কবিতা - বিদিশা সরকার



কবিতাঃ

আত্মনেপদী গদ্য 
বিদিশা সরকার 


তুমি ঠিক করতে পারোনা আমার দিক্‌বদল, আমার প্রমোদতরী । সিদ্ধান্ত এবং চরিতার্থতা নিয়মিত ও পর্যাপ্ত হলে স্বভাবতই আমি অনাহারের পুষ্টি দাবী করবনা তোমাদের কাছে। পাখি সম্বন্ধীয় বহু রচনা, আকাশ সম্পর্কিত কিছু ভ্রম থেকে আমার ঋতু জ্ঞান দো-ফসলি। দুঃসময়ের সঞ্চয়ের নিরিখে আমার সম্ভার থেকে তোমাকেও দিতে পারি আমার রাত্রির পুরোভাগ। এও তো অভ্যাসিত একটা পন্থা । মৃত্যুর ভয়াবহতা আমাকে ভাবায়নি কখনও, কিন্তু আততায়ীর বদান্যতায় সতর্ক হয়েছি। 
অন্ধকারের একটা নিজস্ব ভাষা আছে । ধ্বনিগুলো রূপান্তরিত হয় শব্দে। অতি সতর্ক থাকলে কিছুটা অনুভব গ্রাহ্য । সেইসব বিপজ্জনক শব্দগুলো আত্মহননের সুপরিকল্পিত মেধা। বেঁচে থাকার নিজস্বতায় এর গ্রহণযোগ্যতায় সন্দেহ নেই । যদিও আমি কতটা গ্রহণযোগ্য সে বিষয়ে নিশ্চিত নই ।





তুমি কতটা সমসাময়িক, তুমি কতটা প্রাসঙ্গিক -- সেটা তো তার্কিকের এক্তিয়ারে। মঞ্চ সম্পর্কে যে ভীতি ---- সেটাই যে তোমার কাছে পৌঁছানোর অন্তরায়। দূরত্বের প্রয়োজনে দূরবীন!সম্পর্কের প্রয়োজনে মধুশালা! অবক্ষয় চোখের সামনে দরদাম করে! বিস্ময়বোধক চিহ্নটা তাই বহু ব্যবহৃত। 
বুদ্ধিজীবীর হাসি রাজনৈতিক। কান্নাও। আর তার ভিতরের মানুষটা? অবশ্যই অন্ধকার। আমি সেইসব অন্ধকারের সঙ্গে কথা বলি। কখন যে আমিও নাট্যকর্মী হয়ে যাই! ডায়াসের হাততালি আমার কান্নাকে বাহবা দেয় । আমি আরও উন্নতমানের কান্না রপ্ত করি।


0 মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন