সম্পাদকীয় - ফেব্রুয়ারী ২০১৬




সম্পাদকীয় - ফেব্রুয়ারী ২০১৬
 
বইমেলাতে জানি অসংখ্য পত্রিকা প্রকাশ হয়। বেশ তো। তারই সঙ্গে প্রকাশ হোক চিলেকোঠা ওয়েবজিন। চিলেকোঠার আগের সম্পাদকীয় ঘিরে যে আলোচনা হয়েছিল, তা থেকেই বোঝা যায়, আমাদের শুরুয়াৎ ভালোই। এবার পাশে পাশে থেকে এগিয়ে চলা।

শীত এবার তেমন আশা পূরণ করল না বাঙালির। সব তো সমান যায় না। কিন্তু চিন্তা, আগত গ্রীষ্মের চড়া ভ্রূকুটি না সহ্য করতে হয়। অবশ্য, মানুষ নিজেই তো তার ধ্বংসের বীজ বুনে চলেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মে, এবং সব জেনেশুনেও, আজও।

ফেসবুকে কত অদ্ভুত রঙ্গ-ব্যঙ্গ-তামাশার ছবিছাবা চোখে পড়ে। একটা বেশ লাগলো তার মধ্যে, পোস্টারে লেখা, পরিবেশ বাঁচাতে চাইলে লেখকেরা কলম ত্যাগ করুন, ছাপাখানা চলবে না, কাগজের দরকার ফুরোবে, গাছ কাটা হবে না আর...

কী সহজ যুক্তি। তাই না?  

যিনি বানিয়েছেন এই পোস্টার, হায় রে, হয়তো শোনেননি আমাদের মতো ওয়েবজিন বা ব্লগে, অনলাইনে লেখালিখির কথাবার্তা।

কবিতা - শমীক জয় সেনগুপ্ত



আত্মমেহন সোমত্ত সকালের কথা
শমীক জয় সেনগুপ্ত

ঘুম ভেঙে গেলে খুব ভোরে
 আমাকে আঁকড়ে ধরে প্রগাঢ় আলসেমি
নিকোটিনে ভোর আসে কুয়াশার চাদর সরিয়ে
 প্রতিটি পিরিত জানে পীড়িতের মর্মদহন!
আকাশের ফিলটারে জ্বলে ওঠা পোড়া বিবস্বান
 আত্মমেহতে তুমি পুড়ো,
ফাউয়ে পাওয়া বারো চাটা কামদেব খুঁজো-
 আসমানি ফিলটারে মন টেনে হ্রাসপ্রাপ্ত হবে
 আবক্ষ নিকোটিন,
 আমাদের কবোষ্ণ সকাল
 কুয়াশা সরিয়ে দিয়ে ধোঁয়া মেঘে
আকাশটা ভরে দিয়ে যাবে

কবিতা - অনুপম দাশশর্মা



দুঃসময়
অনুপম দাশশর্মা

দুঃসময় শুধু নারকীয় হত্যায় থিতু নয়
অনুভূতিহীন নির্দায় গড্ডালিকার প্রবাহেও নয়
এই দুঃসময় ছেয়ে আছে শিশিরবিহীন কুয়াশা বুকে

প্রতিদিন ফাঁকা মাঠ খোলা আকাশে
শুভ্র বলাকা খোঁজে,
ব্যস্ত রাজপথ, পেট চাপা ভিখারির কান্না
মিলিয়ে যায় ধুলোর চাদরে

চড়ুইভাতি করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে রংচটা ধর্না
'
বেশ আছি' যারা হাবেভাবে বোঝায়..
সমাজ তাদের যেন অখন্ড জমি

অপেক্ষা প্রতিধ্বনিত হয় গেরুয়া সকালে
কে বলতে পারে কথা বলে উঠবে না
মৃত জ্যোৎস্নার কবরস্থ মমি !