ছোটগল্প - রুমনি সেন

দাহ
রুমনি সেন



ওয়ার্নিং বেল বেজে গেছে। মন্দিরা খাতার উপর ঝুঁকে পড়ে শেষবারের মত ভালো
করে দেখে নিচ্ছিল কোথাও কিছু ভুল হয়েছে কি না । ভালো করে দেখে নিতে নিতে শেষ ঘন্টা পড়ে গেল। সে খাতা জমা দিয়ে বেরিয়ে এল। তাকে বেশ খুশি খুশি লাগছে। পরীক্ষা ভালোই হয়েছে।

বাব্বাঃ এই ম্যাথটা নিয়েই তার ভয় ছিল। সে বাইরে অপেক্ষা করতে লাগল, কাবেরীর জন্য। একটু পরে কাবেরী বেরিয়ে এলো। তার মুখটা বেশ রাগ রাগ। মন্দিরা বলল,-- চল, তোর জন্যই দাঁড়িয়ে আছি।
-- আমার জন্য তোকে দাঁড়াতে হবে না।
-- কেন, কি হয়েছে? রাগ করছিস কেন ?
-- রাগ করছিস কেন ? একটাও আনসার বলিস নি। আবার কথা বলতে এসেছিস। তুই খুব স্বার্থপর।
মন্দিরা কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল,
-- তুই এ কথা বলতে পারছিস ? আমি বলি নি ? অনেকগুলো উত্তরই তো বলে দিলাম।
-- এমনভাবে বলেছিস যাতে আমি বুঝতে না পারি।
-- আমি তো ঠিকভাবেই বলেছি। তুই যদি এখন জিজ্ঞেস করিস, তাহলে এখনও একই ভাবে বলব।
-- একইভাবে বলবি, তাই না ? ওইরকম ফিসফিস করে ?
-- তাহলে কি চেঁচাব ? তুই তো শুধু ‘কি কি’ করছিলি আমার কথা যেন শুনতেই
পাচ্ছিলি না, অথচ দিদিভাই শুনতে পেল, শুনতে পেয়ে আমাকে ধমক দিল।

তোকে তো বকা শুনতে হয় নি!
-- যা, যা, তোকে চেনা হয়ে গেছে আমার।
মন্দিরা অনেক কষ্টে চোখের জল চাপল। কাবেরীর সঙ্গে তার খুবই বন্ধুত্ব।
কিন্তু মাঝে মাঝেই সে বন্ধুত্বের দাবি নিয়ে নানা সুযোগ সুবিধা চায়, ও
পেয়েও থাকে। তা সত্ত্বেও সে এইভাবে তাকে স্বার্থপর বলে অপমান করল। ঠিক
আছে, আমার দরকার নেই তোর মত বন্ধুর। আমিও আর কথা বলব না।

পরের দিন ছিল ভূগোল পরীক্ষা। মন্দিরা ক্লাসে ঢুকতেই কাবেরী তাকে দেখে
একগাল হাসল। মন্দিরার গা জ্বলে গেল। যতই হাসো আমি কথা বলব না, আমি কোন কুকুর বিড়াল নই, যে যখন যেমন ইচ্ছে ব্যবহার করবে। সে পরীক্ষা শেষে খাতা জমা দিয়ে ডাইনে বাঁয়ে না তাকিয়ে বেরিয়ে এল ও সোজা বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করল।

হঠাৎ পিছন থেকে চিৎকার শুনল, মন্দিরা, মন্দিরা, এই মন্দিরা। মন্দিরা...
মন্দিরা না শোনার ভাণ করে চলতে লাগল, কিন্তু তার হাঁটার গতি ধীর হয়ে এল।
কাবেরী ছুটতে ছুটতে তাকে ধরে ফেলল।
-- বাবা, কি রাগ মেয়ের। তখন থেকে চেঁচাচ্ছি ,শুনতে পাচ্ছিস না ?
-- কেন আমাকে কি দরকার? আমি তো স্বার্থপর।
-- সরি সরি সরি। রাগ করিস না সোনামনি। আসলে কি জানিস অঙ্ক পরীক্ষা খুব খারাপ হয়েছে, পাস করব কি না কে জানে। তাই মাথার ঠিক ছিল না । কি বলতে কি বলেছি। ক্ষমা করে দে লক্ষ্মীটি।
মন্দিরা তবুর গম্ভীর মুখে চলতে লাগল। কাবেরী বলল,
-- এই শোন না। সামনের রবিবার আমাদের বাড়ির সবাই মিলে সিনেমা যাওয়ার প্ল্যান হয়েছে। তুইও চল না।
মন্দিরা রাগ ভুলে বলে উঠল,
-- কি বই ?
পরক্ষণেই বলল,
-- না আমি যাব না।
-- যাবি না মানে ? যেতেই হবে। তুই না গেলে আমিও যাব না। আর তোর মুখ দেখব না জীবনে। বল যাবি কি না? মুখটা অমন বাংলার পাঁচের মত করে আছিস কেন? হাস, হাস বলছি।
মন্দিরা হেসে ফেলল।
-- এই তো হেসেছে। কাবেরী কীর্তনের ঢঙে সুর ধরল,
মন্দিরা রানী আমার হে-সে-ছে হেসে-ছে।
মন্দিরা হা হা করে হাসতে লাগল। সে জানতেও পারল না কালকের ওইরকম ব্যবহারের পর আজ হঠাৎ এই পরিবর্তনের কারণ কি ?

আসলে কাবেরীর মামা কাবেরীর সঙ্গে কখনও মন্দিরাকে দেখেছিল। দেখার সঙ্গে সঙ্গে পছন্দ করে ফেলেছিল। মামার তিরিশের উপর বয়স আর মন্দিরার বয়স পনেরো, ক্লাস নাইনের ছাত্রী। সোজাসুজি এগিয়ে সুবিধে হবে না, তাই গতকাল এসে কাবেরীর সাহায্য চাইল। কাবেরী অবশ্য এমনিতে রাজি হয় নি। কিছু ঘুষঘাষ দিতে হয়েছে। কিছু গাঁটগচ্চা গেছে। তা যাক, এখন মন্দিরা যদি রাজি হয় তবে সব কিছু পুষিয়ে যাবে। অদ্ভুত সুন্দরী মেয়ে এই মন্দিরা। ভ্রমর কালো চোখ, আর কি স্কিন আহা, গায়ে মাছি বসলে পিছলে যাবে মনে হয়। উফ্‌, একবার যদি হাতের মুঠোয় পাই, তাহলে ............

রবিবার সবাই একসঙ্গে সিনেমা দেখা হল। কাবেরী ও তার মামা তো আছেই তার সঙ্গে আছে মেসো ও মাসি, যারা ইউ পি থেকে বেড়াতে এসেছে। আর এসেছে মন্দিরা আর তার ছোট বোন। সব খরচ মামাই করল, ব্যালকনিতে সিনেমা দেখা, চানাচুর, চিপস, আইসক্রিম খাওয়া সব।
পরদিন কাবেরী মন্দিরার সঙ্গে দেখা করল,
-- মন্দিরা তোর সঙ্গে একটা কথা আছে।
-- কি কথা বল।
-- বলছিলাম কি, মানে আমার মামা তোকে কাল দেখে খুব ভালো লেগে গেছে। তোকে ভালোবেসে ফেলেছে।
-- কি বলছিস কি? যত সব উলটো পালটা কথা।
-- সত্যি বলছি। আমি নিজের মামাকে জানি। ও তোকে না পেলে একেবারে মরে যাবে। বিশ্বাস কর।
-- দেখ আমি কিন্তু এবার সত্যি সত্যি রেগে যাচ্ছি। তুই আমাকে এ সব কথা একদম বলবি না।
-- আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে, তোকে এখনই হ্যাঁ বা না কিছু বলতে হবে না। তুই ভাবার সময় নে। আমি পরে তোর সঙ্গে কথা বলব।
-- না, পরেও বলবি না। আর যদি বলিস তাহলে আমার জবাবটা না-ই হবে।
-- ঠিক আছে ঠিক আছে। তুই সময় নে না।
কাবেরী চলে গেল। মন্দিরার মনটা খুব তেতো হয়ে গেল।

দুদিন পর কোচিং থেকে ফেরার পথে কাবেরী বলল,
-- কি রে কি ঠিক করলি?
-- কিসের কি? কি বলছিস তুই?
-- ন্যাকা, কিছু জানে না। আমার মামাকে কুপোকাত করে এখন ভাব দেখাচ্ছে যেন ভাজা মাছটি উলটে খেতে জানে না।
-- আমি কাউকে কুপোকাত করি নি। আর তোকে তো বলেইছি এ নিয়ে আর কথা বলবি না।
-- আচ্ছা ঠিক আছে। তুই আমার মামাকে যা বলার বলে দে। মামা ভাবছে আমি তোকে বলছি না। তুই শুধু এটুকু দয়া কর। যা বলার নিজের মুখে জানিয়ে দে। ওই যে ওই দেখ মামা দাঁড়িয়ে আছে। তুই যা কথা বল।
-- তুইও চল।
-- না না। তুই যা। যা বলার বলে দে। আমি আর এই ঝামেলায় থাকতে চাই না। তোদের ঝামেলা তোরাই মেটা।
-- তোদের ঝামেলা মানে?
-- হ্যাঁ, হ্যাঁ, ঐ তো বললাম। তুই আর কথার ভুল ধরিস না প্লিজ। মামা রোজ আমাকে জ্বালাচ্ছে। তুই সরাসরি কথা বল, তাহলে আমারও আর সমস্যা থাকে না।
মামা দাঁড়িয়ে আছে। মন্দিরা এগিয়ে গেল। সোজাসুজি বলল
-- দেখুন আপনি যা বলছেন তা সম্ভব না। কাবেরীকে আমি আগেই বলে দিয়েছি। এখন আপনাকেও সোজাসুজি বলছি। আপনি আর এই নিয়ে আমাকে বিরক্ত করবেন না।
-- মন্দিরা বিশ্বাস করো আমি তোমাকে...
-- আমি তো আগেই বলেছি এ সব বলা বন্ধ করুন।
-- তোমাকে যদি নিজের বুকের ভিতরটা চিরে দেখাতে পারতাম।
-- আপনি কি বাংলাভাষা বোঝেন না?
-- মন্দিরা তুমি আমার হৃদয়ের রানী।
-- আবার ওই কথা! আপনি আমার বাবার বয়সী। এসব কথা আমাকে বলা আপনার উচিত নয়।
এই কথায় কাজ হল। মামার আঁতে ঘা লাগল। সে চুপ করে রইল। মন্দিরা নিজের বাড়ি চলে এল।
পরদিন স্কুলে দেখা হতেই কাবেরী তাকে হিংস্রভাবে আক্রমণ করল,
-- তুই এত নিষ্ঠুর। মানুষের মন নিয়ে খেলা করতে তোর কিছুমাত্র বিবেকে বাধে
না? তুই আমার মামাকে এমনভাবে আঘাত করতে পারলি ? তুই মানুষ না জানোয়ার?
-- আমি কাউকে আঘাত করি নি। তুই আর তোর মামাই আমার পিছনে হাত ধুয়ে পড়ে আছিস।
-- ও,তাই নাকি। আমার মামার পয়সায় সিনেমা দেখতে ফুচকা আইসক্রিম খেতে খুব ভালো লাগে তাই না ? আবার বলে আমার মামা না কি ওর বাবার বয়সী। আর উনি কচি খুকি। যতগুলো সিনেমা দেখেছিস, হোটেলে রেস্টুরেন্টে খেয়েছিস সেই টাকা ফেরত দিতে পারবি ? আরও কত লোককে টুপি পরিয়ে খেয়েছিস কে জানে। আমার মাসি ঠিকই বলে, কাকে ভালোবেসেছিস তুই, স্বপন ? ওসব মেয়েকে দুটো বাদামভাজা দিলেই পাওয়া যায়।
ক্লাসের সহপাঠিনীরা পরম তৃপ্তিভরে এই মুখরোচক ঝগড়া শুনছে । কাবেরীর
মুখোশটা খুলে গেছে। যেন তেন প্রকারেণ সে মন্দিরাকে অপমান করতে চায়, আঘাত করতে চায়, তার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিতেও পিছপা নয়।
মন্দিরার মুখ লাল হয়ে গেল। সে বলল,
-- কত মাইনে পায় তোর বাবা আর তোর মেসো? আমার বাবা যা মাইনে পায় তাতে তোর বাবা আর মেসোমাসির মত দশটা ঝি চাকর রাখতে পারে। বরং প্রতিদিন আমার থেকে যা টিফিন খেয়েছিস সেটা কত টাকা হয় একবার হিসেব করিস।
কাবেরী প্রচন্ড খেপে গেল। কিন্তু অস্বীকার করতে পারল না। কারণ সবাই তাকে
মন্দিরার টিফিন ভাগ করে খেতে দেখেছে। মন্দিরা বলল,
-- আর মামার জন্য যদি এতই দরদ তাহলে ওই বুড়ো ভামটা যা চায় আপনিই সেটা দিন, আমার পিছন ছাড়ুন। বুঝেছেন মিসেস পদী ময়রানী ?
সেই বছরই তাদের এলাকার রবীন্দ্রভবনে নীল দর্পণ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল।
স্থানীয় সকলেই নাটকটা দেখেছিল। পদী ময়রানী হল ওই নাটকের একটি চরিত্র যার কাজ হল নীলকর সাহেবের জন্য গ্রামের মেয়েদের ফুসলে নিয়ে আসা। তাই কাবেরীকে পদী ময়রানী বলতেই সবাই হো হো করে হেসে উঠল। সারাদিন তারা কাবেরীকে পদী ময়রানী, পদী ময়রানী বলে অবশেষে কাঁদিয়ে ছাড়ল।
এরপর কাবেরী বা তার মামা আর মন্দিরাকে বিরক্ত করে নি। মন্দিরাও হাঁপ ছেড়ে বাঁচল। বাবাঃ, বেঁচেছি ওই জন্তুটার সঙ্গে বন্ধুত্ব কেটে গেছে, বাঁচা গেছে । কিন্তু সে একটা বড় ভুল করেছিল। এই ঘটনার কথা তার বাড়িতে বলা উচিত
ছিল, সে বলে নি। আসলে একটা লোক তার সঙ্গে প্রেম করতে চাইছে, তার পিছনে লাগছে একথা মাকে বলতে তার লজ্জা বোধ হচ্ছিল।

মাসখানেক পর একদিন সে যখন স্কুলে যাচ্ছিল, কাবেরীর মামা সাইকেল করে এসে পিছন থেকে তার মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। সব কিছু পূর্ব
পরিকল্পিত ছিল। অ্যাসিড ছোঁড়ার পর ট্রেনে সোজা হাওড়া স্টেশন। সেখান থেকে ইউ পি, দিদির বাড়ি।
মন্দিরার বাবা মা দিনের পর দিন মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে পড়েছিল। প্রচুর খরচ হয়েছিল তার চিকিৎসায়। তারা মেয়েকে ফেলে থানা পুলিস কোর্ট ঘুরতে পারে নি।
পুলিসও এই ঘটনায় সামান্যতম সক্রিয়তাও দেখায় নি।
প্রচুর ব্যয়বহুল চিকিৎসায় মন্দিরা সেরে উঠল। অ্যাসিডের থাবা তার মুখটাকে
অনেকটাই বিকৃত করে দিয়েছে। বিশেষ করে গাল, চিবুক ও গলার অনেকটা অংশ।
কাবেরী বন্ধুর এই মুখশ্রী দেখে খুব খুশি। বন্ধু-মহলে বলে বেরিয়েছে উচিত শাস্তি পেয়েছে। মানুষের মন নিয়ে খেলা করলে এমনই হয়।
বন্ধুরা বলেছে তাই বলে তোর মামা এমন কাজ করবে ? এটা কি উচিত হয়েছে ? ওর তো লাইফটা নষ্ট হয়ে গেল।
কেন ? নষ্ট হবে কেন ? আমার মামা বলেছে ওরা যদি প্রস্তাব নিয়ে আসে তাহলে ওকে নিশ্চয়ই বিয়ে করব। কিন্তু অন্য কাউকে বিয়ে করতে দেব না। যদি অন্য কোথাও বিয়ের চেষ্টা করে আবারও অ্যাসিড মারব। মামার এক কথা আমার জিনিস আমি ভোগ করতে না পারলে অন্য কাউকেও ভোগ করতে দেব না।

