সম্পাদকীয় - ডিসেম্বর ২০১৪




চিলেকোঠা ওয়েবজিন এখন অনেক বেশি সুসংহত। আমাদের সুশান্ত ও আহুতি ফ্রন্টলাইন সামলাচ্ছেন দুরন্ত ভালো, পাশে রয়েছেন আমাদের দাদা-দিদিরা - অলোক চৌধুরী, মিত্রা বসু ঘোষ, সুমিতরঞ্জন দাস। চিলেকোঠা ওয়েবজিন নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে এঁদের সকলের সনিষ্ঠ শুভ উদ্যোগে।

আসি আসি করে শীত এসে গেল। দুপুরের খাওয়াটি মিটিয়ে রোদে পিঠ দিয়ে যেমন গল্পের বই বা পত্রিকার পাতা উলটোত আমাদের মা-কাকিমা-মাসিমারা, ছুটির দিনে বাবা-কাকা-দাদারাও, সেভাবেই আমরাও চলুন, “চিলেকোঠা” গ্রুপে উঁকি মারি, “চিলেকোঠা ওয়েবজিন”-এর পর্দা খুলি, ডানায় শীতের মৃদু রোদ মেখে। হ্যাঁ, ডানা, এই নেট দুনিয়া তো আমাদের ডানা দিয়েছে ওড়বার, মনের খুশিতে।

কবিতা - নীলিমা দে


প্রেমের ঠাকুর
নীলিমা দে



দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরেতে গুণীজনের
মাঝে
আছেন বসে রামকৃষ্ণ মধ্যম
ণি সে যে 
রামকৃষ্ণ ‘কৃষ্ণরাম’ যে নামেতেই ডা
কো
ব্রহ্ম’ বিনা মনে তার সুর বাজে নাকো
জ্ঞানীজনের কথার মাঝে আছে শুধু যুক্তি
তাঁরাই আসেন একটু আশায় হয় যদি বা মুক্তি
ধর্ম নিয়ে নানান কথা বোঝান জ্ঞানী গুণী
মুচকি হেসে ঠাকুর বলেন
– ‘বলছ যখন শুনি 
ক্ষণেক পরে ঠাকুর বলেন- ‘
ব্রহ্ম’ কে তা জান ?
বোঝাও তবে তোমরা তারে কেমন রূপে চেন ?
রামের মত ছেলেরা সব রয়েছে তাঁরে ঘিরে
ক্ষুব্ধজনে হাঁকেন জোরে
যায় না রে আর কিরে
ব্যর্থ হয়ে ভাবেন শেষে পাগল নয় কে সে যে
পাগল বোকা এলেম বুঝি ওদের সর্বনেশে
বৃদ্ধরা কন - ছোকরা গুলোর জীবন হল নষ্ট
আরো বলেন
হায়, পিতামাতার বুঝবে কেন কষ্ট

সেবায় লাটু অনেক বড়  কাঙাল প্রেমের তরে
সবাই তারে স্নেহ দিলেন কত আদর করে ।
উচ্চ নীচের শাপের ভেদ দিলেন ঠাকুর মুছে
প্রেমের রাখি বাঁধল মনে ছাপরা জেলার ছেলে
সবার আগে আপন হলেন লাটু মহারাজ
নরেন হলেন সভার মাঝে নক্ষত্র রাজ ।

নদী মাতে গহন রাতে চাঁদের আলিঙ্গনে
ছোটেন ঠাকুর বসন হাতে অতি সঙ্গোপনে
লাটু ভাবেন কোথায় গেলেন? দেখেন আগল হতে
ঠাকুর কেমন দাঁড়িয়ে আছেন বসন নিয়ে হাতে

নরেন বলেন
– ‘পাগল ঠাকুর মূর্খ তুমি কত
জগৎটারে মিথ্যে ভেবে ভাবের ঘরে ছোট



তবু শিবানন্দ, প্রেমানন্দ, ব্রহ্মানন্দ আনন্দের ভিড় সেথা
ছাপরা জেলার ছোট্ট লাটু তিনিও এলেন হেথা
লেখাপড়া নাই বা জানুক মনটি বড় সাদা
ঠাকুর বুকে নিলেন টেনে রইল না আর বাধা

বিশ্বজোড়া খ্যাতির মুকুট পরেন নরেন শিরে
ভাবেন লাটু নরেন কি আর চিনবে তেমন করে ?

জয়ের মুকুট শিরে নরেন এলেন মোদের ঘরে
খোঁজেন সবার মুখে
পায় না তারে খুঁজে,
ব্যবধানের আড়াল নিয়ে থাকেন লাটু সরে।
নরেন বলেন আয় না কাছে দেখিরে তোর মুখ
বলেন হেসে
দে না জোরে, আলিঙ্গনের সুখ

এই শহরে সভার কাজে ব্যাস্ত নরেন ভাষণ মাঝে
দ্বারে আছেন দাঁড়িয়ে লাটু শীতল পাত্র হাতে
শ্রোতারা সব ব্যস্ত বিষম নগদ তুলে নিতে ।
হায়, গলা যে তার শুকনো মাটির মাঠ
কষ্ট কেউ বোঝে না তো বক্ষ হল কাঠ
ধীরে অতি ধীরে জল পাত্র হাতে নিয়ে লাটু এলেন ঘরে
বলেন নরেন, কষ্ট আমার বুঝলি কেমন করে ?
শ্রান্ত দেহ তৃপ্ত হল পরম সেবা লয়ে।

ওরে, জানবি অনুক্ষণ -
প্রেম দিয়ে যে সেবা করে
স্বর্গ সে তো আপনি গড়ে
মহান সেবায় জয় করলি মন
সেবা ধর্ম, সেবা কর্ম, প্রেম পরম ধন
অশ্রুভেজা বক্ষে তারা দেন আলিঙ্গন।

কবিতা - সৌভিক দে (শুভ)


বৃদ্ধাশ্রম
সৌভিক দে (শুভ)
শিক্ষিকার কাজ করতাম
তাও বছর আটেক আগে,
আজ আমি বৃদ্ধা
তাই বৃদ্ধাশ্রমে,
ভালই আছি আজ, কিন্তু
তোমরা পাঠাবে না তো
বাবা–মাকে, বৃদ্ধাশ্রমে?

বাবা লেখাপড়া শিখিয়েছেন
দেশের কাজের জন্যে,
আমি শুধু রোজগারই করেছি
তাই বৃদ্ধাশ্রমে,
ভালই আছি আজ, কিন্তু
তোমরা পাঠাবে না তো
বাবা–মাকে, বৃদ্ধাশ্রমে?

কত গরিব মানুষ অবহেলিত
শিক্ষার অন্ধকারে,
প্রতিদানে আজ আমি
এই বৃদ্ধাশ্রমে,
ভালই আছি আজ, কিন্তু
তোমরা পাঠাবে না তো
বাবা–মাকে, বৃদ্ধাশ্রমে?
বদ্ধ ঘরের ভেতর
করেছি শিক্ষার প্রচার,
পারিনি আলোর দিশা দিতে
তাই বৃদ্ধাশ্রমে,
ভালই আছি আজ, কিন্তু
তোমরা পাঠাবে না তো
বাবা–মাকে, বৃদ্ধাশ্রমে?

তোমরা তো ভাল ছেলে-মেয়ে
পারবে না পৌঁছে দিতে আলো,
প্রত্যেকের ঘরে ঘরে
সমস্ত বৃদ্ধাশ্রমে।
ভালই আছি আজ, কিন্তু
তোমরা পাঠাবে না তো
বাবা–মাকে, বৃদ্ধাশ্রমে?

কবিতা - অরিন্দম চন্দ্র

হারায়ে খুঁজি
অরিন্দম চন্দ্র


গভীর বিষাদ থেকে উঠে আসা
একটি ম্লান মুখ আমাকে সহসা স্বাগত
জানিয়ে আবার মিলিয়ে গেল


চোখ থেকে রোদ-চশমা সরিয়ে
এক নারী তার গভীর চাউনি
মেলে দিল আমার দিকে


নদীও মাতাল হল,
সুখ-মাখা-মুখ ঢাকা দিলাম সুসুপ্তির আঁধারে


কিছু গান সহসা অশ্রুত হয়ে গেল,
কিছু কবিতা স্তব্ধভাষ
কিছু কিছু করে কত কিছুই তো হারিয়ে গেল

