সাক্ষাৎকার - কবি জয় ভট্টাচার্যের মুখোমুখি



সাক্ষাৎকার
কবি জয় ভট্টাচার্যের মুখোমুখি পিয়ালী মজুমদার

ওয়েবজিনের পক্ষ থেকে যেদিন জানলাম জয়দার সাক্ষাৎকার নিতে হবে আমাকে, এক কথায় মহানন্দে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম কারণ সাক্ষাৎকার নামক একটি আপাত-গম্ভীর আলাপচারিতার মোড়কে দারুণ একটা আড্ডার সম্ভাবনা উঁকি দিয়ে গিয়েছিল মনে জয়দাকে তো আপনারা সবাই চেনেন চিলেকোঠার দীর্ঘ পথ চলার সাক্ষী, প্রিয় কবি, যে কোনও আড্ডা কিংবা আলোচনার মধ্যমণি দাদা এবং বন্ধু আমাদের, জয় ভট্টাচার্য তারপর, এক ঘরোয়া বৈঠকে মুখোমুখি জয়দা আর আমি সঙ্গী আরও কয়েকজন, কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
প্র:- জয়দা, কিছুদিন আগে চিলেকোঠায় কবিতা বিষয়ক একটি পোস্টে তোমার অনবদ্য একটি বিশ্লেষক মন্তব্য চোখে পড়ল, সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই সেটি প্রথমে
"কবিতা কি ? কেন ? (৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য)
বৈচিত্রময় এই প্রকৃতির প্রাণীজগৎও বড়োই বিচিত্র। এই পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীজাতির ন্যায় মানুষও মনে করে এই পৃথিবীতে জ্ঞানে বুদ্ধিতে শক্তিতে এবং সৃষ্টিকর্মে তারাই শ্রেষ্ঠ। তার পরেই গোল বাঁধে। সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক নিষ্পেষণে জাঁতাকলে আটকে, প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতে, প্রেমিক/প্রেমিকার লাথি খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে শোকে মুহ্যমান মানুষ গুলোর দশা আক্ষরিক প্রকৃত অর্থে বড়োই করুণ। শুরু হলো, তাদের কল্পনার মনোময় জগৎ-এর সাথে নিষ্ঠুর কঠিন বাস্তবের সংঘাত। তারা মনে মনে চায় এক রকম, আর হয় অন্য কিছু। পদে পদে ঠোক্কর খেয়ে ভেঙে পড়ে। গ্রাস করে এক গভীর বিষাদ। হারিয়ে ফেলে মানসিক ভারসাম্য। কিছু বিচক্ষণ বুদ্ধিমান মানুষ মনের এই অস্থিরতা বিষণ্ণতাকে মানিয়ে নিতে শিখে যায়। যারা পারে না, তারাই হারিয়ে যায়, হেরে যায়। যখন তাদের কিছুই করার থাকে না, যখন তারা যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে অক্ষম, তখন তারা বদ্ধ ঘরে বসে কলমের সাহায্য নিয়ে একটা সাদা কাগজের ওপর কয়েকটা শব্দ নিয়ে আঁকিবুকি কেটে চলে আপন মনে... যে খ্যাপামির পোশাকি নাম কবিতা।"
প্র:- অসাধারণ একটি বিশ্লেষণ। এর সূত্র ধরেই জানতে চাইব, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে কবিতা কীভাবে রেখাপাত করেছে? কী সম্পর্ক কবিতার সাথে তোমার অন্তর্গত সত্তার, যদি বল আমাদের....
জয়দা:- প্রথমেই বলি, আমি নিজেকে কবি বলে ভাবতে পারি না, এখনও অবধি। আমি মূলত: একজন অভিনেতা। অভিনয় করার সুবাদে কিছু আবেগ, অনুভূতি, যেগুলো অভিনয়ের সময় অনেক সময় প্রকাশ করতে পারিনি, সেইগুলোকেই পরবর্তীকালে আমি কবিতার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করতে চেয়েছি। কবিতা কবে আমাকে প্রভাবিত করেছে সেটা পরিষ্কার মনে নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, প্রথম প্রেমে পড়ার পর থেকেই কবিতা লেখার শুরু। আমার স্কুলজীবনে, প্রায় তিরিশ বছর আগে। যে কবিতাগুলো ভালো লাগতো, তার মধ্যে অবশ্যই ছিল রবীন্দ্রনাথের কবিতা।
প্র:- কিন্তু এখন তো আমরা তোমায় প্রেমিক কবি হিসেবেই পাই। যেমন, কবিতার লাইন তুলেই বলি; "তুমি আমাকে স্বপ্ন দাও, আমি তোমাকে কবিতা লিখব"... এই বিষয়টাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবে? প্রেম কীভাবে ধরা দেয় তোমার লেখায়?
জয়দা:- এটাকে ব্যাখ্যা করতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে যে, এর জন্য ফেসবুকের একটা বড় অবদান আছে। দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর ২০১১ সালে, এখানে আসার পর দেখলাম সকলেই কিছু না কিছু ছবি, জোকস কিংবা স্টেটাস আপডেট দিয়ে অ্যাকটিভ থাকার চেষ্টা করে। আমার মনে হল, খুব অল্পবয়স থেকেই কবিতা বিষয়টা আমার ভেতর ছিল এবং চেষ্টা করলে আবার শুরু করা যেতেই পারে। সেই থেকেই সূত্রপাত। আর  বিষয়বস্তু হিসেবে প্রেমকেই বেছে নিলাম কারণ লেখার ক্ষেত্রে মানুষ তেমন লেখার দিকেই বেশি আকৃষ্ট হয়, যদি লেখাটা হয় প্রেমের।
প্র:- আচ্ছা, তাহলে এটাকে তোমার এক ধরনের স্ট্র্যাটেজি বলতে পারি?
 জয়দা:- হ্যাঁ, বলতেই পারো। কিন্তু বিষয়টা আমার কাছে তার থেকেও বেশি ভালোলাগার এবং ভালোবাসার। কারণ, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই একটা প্রেমিক সত্তা থাকে।
প্র:- তুমি শুরুতে বললে, ব্যক্তিগত কিছু অনুভূতি যা অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করতে পারোনি, সেই সবই কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা কর। আবার পাশাপাশি এটাও বলছ, ফেসবুকের কিছু মানুষের কাছে নিজের লেখাকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্যই তার মধ্যে প্রেমের অবতারণা কর। এই দুইয়ের মধ্যে কোনও সংঘাত সৃষ্টি হয় না?
জয়দা:- আমরা যখন অভিনয় করি, শিক্ষার্থী যারা, তারা জানি যে, যে কোনও সময়, এবং পরিবেশে হঠাৎ করেই যে কোনও জায়গা থেকে আমাদের শুরু করতে হতে পারে। সংলাপ, প্রপস সবকিছুই বলে দেওয়া হবে, কিন্তু হলভর্তি দর্শকের সামনে পারফর্ম করতে হবে আমাকেই, নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকে দূরে সরে গিয়ে। অভিনয়ের থেকে লেখার জায়গাটা হয়ত অনেকটাই ভিন্ন, কিন্তু সেই জায়গাটা আমার যেহেতু রপ্ত করা, তাই আমি কোথাও যেন লেখার মধ্যেও অভিনয়টাকে নিয়ে আসতে পারি। যে মুহুর্তে লিখছি, সেই মুহুর্তে বিশেষ কোনো স্পার্ক কিংবা অনুভূতির মধ্যে না থেকেও। কাজেই সংঘাতের কোনও জায়গা তৈরি হয় না সেভাবে
প্র:- প্রিয় কবি-সাহিত্যিক কেউ আছেন, যাঁকে আইডল মানো?
জয়দা:- এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলা খুব প্রয়োজন, নয়তো নিজেকে অসৎ মনে হবে। আমি কিন্তু একদম কবিতা পড়ি না। লোকে শুনলে অবাক হবে, কেউ কেউ রেগেও যাবে হয়তো। কিন্তু এটা সত্যি। যখন লিখতে বসি, নিজেই কিছু লেখার চেষ্টা করি। বিশেষ কোনও কবি কিংবা ধরনকে অনুসরণ করি না। আইডল বলতে তাই সেইরকম কেউ নেই।
প্র:- ছোটবেলার কোনও বিশেষ স্মৃতি?
জয়দা:- আমার ছোটবেলা কেটেছে মূলত খেলার মাঠে। শুধু ছেলেবেলা নয়, যৌবনও কেটেছে। খেলা খেলা করে পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বাবা-মায়ের কাছে প্রচুর বকা খেতে হয়েছে এবং পুঁথিগত পড়াশোনাও শেষ হয়নি। তার প্রভাব পরবর্তী জীবনে পড়লেও এখন আর সেইসব নিয়ে ভাবি না। তবে সেই সময়, কৈশোরে পা দেওয়ামাত্র একটি প্রেম হয়েছিল। কয়েক মাসের সম্পর্ক। স্কুলজীবন শেষ হওয়ার সাথে সাথে সেই সম্পর্কও শেষ হয়ে যায়। তার প্রভাব অনেকদিন ছিল মনের মধ্যে। পরবর্তীকালে, সেও অল্প বয়স থেকেই; আমার বর্তমান সহধর্মিণীর সঙ্গে সম্পর্ক, আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা। তিনি আমার দ্বিতীয় প্রেমিকা, বর্তমান প্রেমিকা। আশা করি ভবিষ্যতেও থাকবেন।
প্র:- আমরাও এমনটাই চাই, বাকি জীবনটাও সুন্দরভাবে কাটিয়ে দাও একসাথে। একটা কথা খুব জানতে ইচ্ছে করছে। তুমি এবং তোমার সহধর্মিণী, আমাদের প্রিয় এণাক্ষীদি, তোমরা দুজনেই কবি। কবিতার কোনও ভূমিকা ছিল এই সম্পর্ক গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে? আজও কি আছে?
