কবিতা - সুমন মণ্ডল

একাকীত্বের শেষাংশ
সুমন মণ্ডল



রুটিন, যেটুকু গিলতে পেরেছি-

ভিক্টোরিয়ার ঘাসের চাদরে উঁকি মেরে, উন্মুক্ত বেডরুম।
উপরে ছড়ানো-ছেটানো তাপের খেলায় ঘাসেদের বন্ধ নিশ্বাস।
উত্তাপ আমার মনেও, বেড়া ডিঙিয়ে যতটা আসতে পারে।
এভাবেই আঁতেল কোকিলের মত এ ডাল- সে ডাল,
নন্দন থেকে সিটি সেন্টার, চেটে খাওয়া অপরের সুখের অনুভূতি গুলো।
আর বছর জুড়ে কোঁচরে ভাঙ্গা সাহস,
আড়চোখে বেঁধে রাখা বসন্ত।

আমিও তো আয়নার সামনে দাঁড়াই,
আমিও তো দাঁত মেজে ভাবি টাটকা নিশ্বাসের কথা, আমিও তো-
কৃত্রিমতা ভেদ করে সুরেলা আবেগ পৌঁছায়নি কারো কানে,
তন্দ্রাহরণীদের ফুরফুরে চুলের কোন ঘেঁসে গত দু-দশকের পুরোটাই-
দোলা দিয়ে গেছে শুধু কানের দুলগুলো,
আর কিছু বেআইনি আঙ্গুল-

তারপর উত্তুরে হাওয়ায় একা একা,
হঠাৎ করে একদিন-
একটু বেশিই যেন শীত করলো।
বুঝলাম কারো দুটো কান চুম্বন চেয়েছে। সত্যি সত্যি।
এ ডাক এড়ানোর মতো না।

শীত ফুরিয়ে যাবার পরেও সেই প্রথমবার,
পাতা ঝড়লো না একটাও-
সে বসন্তে প্রথমবার,
চোখ লজ্জা পেলনা আর-

আর কয়েকটা দিন পর, আমার ঘরে-
বধূবরণের শাঁখ বাজবে।
সানাই-এর মুর্চ্ছনায় মিলবে মিলনের ইঙ্গিত।

চাঁদ-তারা যত নীরবেই ভাসুক,
ভাসবে আরও, প্রতীক্ষা দের জয়ধ্বনি।

সে আওয়াজ ছাপিয়ে যাবে যত কৃত্রিমতা।।




1 মতামত:

  1. অ- সা-ধা-র-ণ !! অপূর্ব !! আমি বিস্মিত, এই অসম্ভব সুন্দর লেখাটিতে এখোনো অবধি কেউ মন্তব্য করেনি দেখে !!

    উত্তরমুছুন