদে ছিল। যমুনার বাবা খুব পিটিয়ে ছিল ওকে। ওদের ভালবাসার কথা সবাই জেনে গিয়েছিল। পুলিশ এসে মদনকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল।

আজ অনেকদিন পরে ঘটনাটা রমেনের মনে পড়ে গেল। তাও পার্কে বসে সেই প্রেমিক যুগলের কথোপকথনের ব্যাপারটার পরেই। রমেন বাবুর খুব খারাপ লাগছিল। মনে হচ্ছিল, আচ্ছা, আজের নায়িকাও কি আবার যমুনার মত আত্মহত্যা করবে ?



0 মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন