চিলেকোঠা সরগরম



চিলেকোঠা সরগরমঃ


এই সংখ্যার বিষয়ঃ 
"অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ লাভ ম্যারেজ এর থেকে অনেক ভালো"
(বিশেষ সূচনাঃ এই বিভাগে প্রকাশিত প্রতিটি মন্তব্য অংশগ্রহণকারীর একান্তই নিজস্ব মতামত, এ বিষয়ে চিলেকোঠা ওয়েবজিন কোনোভাবে দায়ী নয়)


পক্ষেঃ

সভার মতের পক্ষে কোন লেখা জমা পরেনি



বিপক্ষেঃ 


১) অরুণ চট্টোপাধ্যায়

“যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব” –প্রায় একঘণ্টা ধরে চলা বিয়ের অনুষ্ঠানের মূলমন্ত্র কিন্তু মাত্র এইটুকুই । অর্থাৎ এতদ্বারা তোমার হৃদয় আমার হল আর বিপরীত ক্রমে আমারটা তোমার। তাহলে এটা কিছুতেই অস্বীকার করা যাবে না যে বিবাহ নামক সামাজিক অনুষ্ঠানটি প্রকৃত পক্ষে হৃদয় ঘটিত । 

অনেকে বলবেন বিবাহ একটি সামাজিক বন্ধন – একটি পারিবারিক বন্ধন । এইসব স্বীকার করেও আমি বলব বিবাহ হল দুই প্রাপ্তবয়স্ক নর নারীর হৃদয়-বন্ধনের সামাজিক স্বীকৃতি । প্রকৃতির নিয়মে একটি পুরুষ ও নারী পরস্পর মিলিত হয় বংশরক্ষার নিমিত্ত । অন্যান্য প্রাণিদের ক্ষেত্রে যৌনমিলন, সন্তানধারণ, সন্তানের ভূমিষ্ঠ করণ ও সামান্য কিছুকাল সে সন্তানের প্রতিপালন পর্বটুকু ছাড়া পশু মা বা বাবার আর কোনও ভূমিকা থাকে না । কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে রয়েছে এর বিরাট ব্যতিক্রম । মানুষকে তার সারা জীবন ধরে একটি সংসার প্রতিপালন করতে হয় যার মধ্যে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান থাকে মূল কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে । 

এক কাল ছিল যখন বিবাহের পাত্র পাত্রী ঠিক হত বাবা মা বা অন্যান্য গুরুজনদের মর্জিমাফিক । সেক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে বিশেষ ভাবে মেয়েদের মতামতের মূল্য থাকত সীমিত পরিসরে বন্দী । স্বামী-স্ত্রী বিবাহের পরে পারস্পরিক পরিচিতি লাভ করত । প্রেম গড়ে ওঠার আগেই হয়ত দেহকে সমর্পণ করতে হত । 

ফলে অনেক ক্ষেত্রে অনেক সংসার “ সং”-সার অর্থাৎ একটি অশান্তির লীলাভূমি হয়ে দাঁড়াত । কারণ এই স্বামীস্ত্রীর মধ্যে আইন কিংবা নীতির দায়বদ্ধতা থাকত কিন্তু প্রেম থাকত না । কয়েক হাজার ইটকে পরের পর সাজালে তারা একটা আড়াল সৃষ্টি করলেও দেওয়াল সৃষ্টি করতে পারে না । কারণ সেই ইটগুলির মধ্যে কোনও বন্ধন থাকে না । সামান্য ঠেলাতেই তা পড়ে যেতে পারে । তবে এর মাঝে সিমেন্ট বালি আর জলের মিশ্রণ দিলে ইটের সেই আড়াল টুকু দিয়েই পাকা ইমারত গড়া সম্ভব । স্বামী-স্ত্রীর সংসারে পারস্পরিক এই দাম্পত্য প্রেম দুই ইটের মাঝে ওই মশলার কাজ করে সংসারের স্থায়িত্ব, সুখশান্তি বৃদ্ধি করে ।

আজকাল নারীপুরুষে ভেদ ক্রমশ কমে আসছে । তাই অন্যের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া আর আগের মত সম্ভব নয় । মনে রাখতে হবে বিবাহ কিন্তু সাময়িক একটি অনুষ্ঠান নয় । এটি দুই নারীপুরুষের সারা জীবনের ঘটনা । মনের মিল না থাকলে অফিসে যেখানে বস আর কর্মচারীদের মধ্যে ঠোকাঠুকি লাগে তো এ একটা চব্বিশ ঘণ্টা, সাত দিন আর সারা বছরের ব্যাপার । 