মন্দিরা এখন কেমন আছে ? বলাই বাহুল্য, তার বিয়ে হয় নি। বাবা মা চেষ্টাও করেন নি। মেয়ের কষ্ট তাঁরা আর বাড়াতে চান নি। মন্দিরার বয়স এখন চল্লিশ এর উপরে। সে স্থানীয় পৌরসভায় স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজের সুযোগ পেয়েছিল।
সেই কাজই এখনও করছে। প্রচুর মানুষের মধ্যে কাজ, মানুষকে নিয়ে কাজ। প্রচুর ব্যস্ততা। সে বেশ সুখে আছে। বেশ হাসিখুসি। তাকে দেখে কেউ ভাবতে পারবে না তার জীবনে কোন ট্র্যাজেডি আছে। দেখা গেছে যারা সমস্ত ঝড় ঝাপটা সামলেও মাথা উঁচু করে জীবন যুদ্ধে লড়াই করে চলে, তারা কখনও ভেঙে পড়ে না। স্বয়ং ঈশ্বর তাদের পাশে থাকেন।

আর কাবেরী কেমন আছে ? কেউ জানে না। ওই ঘটনার দশ বছর পর কাবেরী একটি আর্থিক সংস্থায় চাকরি পেয়েছিল। তার বাবা সেখানে চাকরি করতেন তিনি মারা যাবার পর কোম্পানি কাবেরীকে চাকরির অফার দেয়। লোভনীয় অফার, ম্যানেজারের পোস্ট, ভালো মাইনে। কিন্তু বছর তিনেক চাকরি করার পর একদিন কোম্পানি ডুবল আর কাবেরী রাতের অন্ধকারে বাড়ির খাট বিছানা টিভি আলমারী সব কিছু ফেলে রেখে মাকে নিয়ে পালিয়ে গেল। পরবর্তীকালে অনেকে তাকে দেখেছে বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি বাড়ি কাপড়কাচার গুঁড়ো সাবান বিক্রি করতে। রুগ্ন শীর্ণ অনাহারক্লিষ্ট চেহারা নিয়ে।


4 মতামত:

  1. দেবাশিস কাঞ্জিলাল৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ এ ৪:২৬ PM

    রূমনী সেনের 'দাহ' গল্পটি পড়লে আমাদের সমাজে নারীদের বিপন্নতা যে এখনো স্বদম্ভে রাজত্ব করে চলেছে তার প্রমান পাওয়া যাবে। এই গল্পে দুটি পরস্পর-বিরোধী নারীই কিন্তু পুরুষ-তন্ত্রের শিকার। গল্পটি লেখিকার মননের তীব্রতার এক দলিল হয়ে রইল ।

    উত্তরমুছুন
  2. খুব ভালো লাগল গল্পটা। একেবারে ঝরঝরে বর্ণনা, সু-অংকিত চরিত্র... যথাযথ সমাপ্তি...।

    উত্তরমুছুন
  3. ভালো লাগলো । চরিত্র গুলো যেন এক্কেবারে বাস্তব থেকে উঠে এসেছে।

    উত্তরমুছুন
  4. Rumnee.....daho...galpo ta pore khub bhalo laglo..agey o tomar kichhu lekha porechhi..satti bhalo lekho tumi....chokher samne jeno dekhlam charitro guli....!!

    উত্তরমুছুন