কবিতা - সত্যজিৎ

ছড়ার মেলা
সত্যজিৎ



কি মজা বছর পরে
যাচ্ছি আমি মেলায়,
মিষ্টি দোকান মনোহারী
থাকব কত খেলায়।

মামার ছেলে পিসির মেয়ে
পাশের বাড়ির মিন্টু,
ঝিলিক দিদি বিট্টু দাদা
পুকুর পাড়ের রিন্টু।

সবাই মিলে যাচ্ছি ছুটে
রাস্তা অনেক দূর,
বনের শেষে মাঠের পরে
সেই যে গোকুলপুর।

দূর থেকে মেলার মাঠে
ভিড় লোকের কত,
ছেলে-মেয়ে বুড়ো-বুড়ি
মানুষ শতশত।

রাস্তা দিয়ে গরুর গাড়ি
বোঝাই কত জিনিস,
মামার ছেলে দেখিয়ে বলে
"আমার জন্য কিনিস" ।

নাগরদোলা,বেলুন কত
খেলনা যত নানা,
ক্ষীর মোয়া চানাচুর
জিলিপি মিহিদানা।

আলু চপ,তেলেভাজা
নাড়ু সন্দেশ,
ছোলা আর বাদামভাজা,
লাগছে খেতে বেশ।

পুতুল সে তো কতরকম
হরেক রকম জামা,
পাশেই আবার নাড়ুগোপাল
দিচ্ছে হেসে হামা।

বাঁশিওয়ালা বজায় বাঁশি
বাজায় কত গান,
হাসি মুখে দাঁড়ায় সবাই
জুড়োয় মন প্রাণ।

আবার কোথাও টিয়েপাখির
ছোট্ট ছোট্ট ছানা,
সাদা পায়রা কাকাতুয়া
খাঁচায় বুড়ো ময়না।

কত লোকের ভিড় আবার
যাদু খেলার কাছে,
ঝিলিক দিদির হাতটা ধরি,
হারিয়ে যাই পাছে।

হিং-টিং-ছট, জয় মা তারা
যাদুকর বলে,
হাতের কত খেলা দেখায়
নানান কৌশলে।

ডিমের ভেতর ইঁদুর ছানা
বালির মিহিদানা,
রুমাল হয় একনিমেষে
কালো বেড়াল ছানা।

বিট্টু দাদা ডাকে এবার
ফিরতে হবে বাড়ি,
দেরী হলেই মা ভাঙবে
পিঠে ছাতার বাড়ি।


4 মতামত:

  1. সারা লেখাটা জুড়ে বেশ একটা ছোটোবেলা ছোটোবেলা গন্ধ... চমৎকার লাগল... এগিয়ে যাও ভাই সত্যজিৎ...

    উত্তরমুছুন
  2. দেবাশিস কাঞ্জিলাল৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ এ ১২:১৮ AM

    সত্যজিতের 'ছড়ার মেলা' ছড়াটি ভারী ছন্দিল হয়েছে । সত্যজিতের বয়স যাই হোক না কেন,এই ছড়াটি পড়ে মনে হবে সে এখনো তার কৈশোরের গন্ডীর মধ্যেই রয়েছে। এই জটিল জীবনযাপনের মাঝে এই লেখা মনে যেন স্নিগ্ধ সুবাতাসের ছোঁয়া দিয়ে গেল ! আশা করি ছড়াটি সবার মনে এক সহজ সরল অনুভূতি জাগাতে সমর্থ হবে ! সত্যজিতের থেকে আরো এমন লেখার আশায় রইলুম !

    উত্তরমুছুন
  3. খুব ভালো লাগলো । পদ্যের সব শর্ত্ত মেনেই লেখা এই পদ্যটি হৃদয় ছুঁইয়ে গেল !

    উত্তরমুছুন
  4. যেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতা পড়লুম বলে মনে হল ! মেলা ভালো হয়েছে !

    উত্তরমুছুন