কবিতা - রানী সিনহা

অভাগী এক মেয়ে
রানী সিনহা

চাষীর ঘরে জন্ম নিল অভাগী এক মেয়ে
জানতো না সে কত দুঃখ, আসছে কপাল বেয়ে
বুকের মাঝে ইচ্ছে নিয়ে চলছে দিনমান
শিক্ষা নিয়ে করবে নিজে, সমাজে তার স্থান
জন্ম তার অবুঝ এক বাবা মায়ের কোলে,
তার ইচ্ছে দেখল না কেউ ভুলে গেল তারে
নিজের জেদে পড়াশুনা চালাচ্ছিল বেশ,
এমন সময় আসল এক অমোঘ আদেশ
বিয়েতে সে হলো না রাজি এই তার দোষ,
তার ওপর পল তখন বাবার যত আক্রোশ
সেই দিনটি ঘনিয়ে এল বোঝেনি সে নিজে,
বাবার দেওয়া আগুনে তাকে মরতে হলো শেষে
ইচ্ছে সব ফুরিয়ে গেল এক নিমেষে যখন,
যদি আবার আসে ধরায়, মিটবে সকল ইচ্ছে তখন

কবিতা - শঙ্কর চৌধুরী


তোমায় আমায়
শঙ্কর চৌধুরী


তুমি কল্পিত শাখার চঞ্চল তরুলতা,
তুমি জীবনানন্দের কবিতার বনলতা…
তুমি মেঘলা আকাশের নীল আবরণ
তুমি বৈশাখের ঝরা শ্রাব

তুমি ধু
-ধু মরুভূমির ছোট্ট মরীচিকা
দেখব বলে পাইনি আমি আজ তোমার দেখা
তোমায় দেখব বলে লক্ষ কাজ সারা
হতে কেন চাও তুমি নীললোহিতের নীরা
তাই বুঝি তুমি অন্তহীন
আমি
ক্ষুদ্র দীন
তোমায় আমায় এ কি অপূর্ব মিল।


কবিতা - ইন্দিরা দাশ


হিসেব করতে বসবো না বিলকুল
ইন্দিরা দাশ


যেই রাস্তাটা নেইনি সেদিন বেছে
যেই চাকরিটা প্রায় হাতে আসছিল
যে পরীক্ষাতে পাশ-হয়ে উঠল না
এক নম্বর দূরে যে লটারিটা ছুঁয়ে গেল

যেই কবিতাটা উড়ে গেল পাখা মেলে
যেই কথাগুলো বলি বলি করে ভুলি
শীতে যে কুকুরছানাটাকে রোজ দেখে
গলিতে ভেবেছি কতদিন নিয়ে চলি


কোন সে পথের মোড়টা ঘুরলে পরেই
মৃত্যু দাঁড়িয়ে রয়েছে কি কালো সাজে
পাঁচটি মিনিট আগেতে পৌঁছে গেলে
কখনও কি কারও লাগতাম কোনও কাজে!
কোনও বন্ধুকে দিলে পিছুডাকখানা
হয়ত বা আজও হাতটা থাকত ধরা
না ভেবেচিন্তে ভালোবাসিবলে দিলে
পাশাপাশি কারও জায়গা থাকতো করা



এমন অনেক ভাবনা আমরা যাদের
দু
হাতে সরিয়ে বলি যে আব্বুলিশ
তবু, বেছে নেওয়া কিছু, অথবা না-বাছা পথ
কখনও সখনও কানে করে ফিসফিস
আগেতে পেছনে ক
যে কাকে টেনে রাখে
সে মুহূর্ততে দাঁড়িয়ে ঠিক বা ভুল
ভেবেছি যেমনই, ভাবনা আমারই ছিল
তাই হিসেব করতে বসবো না বিলকুল

কবিতা - জয় (শমীক) সেনগুপ্ত


আমার জীবন
জয় (শমীক) সেনগুপ্ত


আমার এই ছেলেমানুষী জীবন;
তুমি আমার অন্ধকারের বুকে
মুখ লুকিয়ে কার কথাটা ভাবো?
আমার কথা, তাদের কথা
নাকি অন্য কা
রও-
ভাবনারা সব মিলিয়ে গেলেই
তোমায় ঠিকই পাবো

তুমি আমার সাঁঝের পিদিম
কাউন্টারের ধোঁয়া-
তুমি আমার শ্রাবণ মেঘে
প্রথম শরীর ছোঁয়া

তুমি আমায় নিয়েই হাঁটো
তাই
তো আমি চলি,
সাতসুরেতে মিশে বেড়ায়
পথের পদাবলী

কবিতা - গৌতম সেন


বলা না-বলা কথা
গৌতম সেন

১.
যেদিন ঢেউ ওঠা স্তব্ধ হয়ে যাবে সাগরের বুকে
যেদিন পাখিরা মন খারাপ করে বন্ধ রাখবে তাদের কলকাকলি
যেদিন সূর্যোদয়ের বেলা কুয়াশা কিম্বা ঘন কালো মেঘ
ঢেকে রাখবে প্রত্যুষের কুসুম-আবীর রঙ -
সেদিন মুখ ফুটে বলা হবে না তো আমার মনের কথা,
ভালবাসাকেও ওরা ঢেকে দেবে অভেদ্য কুহেলিকা অন্তরালে

২.
ঈশ্বর নিরাকার ভক্তরা দলে দলে বিভক্ত
কেউ তাঁরে সাকার, সালঙ্কারা সাজায়,
নিজ নিজ সুখ-দুঃখ নিয়ে দর-দস্তুর করে
কেউ বা ব্রহ্মজ্ঞানে তাঁর উপাসনা করে
বাকি দল নির্বিকার থাকে ঈশ্বর বা ধর্মে
বিশ্বাস নেই তাদের - তাই ভয়ও নেই, ভক্তিও নেই

এবার আমি বলি - আমি কোন দলে
সে আমার বন্ধু বিশ্বাস আছে যতক্ষণ বন্ধুত্ব আছে ততক্ষণ
বন্ধুরাও তো মাঝেসাঝে বিশ্বাসভঙ্গের কাজ করে ঈশ্বরও করেন
বন্ধুরা মার্জনা পায়, বন্ধুত্বের ভিত অটুট রাখতে,
ঈশ্বর তুমিও ক্ষমার অযোগ্য নয় বিশ্বাস অটুট রাখতে দাও

কবিতা - ঊষসী ভট্টাচার্য

নক্ষত্রপুঞ্জ
ঊষসী ভট্টাচার্য


ফেনা উড়ে যাচ্ছে আলোয়,
চুমু খাচ্ছে চেনা প্রহরী


অচেনা প্রান্তর,
ঢেউ বরাবর হাটে
!

শহর চড়ে না ঠেলা গাড়িতে!
শহরে আসে না আর কোনো ফিঙে,
ফিরিঙ্গির দল -
একতারা বাজায় এখন,

শি
দেয় গৃহবধূ -
মালতী পিসিরা সাইকেল নিয়ে,
উড়ে যায় আলোকবর্ষে

দোত
রা বাজছে রিংটোনে,
আমি ফেরারী আলোয় -
'জোছনা করেছে আড়ি '
আমার বাড়ি?
সিমেন্ট,
ইট, দেয়াল আছে!
বসতি কোথাও আছে ক
ি?

কবিতা - কিংশুক চক্রবর্তী

ওরে সবুজ
কিংশুক চক্রবর্তী

যখন নিদা দুপুরে
চেয়ে দেখি শাপলা–শালুকের সৃষ্টি
ছানি পড়া চোখেও
উজ্জ্বল হয় তখন নয়নদৃষ্টি।

যখন পড়ন্ত বিকেলে
স্কুল ফেরত এক কচি ছেলে
পিঠের স্কুল ব্যাগ ফেলে
কাদা মাঠে বল পায়ে যায় নেমে
আমার হাঁপানি যায় থেমে।

কবিতা - বাবিন গাঙ্গুলি

চাঁদের চোঁয়ানো আলোয়
বাবিন গাঙ্গুলি

সামান্য যেটুকু আছে
তাতেও ভাগ বসিয়েছে ফেলে আসা স্মৃতির শিকড়!
খসে গেছে সময়ের পলেস্তারা
কার্নিশটা শুধু দাঁড়িয়ে
জ্যৈষ্ঠের আকাশের মতো ফিকে... রোদ বৃষ্টির দাগ গায়ে নিয়ে
পুবের জানালা থেকে-
হালকা হাওয়ার সাথে ভেসে আসে চাঁদের আলো
ভিড় করে আসে চুপকথা
স্তব্ধতা... আর চাঁদ চোঁয়ানো আলো
গ্রামোফোনে বাজছে এলভিস...
"ওয়াইজ ম্যান সে ওনলি ফুলস রাশ ইন
বাট আই কান্ট হেল্প, ফলিং ইন লভ উইথ ইউ..."
তাকিয়ে থাকি খোলা জানালা হতে বাহিরে -
গাছের ফাঁকে ঘষা ঘষা মেঘে লেগে আছে স্মৃতির পূর্ণিমা
নরম... বড় নরম সে অনুভুতি

কবিতা - দেবাসিস রায়

বেঁচে থাকা
দেবাসিস রায়

যন্ত্রণা সঙ্গে নিয়ে বাঁচি
তবুও থাকি কাছাকাছি
যেভাবে জলকণা হাঁসের ডানায়
অন্ধকারে গভীর রাতে সাঁতরে বেড়ায়...
বা ভোরের কুয়াশামাখা শিউলিতলায়...
লেগে থাকা বালুকার মতো কোন বালিকার পায়

সেভাবেই আছি বা বাঁচি, তোমার পরশ মেখে...
নির্বিকার, নির্লিপ্ত সমাধি, সুখে আর দুখে

চিত্রকল্প মানসীকে দেখি চোখ বুজে,
সালোকসংশ্লেষ ঘটুক মনের সবুজে

কবিতা - শুভ্রা চক্রবর্তী

এসব হচ্ছেটা কী?
শুভ্রা চক্রবর্তী  

ঝাঁ চকচক শপিং মল
আধ উলঙ্গ মেয়েগুলোর ক্যাট
-ওয়াক আর কোমর দোল।
ছেলেগুলোও বাদ যায় না, গলায় মালা কানে দুল
হাতে কড়া চিতিয়ে বুক – গলা ফাটায় নানান সুর
আসুরিক এক নৃত্য গানে – মেতে ওঠে জনে জনে
এরাই নাকি বাংলা ব্যান্ড পোশাক এদের ফুটা প্যান্ট
এসব হচ্ছেটা
কী?

জনগণের শ্বাস উঠেছে মিছিলে আর ধর্মঘটে।
কার স্বার্থে – কী কারণে – করছে এসব?
যুক্তি দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে ঢুকছে না যে মোটা মাথে।
এসব হচ্ছেটা
কী?

ডেঙ্গু জ্বরে কাবু এদেশ, মহামারীর রূপ নিয়েছে
মন্ত্রী মশাই
হেসে দিলেন মহামারী কোথায় মশাই
একে বলে এপিডেমিক
ইংরেজি এক শব্দ বলে
দায়িত্ব ভার দিলেন ঝেড়ে।
এসব হচ্ছেটা
কী?

বিদে
শিগ্নি টানার ধুম পড়েছে
ন্ত্রী স্বয়ং ছুটেছে এদেশ ওদেশ
স্বদেশকে
করে তোল এক্কেবারে বিদেশ
আকাশচুম্বী, গগনভেদী
মাহাটানের তুল্য
তার জন্য কৃষক দেবে জীবন দিয়ে মুল্য
অনাহারে মৃত্যু হলে কার
কী এসে যায়
প্রশ্ন যদি ওঠে তখন বলা যাবে অপুষ্টি
, অনাহার তো নয়
এসব হচ্ছেটা
কী?

জলা, জমি, পুকুর, ভেড়ি, গাছগাছালি
কাঁপছে ভয়ে, জীবন তাদের বিপন্ন
লোভী মানুষ বোকা এমন ছেলের কথাও ভাবে না
মরুভূমি তৈরি করছে এটাও কি সে জানেনা
এসব হচ্ছেটা
কী?

স্বাস্থ নিয়ে শিক্ষা নিয়ে সাধারণের জীবন নিয়ে
করছে এরা ছিনিমিনি
জাত-পাত আর ধর্ম নিয়ে করছে এরা বিকিকিনি
মানুষগুলো গাধা বনে থাকবে আরো কত দিন ?
জানে না কি সময় এলে শুধতে হবে ধরার ঋণ
এসব হচ্ছেটা
কী?

ইংরাজী কবিতা - দুর্বা মিত্র

Lonely?  Never Again!
Durba Mitra

A lonely place....my cerebrum.......
So many dates, places, events and people to crowd:
Still... a lonely place.... my cerebrum.....

Too much to do, too many to please;
Some of the things I do, some of the people I please:
All...... never can I do all.....
Rather not to try, better be alone...in my mind...
A call...a faint call...forced me to turn around...
A shape, a form of an idea....
Slowly metamorphosed into a mortal figure....
It invaded, encompassed and conquered...
The lonely place..... my body, mind and spirit....
Didn’t even allow me to opt for a no...
Rather forced me to look up and accept...
I am awake, alert and active........
Utterly attuned to the presence of that living soul;
Through sight, smell, taste, sound or touch...
I am neither alone, nor lonely......... never again!