সুতরাং আমার মনে হয় বিবাহ যদি প্রেমের ফসল হয় তবে একটি সুখী পরিবারই গড়ে উঠবে । 





২) রুমনি সেন

প্রকৃতিতে সর্বত্র দেখা যায় স্ত্রী পুরুষ পরস্পরকে দেখা, পছন্দ করা, সঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ার কাজটা নিজেরাই করে। সেখানে পেরেন্টের কোন ভূমিকাই থাকে না। থাকা উচিতও নয়। ‘ক’ এবং ‘খ’ যদি পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয় ও মিলন করে আনন্দ পায়, তাতে পেরেন্টের কি করার আছে? প্রকৃতি চায় তারা পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হোক, তাই অপোজিট সেক্সের প্রতি আকর্ষণ ভরে দিয়েছে জীবের মধ্যে। মিলনের আনন্দ ভরে দিয়েছে। এই ঘুষটুকু না দিলে জীব তো সন্তান উৎপাদন করবেই না। দেখা যায় স্ত্রী পশুরা যে সঙ্গী নির্বাচন করে, সেরা সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য নির্বাচনটা সঠিকই হয়। আসলে সবই তো সন্তান উৎপাদনের জন্য, প্রজাতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু মানুষ সন্তানের সব কিছুতেই নাক গলায়, খবরদারি করে। এই নাক গলানোর স্বভাবটা মানুষের জন্মগত। আমার নিজের চোখে দেখা ঘটনা। বাচ্চা কাঁদছে আলু ভাজা খাবে বলে। আলুভাজা বাড়িতে তৈরি হয়েছে। কিন্তু মা দেবে না। দুধ সাবু দিয়ে একটা বিকট পদার্থ বাচ্চাকে জোর করে খাওয়াচ্ছে। বাচ্চা তীব্র আপত্তি জানাচ্ছে, কাঁদছে, কিন্তু মায়ের সঙ্গে গায়ের জোরে পারছে না আর ওই খাবার গিলতে বাধ্য হচ্ছে। আলুভাজা না কি বাচ্চার জন্য খারাপ। কিন্তু যে খাওয়া আনন্দের হয় না, বরং যন্ত্রণার হয়, তা কখনও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয় না। মানুষ ঠিক করে সন্তান কার সঙ্গে মিলন করবে। এর চেয়ে হাস্যকর আর কিছুই হতে পারে না। বিশেষত কন্যা সন্তানের উপর জোরজুলুমটা বেশী চলে। মেয়ে কাউকে পছন্দ করেছে, বিয়ে করতে চায়। ব্যস শুরু হয়ে যায় শাসন, তর্জন। ওর সঙ্গে মিশবি না। ওর সঙ্গে মিশবি না, এর সঙ্গে মিশবি না, তার সঙ্গে মিশবি না। মিশবি না, মিশবি, না মিশবি না। তারপর মেশার লোক ধরে নিয়ে আসে। হয়ত তার সুন্দর একটি ভুঁড়ি আছে, হয়ত মাথায় টাক, হয়ত তাদের বংশে অর্শ, হাঁপানির ইতিহাস আছে, স্ত্রীজাতিকে আকৃষ্ট করার কিছুমাত্র গুণ তার মধ্যে নেই। তা হোক। ভালো চাকরি করে ভালো মাহিনা পায়। দামী ফ্ল্যাট আছে। তার সঙ্গে তোমাকে মিশতে হবে, মিশতেই হবে, মিশতে তুমি বাধ্য। গিলতে তুমি বাধ্য। এটা তোমার কর্তব্য। তবে সব পেরেন্ট নিশ্চয়ই এমন নয়। অনেকেই সন্তানের পছন্দকেই মেনে নেয়। সাধারণত দেখা যায়, যে সব ছেলেমেয়েরা নিজেরা পছন্দ করে বিয়ে করেছে তাদের সন্তান অনেক বেশী বুদ্ধিমান হাসিখুশী, এনার্জেটিক হয়, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের সন্তানদের থেকে। তবে সব ক্ষেত্রেই এমন হয়, সেই দাবি আমি করছি না, কারণ এতে হয়ত বিতর্ক আরও বাড়বে। হয়ত লক্ষ্য করেছেন, ‘প্রেম’ শব্দটা আমি সচেতনভাবেই এড়িয়ে গেছি। প্রেম কোথায়? কোথাও প্রেম নেই। মানুষের প্রতি মানুষের প্রেম নেই, প্রকৃতির প্রতি প্রেম নেই, পশুপাখির প্রতি প্রেম নেই। সেখানে স্ত্রী ও পুরুষের পরস্পরের প্রতি প্রেম কি আকাশ থেকে পড়বে? প্রেম অত সস্তা নয়। ‘লাখ লাখ যুগ হিয়ে হিয় রাখনু তবু হিয়ে জুড়ন না গেল’ এই হল প্রেম। এই প্রেম কোটিকে গুটিক হয়। তাই এখানে প্রেম আমার আলোচ্য বিষয় নয়।



৩) অনুপম দাশশর্মা

অভিভাবকেরা চাইবেনই তাঁদের মনোমত পাত্র বা পাত্রীর সাথে বিয়ে দিতে। এটাই সুস্থ স্বাভাবিক সামাজিক ব্যাবস্থা। তবে যেভাবে যুগের পালে সম্পর্কের নূতন হাওয়া লেগেছে উত্তরোত্তর যান্ত্রিক আনুকূল্যে, সেখানে আজকের যৌবন নিজেরাই মনের মিলের মেলবন্ধনে এগিয়ে আসছে। ক্ষতি কি ?? তাঁরাই ঠিক করে নিক না ভেসে উড়বে না কি ভেঙ্গে পড়বে 'সন্ধ্যের গুঁড়ো হওয়া কাঁচের মতো'..

আসলে, বাঁধা ছক ভাঙ্গার প্রবণতা নূতন কিছু নয়। বরং চাপিয়ে দেবার বাধ্যতা ভবিষ্যত্বের দায়ভার অভিভাবকদের আজীবন দায়বদ্ধতার শেকল পরায়।



৪) বেলাল হোসেন

কোন ভণিতা না করে সরাসরি প্রসংগে আসি। আমার মতে, অজানা অচেনা মানুষকে লাইফ পার্টনার করার রিস্ক বেশি। এখনকার দিনে, যেখানে মাথার উপরে অভিভাবকদের ছায়া সরে গেছে, মানে, জোর করে পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার চাপটা বেশ হাল্কা, সেখানে অ্যাডজাস্টমেন্ট কম হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। কাজেই, নিজের চেনা জানা, অন্ততঃপক্ষে তার বাহ্যিক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থেকেই তাকে নির্বাচন করা মনে হয় বেশি ভালো হবে। যদিও একথা সত্য যে একজন মানুষ আরেকজনকে কখনোই সম্পূর্ণ চিনে উঠতে পারেনা। ২৪X৭ একসংগে থাকলে নেগেটিভ দিক আবিষ্কার হতে বেশিদিন লাগেনা, কিন্তু মা বাবা যদি তাদের পছন্দের পাত্র/পাত্রী ঠিক করেন এবং পরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন ওনাদের মনের কষ্ট অনেক বেশি হয় বৈকি।

আরো একটি অতি ঘৃণ্য সামাজিক রীতিকেও শীঘ্রই বিদায় জানানো উচিৎ। সেটি হল ‘মেয়ে দেখা’ । ভীষণ জঘন্য লাগে আমার এই ধরণের আয়োজন। এই আয়োজনে, আমার মনে হয় কেউ সম্মানিত হননা, এবং অন্যকে করেননা। নিজে ঘটা করে নিজের জন্য মেয়ে দেখতে গেলে মানুষ কি দেখে ? আর যে মেয়েটি নীরবে সেই অপমানটা হজম করে , তার কি কোন কথা বলার বা প্রতিবাদ করার অপশন আছে সেখানে ?

আমার বাবা রিটায়ার করেন ১৯৮৩ সালে, তার পাঁচ বছর পর থেকেই আমার তিন বোনকে পাত্রস্থ করতে আমাদের তিন ভাইএর জান বেরিয়ে গেছে। তিন বোনকে বিয়ে দিতে বোধহয় তিরিশবার ...সেই শেষ। কেউ মেয়ে দেখতে গেছে শুনলেই আমার গা রি রি করে । প্রেম করে বিয়েতেও অসফল দাম্পত্যর ঘটনা কম নেই..কিন্তু তাতে আফসোশ নেই..কারণ হয়তো সেটা ‘জেনেশুনে বিষ করেছি পান’ ।


৫) স্বপন দেব

সভার মতের পক্ষে সবচেয়ে জোরালো যুক্তি হল, যেহেতু ভারতবর্ষের ৮৫% বিবাহই অ্যারেঞ্জ বিবাহ, তাই গ্লোবাল রেট এর তুলনায় ভারতে বিবাহবিচ্ছেদের শতকরা পরিমাণ অনেক কম, প্রায় নগণ্য। কিন্তু আসুন, একবার আমাদের সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে বিচার করে দেখি যে এই “নগন্য বিবাহবিচ্ছেদ” এর “চোলি কা পিছে” কেয়া হ্যায় !! এর পেছনে আছে আমাদের চরম অশিক্ষা। যে শিক্ষা এক মহিলাকে কর্মসংস্থান এর দিশা দেখাতে পারে বা স্বাবলম্বী হওয়ার আশ্বাস যোগাতে পারে, ভারতবর্ষের গ্রাম্য মহিলারা সেই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। আর ভারতের ৮০% ই গ্রাম। সুতরাং, পরিবারের পছন্দ মত পাত্রটিকে বিয়ে করে এই গ্রাম্য বধুটির কিন্তু ফিরে যাবার আর কোন রাস্তা থাকেনা। হাজার অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, গঞ্জনা মুখ বুজে সহ্য করে যাওয়া ছাড়া তার আর কোন উপায় থাকেনা ! তাই, সভার মতের সপক্ষের বন্ধুগণ, আপনাদের দেওয়া পরিসংখ্যান অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ এর মহিমা বাড়ায় না, বরং ওই পরিসংখ্যান এ লুকিয়ে থাকে অসহায় নারীর বুকফাটা যন্ত্রনা আর দমবন্ধ হয়ে আসা পরিবেশ কে মেনে নেওয়ার অসহায় নিরুপায়তা !! ভারতের সর্বোচ্চ শিক্ষিত রাজ্যের নাম কেরল। সেখানে বিবাহ-বিচ্ছেদের হার ৩.৪% আর ভারতের সবথেকে অশিক্ষিত রাজ্যের নাম বিহার। সেখানে বিবাহ-বিচ্ছেদ এর হার ০০.৩% !! 

সভার মতের সপক্ষে আর একটি সওয়াল হল, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ আমাদের বহু পুরাতন সামাজিক আচার। হাজার হাজার বছর প্রাচীন এটাই সনাতনী হিন্দু প্রথা।

অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ কস্মিনকালেও সনাতনী হিন্দু প্রথা ছিলোনা। বরং সনাতনী হিন্দু প্রথায় অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ এর কনসেপ্ট ই ছিলোনা! বৈদিক এবং পৌরাণিক যুগে, সবথেকে প্রচলিত বিবাহ পদ্ধতি ছিল, স্বয়ংবর সভা এবং গান্ধর্ব বিবাহ প্রথা। এ দুটোই কিন্তু বর্তমান লাভ ম্যারেজ এর আদি রূপ। সীতা রাম কে পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন, তাঁর হর-ধনু ভঙ্গের পর। দ্রৌপদী অর্জুনের গলায় মালা দিয়েছিলেন স্বয়ংবর সভায়। কৃষ্ণ শত নৃপতিকে যুদ্ধে পরাস্ত করে রুক্মিণীকে তাঁর স্ব-ইচ্ছায় অপহরণ করে গান্ধর্ব মতে বিয়ে করেছিলেন। রাজ-পরিবার থেকে আম-জনতা, সেই সময়ে কোন বিবাহই অ্যারেঞ্জড ছিলনা। এর সবগুলোই কিন্তু ছিল নারীর স্বেচ্ছা-নির্বাচন। দুষ্মন্ত-শকুন্তলা লাভ ম্যারেজের আরেক উদাহরণ ! জন্ম ভিত্তিক জাত-পাত, নারীদের সমস্ত স্বাধীনতাহরণ এবং অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ নামক প্রকৃতি-বিরুদ্ধ বিবাহ প্রথা সব ই চালু হয় ওই বদমায়েস মনুর সময় কালে আর কিছু অর্থ লোলুপ পুরোহিত এবং ধান্দাবাজেরা সেটাকেই হিন্দুদের সনাতন ধর্ম বলে চালিয়ে যাচ্ছেন, কারণ এতে তাদের দু’পয়সা অর্থাগম হচ্ছে !!

যাঁরা সমকামীতাকে প্রকৃতি-বিরুদ্ধ বলে চেঁচাচ্ছিলেন, তাঁদের জ্ঞ্যাতার্থে জানাই যে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ ও কিন্তু প্রকৃতি বিরুদ্ধ। তাবৎ প্রাণী কুলে আর কোথাও কিন্তু জন্মদাতারা সন্তানের যৌনসঙ্গী নির্বাচন করে দেন না ! 

পরিশেষে বলি, দূরদ্রষ্টা রবি কবির কথা। ১৯১৪ সালে রচিত স্ত্রীর পত্র এ দেখি, এক বিবাহিতা মহিলা পতিগৃহ ত্যাগ করে চলে যাচ্ছেন কারণ তিনি নিজেকে অসুখী মনে করছেন ! তিনি কিন্তু লাভ ম্যারেজ করেন নি!!




0 মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন