কবিতা - বিদিশা সরকার

ব্যক্তিগত গদ্য
বিদিশা সরকার



নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া যেতেই পারে। কারণ পাবলিক বিষয়টা খুব খায়। দিবাস্বপ্নের সুবিধা একটা যে, কাঁচালঙ্কা ও পান্তাভাতের পাশে শুঁটকি মাছ বা পেঁয়াজি কল্পনা করে নেওয়া যায়। আত্মতৃপ্তির কোনো বিকল্প নেই।
বোঝাবার একটা রাজনৈতিক পদ্ধতি আছে। প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পন্থা। প্রথম পর্যায়ের প্রথম শর্ত বিশ্বাসভাজন হয়ে ওঠা । অতুল মিস্ত্রির স্ত্রী স্বামীর দেওয়া বিষ মেশানো ভাতে যে আন্তরিকতা দেখেছিল, ও'র দ্বিতীয় পক্ষও তাই। বিষ প্রয়োগের কৌশল তাহলে প্রথমে বিশ্বাস উৎপাদন করা। বস্তি'র উন্নয়ন হয়নি, বস্তি'র উন্নয়ন হয়না। ওদের ভোটাধিকার কার পক্ষে যাবে, সেটা নির্ভর করছে অটো'র পারমিটে, ড্রাইভিং লাইসেন্সে, সর্বসাকুল্যে চারটি শৌচাগারে। অথচ জানলাহীন যক্ষ্মারোগের উপযুক্ত পরিবেশে বিনামূল্যে সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র অকূলের কূল ! স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রয়োজনে রোগ আর রোগের প্রয়োজনে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আমার পিঠ চুলকালে, অন্যে চুলকে দেবে।
আনুগত্যের দারিদ্র্য নিরাপত্তার আশ্রয় খোঁজে কারো না কারো ছত্রছায়ায়। প্রাকৃতিক বৈচিত্রের ভাবালুতায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই চির-বাস্তব হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায় ঠিকে মাসি বর্ষার বিকেলে কাজে না এলে !


2 মতামত: