কবিতা - রত্নদীপা দে ঘোষ

নদী নির্মাণ
রত্নদীপা দে ঘোষ



শহুরে নদী চুরি হয়ে যাচ্ছে অরণ্য পায়ের শাখা রোদ সমেত ।
গাছের কোমর বেড় দিয়ে গেঁয়ো নদীও ফিরছে না চাষার ক্ষেতে ।
বালির সমারোহ । রাধায় নুয়ে জোয়ারের ঠোঁট ,
ঘুম-মৌতাত ফেলে ফেনার হরিণ ছিটকে যাচ্ছে কোথাও না কোথাও ।
সোঁদা ফুলে ফেঁপে উঠছে আরাম অসুখ ...
কোথাও যাসনে নদী , এই ঘরেই থাক ...

সময় ফুঁকতে ফুঁকতে আশ্চর্য হুঁকাটি মিলিয়ে যায় নদীর ।
উৎসব ডাকে করাত-কল । গায়ে এঁটে আছে জল গড়ানো ,
পোশাক জল্পানো কুহু । এক পিঠ ছাপা ধাতব মুদ্রানদীর লার্ভা ।
শুঁয়োপোকা চেরাইয়ের শব্দ । মানছি না – মানবো নার পলি
আঁচড়ে আঁচড়েও ত্রিশ কোটি নদী বানাতে পারে না হিমাঙ্ক প্রজাপতি ......
রোজ স্বপ্নে তবু নদীকে টানা হয় ...
যতক্ষণ না তরল পানীয় ঝুলে থাকে কৃশ ক্যাকটাসে ...
যতক্ষন না ব্রেসিয়ারের রিপু খুলে ঘুমিয়ে যায় কোঠাবাড়ির কথকঠাকুর ... 


1 মতামত:

  1. বোন রত্নদীপা, এই কবিতাটি আমাকে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিলো। আর, যেহেতু আমি পারস্পরিক পিঠ চুলকানি তে বিশ্বাস করিনা, তাই কিছু অপ্রিয় কথা বলতেই হবে। প্রথমতঃ নদী-নির্মাণ শব্দপ্রয়োগ টি ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভালো লাগেনি। "পোশাক জল্পানো কুহু", "মুদ্রানদীর লার্ভা", "হিমাঙ্ক প্রজাপতি" কথা গুলি বাংলা, না হিব্রু আমি বুঝতে পারলাম না ! আমার বয়েস হয়েছে। বাংলা অভিধান নিয়ে যদি আমাকে কবিতা পড়তে হয়, তাহলে আমি ব্যাজার ! এ ছাড়া, কবিতাটির থিম কিন্তু আমার বেশ ভালো লেগেছে।

    উত্তরমুছুন