জয়দা:- আমার তবু লেখার সামান্য অভ্যাস ছিল, তিনি কবিতা পড়তে ভালোবাসতেন, পড়েছেনও আমার চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু লিখতেন না। অনেক পরে লেখা শুরু করেছেন। তাই কথা বলতে পারি, কবিতাকে কেন্দ্র করে আমাদের সম্পর্কের সূত্রপাত নয়। বর্তমানেও কবিতা আমাদের দুজনের মধ্যে থাকলেও, সেভাবে সম্পর্ককে প্রভাবিত করে না
প্র:- তোমার জীবনের বিশেষ স্মরণীয় মুহুর্ত?
জয়দা:- আমার দ্বিতীয় প্রেম। এবং অবশ্যই আমার জন্ম। সেটা না হলে তো জীবনটাকেই বোঝা হত না।
প্র:- আর জীবনের কোনও আক্ষেপ? না পাওয়ার কি কিছু বাকি রইল?
জয়দা:- একটা বড় আক্ষেপ রয়েছে। আমাকে মানুষ খুব সহজে ভুল বোঝে।  একটা সময়ে একটা অন্তরঙ্গতা তৈরি করে মানুষ, আবার কিছু সময় পার করে নিজেরাই সেটাকে ভাঙতে চেষ্টা করে। এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। আর না পাওয়ার কথা যদি বল, তাহলে বলব, পাওয়া না পাওয়া নিয়ে খুব একটা ভাবি না। তবে, এক সময় অভিনেতা হওয়ার শখ ছিল, খুব টেনেছিল। কিন্তু পারিনি, মধ্যবিত্ত মানসিকতার পিছুটান ছেড়ে বেড়িয়ে যেতে। এই কষ্টটা রয়ে গেছে কোথাও
প্র: তুমি বলছ পাওয়া না পাওয়া নিয়ে বিশেষ ভাবো না। অথচ তোমার অধিকাংশ কবিতায় একটা না পাওয়ার কষ্ট, দু:খবোধ; একটা হাহাকার আছে। পাঠক হিসেবে অনুভব করা যায় সেটা ভীষণভাবে। এই বিষয়ে কিছু বলো।
জয়দা: আমার মনে হয়, পাঠক যা বুঝেছে আমার লেখা পড়ে, তা হল অপ্রাপ্তি। অপ্রাপ্তি তো মানুষের থাকবেই। প্রতিটি মানুষের চলার পথে সমস্যা আসে, অনেক না পাওয়া নিয়েই তাকে চলতে হয়, আমাকেও হয়েছে।  একটা ব্যাপার হল, মিলনান্তক সাহিত্যের তুলনায় একটা ট্র্যাজিক এন্ড সাহিত্যকে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য করে, বা সেখানে একটা টানাপোড়েন রেখে দিলে মানুষ অনেক বেশি একাত্ম বোধ করে।
প্র: তোমার তো প্রচুর ফ্যান। তার মধ্যে অনেক মহিলা অনুরাগিণীও আছেন তোমার লেখার। কোনও দাম্পত্য কলহ হয় না এই নিয়ে?
জয়দা:- হ্যাঁ, প্রতিদিন হয়। হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমি এটা এনজয় করি। কোনও সমস্যা হয় না ব্যক্তিগতভাবে। (পাশ থেকে জয়দার সহধর্মিণী, এণাক্ষীদি বলে উঠল, 'মিথ্যে কথা বলছে রে... ' আমি বেগতিক বুঝে ততক্ষণে প্রসঙ্গান্তরে...)
প্র:- তোমার নিজের কোন লেখাটা খুব প্রিয়?
জয়দা:- অনেক অনেক লেখার মধ্যে এই মুহুর্তে বেছে নিতে পারব না। আর আমি ভুলেও যাই। আমি কোথাও লিখে রাখি না। সবই ফেসবুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
প্র:- হ্যাঁ, এটাও একটা প্রশ্ন ছিল, এত ভালো লেখা সত্ত্বেও ফেসবুক ছাড়া অন্য কোথাও তোমার লেখা পাই না। নিজের সৃষ্টিকে ছাপার অক্ষরে দেখতে চাও না?
জয়দা:- এতদিন কবিতাকে ফেসবুকের মধ্যেই রেখে দিয়েছিলাম। এখন ভাবছি, মানে কেউ কেউ ভাবাচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে হয়তো সিলেক্টেড কিছু পত্রিকায় পাঠাতে পারি। এবং তার জন্য আমাদের পারিবারিক বন্ধু মৈত্রেয়ী মুখার্জীর অবদান অনস্বীকার্য
প্র:- এই সাক্ষাৎকারটি যেহেতু চিলেকোঠার পক্ষ থেকে নিতে এসেছি, তাই চিলেকোঠা নিয়ে তোমার অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইব।
জয়দা:- চিলেকোঠা আমার প্রথম গ্রুপ। ফেসবুকে আসার পর দেখলাম অনেকেই নানারকম গ্রুপে যুক্ত। কিন্ত আমায় কেউ কোনও গ্রুপে অ্যাড করেনি। কারণ জানা ছিল না, কিন্তু আমার একটু খারাপই লাগত। আবার নিজেও যে কোনও গ্রুপে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে মেম্বার হব, সেই ব্যাপারটাতেও একটু কিন্তু কিন্তু ছিল। এর মধ্যেই শুনলাম আমার স্ত্রীর কাছে যে, চিলেকোঠা নামে একটি গ্রুপের অনুষ্ঠান হতে চলেছে সপ্তমীর সন্ধ্যায় সল্টলেকের একটি পূজামন্ডপে। ওই গ্রুপ থেকে ওকেও বলা হয়েছে যাওয়ার জন্য, কিন্তু একা যাবে না বলে না করে দিয়েছে। তারপর হঠাৎ এক ভদ্রলোক একদিন আমায় ফোন করে বললেন যে উনি চিলেকোঠা গ্রুপের অ্যাডমিন বাপি মুখার্জী। খুব অনুরোধ করলেন আমাদের দুজনকেই যাওয়ার জন্য। এবং আমাকে ওইদিনই গ্রুপের মেম্বার করে নিলেন। তারপর সপ্তমীর দিন গিয়ে দেখলাম, জনা তিরিশেক মানুষের জমায়েত (তখন চিলেকোঠা ছোট্ট গ্রুপ), বেশ ঘরোয়া এবং আন্তরিক পরিবেশ, খুব ভালো লাগল। সেই থেকে আজ পর্যন্ত একইভাবে আছি চিলেকোঠায়। সেই সময়ের অনেকেই আজ গ্রুপে নেই, আবার রয়েও গিয়েছেন অনেকে। আমার প্রথম গ্রুপ বলে চিলেকোঠার প্রতি একটা ভালোবাসা, দুর্বলতা এবং দায়বদ্ধতা অনুভব করি সবসময়।

প্র:- কিন্তু গ্রুপে সক্রিয় থাকলেও, গ্রুপের কোনো অনুষ্ঠানে তোমাকে পাই না কেন?
 জয়দা:-  আমি যেহেতু একটা ব্যবসা করি, তাই সবসময় সময় বের করা সম্ভব হয় না। আর যেহেতু ফেসবুক ভার্চুয়াল, সেখানকার বন্ধুত্বগুলোও ভার্চুয়াল থাকাই তো ভালো। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।  সব সময় সকলের মাঝে গিয়ে মুখোমুখি পরিচিত হতে হবে, তার প্রয়োজন নেই বোধহয়। আরো একটা কারণ হল, আমি অনেক অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত মানুষজনের জমায়েতে ঠিক স্বচ্ছন্দ হতে পারিনা আমার অন্তর্মুখী স্বভাবের জন্য। মিশতে পারি না, বেমানান মনে হয় নিজেকে।
আচ্ছা, বেশ খুব ভালো লাগল আজ তোমার সাথে খোলাখুলি আলোচনা করতে পেরে। অনেক জানা-অজানা দিক উঠে এল আমাদের সামনে। গ্রুপের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগতগতভাবেও তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই এভাবে সময় দেওয়ার জন্য এবং ধৈর্য্য ধরে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য। ভালো থেকো সবসময়। আরো অনেক ভালো লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম
প্র:-সব শেষে চিলেকোঠা সম্পর্কে দু-কথা জানতে চাই...
জয়দা:- চিলেকোঠা ওয়েবজিনের সবচেয়ে বড় গুণ - সকল সদস্যকে কিছু লেখা বা নতুন কিছু সৃষ্টি করতে উৎসাহ দেওয়া যারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নিরলস পরিশ্রম করে, নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা দিয়ে এই ওয়েব-ম্যাগাজিন প্রকাশ করে চলেছেন, তাদের প্রতি আমার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা অফুরান ভালোবাসা আরও অনেক দিন টিকে থাক চিলেকোঠা গ্রুপ, চলতে থাক চিলেকোঠা ওয়েবজিন চিলেকোঠায় আশ্রিত প্রতিটি পাখি খুশি থাক, ভাল থাক
আই লাভ ইউ চিলেকোঠা


0 মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন