রম্যরচনাঃ নারায়ণ রায়





রম্যরচনাঃ


হ্যাট -ট্রিক
নারায়ণ রায়


পটাইবাবুর ছেলে অবিনাশ চন্দ্র হ্যাট-ট্রিক করেছে। এই নিয়ে পাড়ার চতুর্দিকে বিস্তর আলোচনা চলছে। কোন বিষয়ে পর পর তিনবার একই সাফল্য ধরে রাখা নিছক ছেলে খেলা নয়। ক্রিকেট খেলায় যখন কোন বোলার পর পর দুই বলে দুটি উইকেট পাওয়ার পর তৃতীয় বল করতে যান, কিম্বা ব্যাটস্ ম্যান পর পর দুই বলে দুটি ওভার-বাউন্ডারী মারার পর তৃতীয় বলটি যখন মারতে যান, অথবা স্ট্রাইকার দুটি গোল করার পর তৃতীয় বারের জন্য বল নিয়ে যখন অপর পক্ষের গোল সীমানায় পৌঁছান, তখন সমগ্র মাঠে যে টান টান উত্তেজনা দেখা দেয়, অবিনাশ চন্দ্রের ক্ষেত্রে অবশ্য সেরকম কোন অগ্রিম উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যায়নি। মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর দেখা গেল ‘বিদ্যাধরী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে’র ফল গত কয়েক বৎসরের তুলনায় এবারে অনেক ভালো হয়েছে এবং সেই আনন্দে সবাই যখন নৃত্যরত তখন প্রধান শিক্ষক মহাশয় নজর করলেন যে আগের দুইবারের ন্যায় এবারেও অবিনাশ চন্দ্র অকৃতকার্য হয়েছে। 

দিকে দিকে সেই বার্তা রটি গেল ক্রমে। যথারীতি বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ যার পর নাই আশ্চর্য্যান্বিত হয়ে হাতে তিনদিন সময় নিয়ে এক জরুরী মিটিং ডাকলেন, আর সেই মিটিং-এ অবিনাশ চন্দ্র ও তার পিতা পটাই বাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হ’ল। কারণ শিক্ষকদের এতদিন একটি ধারণা ছিল যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করা যেমন কিঞ্চিত কঠিন ব্যাপার, মাধ্যমিকে ফেল করা তদাপেক্ষা কঠিন কাজ। কিন্তু অবিনাশ চন্দ্র পর পর তিনবার সেই কঠিন কাজটি করে হ্যাট-ট্রিক করেছে, তাই এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি মিটিং ডাকা অবশ্য কর্তব্য। যদিও সুকুমার রায়ের কবিতায় উনিশটিবার ম্যাট্রিকে ঘায়েল হওয়ার কথা বলা হয়েছে, তবুও বিদ্যাধরী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এধরনের প্রয়াস এই প্রথম। তাই শিক্ষক ও ছাত্র মহলে রীতিমত সাড়া পড়ে গেছে। এদিকে বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় যারা স্টার পেয়ে কিম্বা উচ্চ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে, তারা পড়ল মহা চিন্তায়, তাহলে এবার কি বিদ্যালয় থেকে তাদেরকে বই, গোলাপ ফুল, উত্তরীয়, মিষ্টির প্যাকেট এসব দিয়ে বরণ করা হবে না? বিদ্যালয়ের ইতিহাসে কঠিনতম কাজটি করার জন্য এসবই কি তাহলে অবিনাশ চন্দ্রকেই দিয়ে দেয়া হবে?

কথায় বলে, বায়ুর আগে বার্তা বয়, তাই এই খবরটাও মুহুর্তের মধ্যে চারিদিকে রটে গেল। পটাইবাবুর পরিচিত পরিজনেরা খবরটি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকা সত্তেও পটাইবাবুর সঙ্গে দেখা হলেই তাকে খবরটি জিগ্যেস করে বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিয়ে চলেছেন। পটাইবাবুও পড়লেন মহা চিন্তায়। কিন্তু যার জন্য এত চিন্তা তার কোন হেল দোল নেই। অবিনাশ চন্দ্র যথারীতি তার ঘরে সারাদিন ধানি পটকা ব্যান্ডের ‘শশ্মানে অশান্তি’ সি ডি টা চালিয়ে প্রবল বিক্রমে নৃত্যরত, অথবা একটি পুরানো হারমোনিয়াম এবং ততোধিক পুরানো একটি গীটার সহযোগে সঙ্গীত চর্চায় রত। 

বিকেলে অবিনাশ চন্দ্র তার সঙ্গীত চর্চা বন্ধ রেখে দোতলার ঘর থেকে নীচে নেমে এসে পটাই বাবুর মুখোমুখি হতেই পটাই বাবু অত্যন্ত ধীর ও শান্ত গলায় যেন কোন আপনজন বিয়োগের খবর দিচ্ছেন, সেইরূপ নীচু গলায় বললেন, “খবরটা শুনেছ ?” অবিনাশ চন্দ্র ততোধিক বিরক্তি প্রকাশ করে বলল, “তা আর শুনবো না কেন? কিন্তু তোমরা এমন ভাব দেখাচ্ছ যেন আত্মীয় স্বজন কেউ মরেছে।……… “আচ্ছা লেখাপড়া করে কে কোনকালে বড় হয়েছে শুনি ? চৈতন্যদেব, রামকৃষ্ণ, সিরাজদৌল্লা থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কে কটা পাশ দিয়েছেন শুনি ? কিন্তু আমার ব্যান্ডের গান যখন লোকের ঘরে ঘরে বাজবে তখন তুমি তো রাস্তায় বেরোতে পারবেনা, সেটা একবার ভেবে দেখেছো কি ?” একথা শুনে পটাইবাবু বড়ই চিন্তায় পড়লেন, কারণ এমনিতেই এক হ্যাট-ট্রিকের ঠ্যালায় আজ সকাল থেকে তার পক্ষে বাড়ির বাইরে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কিন্তু পুত্রের গানবাজনার সঙ্গে তার বাইরে বেরোনর কি সম্পর্ক তা বুঝতে না পেরে পটাইবাবু যখন মাথা চুলকাচ্ছেন, ঠিক তখনই অবিনাশ চন্দ্র ব্যাপারটা খোলসা করল- “তখন তুমি বাইরে বেরোলে সবাই বলবে—ঐ যে অবিনাশ কুমারের বাবা যাচ্ছে …. তোমার চারিদিকে ভীড় করে তোমাকে পাগল করে দেবে। তোমার অটোগ্রাফ চাইবে, তুমি তখন ভি আই পি-র বাবা হবে, …. তা তুমি সেটা চাও নাকি অবু কেরানীর বাবা হয়েই জীবনটা কাটাতে চাও….যত্তসব !”

পটাইবাবুকে এর পরেও ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাতে দেখে অবিনাশ চন্দ্র যথারীতি বাবার অজ্ঞতা সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হয়ে গট গট করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। এদিকে পটাইবাবু পড়লেন মহা বিপদে, স্ত্রী সুরবালার সঙ্গে বিস্তর আলোচনা করলেন কিন্তু কোন সমাধান খুঁজে পেলেন না। ছাপোষা পটাইবাবু কোনদিনই গান বাজনার বিরোধী নন, কিন্তু এই অর্বাচীনকে কে বোঝাবে যে সত্যিকারের সঙ্গীত সাধনা বড় কঠিন কাজ, তার চেয়ে সাধারণ পড়াশুনা করে কিছু করা অনেক সহজ। তাই মনে মনে ভাবলেন যেন তেন প্রকারেণ অবিনাশ চন্দ্রকে মাধ্যমিক পাশটা করাতেই হবে। মাধ্যমিক পাশ করার পর বড় সাহেবকে ধরে অবিনাশ চন্দ্রকে যদি একবার নিজের অফিসেই গুঁজে দেওয়া যায় তাহলে তো কেল্লা ফতে।

পরদিন সকালেই পটাইবাবু তাঁর পাড়ার বিলে ডাক্তারের চেম্বারে গেলেন, সবিস্তারে সকল ঘটনা বলা শুরু করার আগেই, ডাক্তার বাবু বললেন, “ঐ হ্যাট-ট্রিকের কথা বলছেন ?” পটাইবাবু বিনয়ের হাসি হেসে পাড়ার ছেলে বিলে ডাক্তারকে বললেন, “তা তুমি যখন সবই শুনেছ, তখন ছেলেটার একটা বিহিত করে দাও বাবা।” অবিনাশ চন্দ্রের পরীক্ষায় পাশের ব্যাপারে বিলেবাবু কি ভাবে সাহায্য করতে পারেন তা বুঝতে যখন বিলেবাবুর কিঞ্চিত সময় লাগছে, তখন পটাইবাবু ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করলেন। বললেন, “আজকাল তো কত রকমের ওষুধ, টনিক, দুধ এসব বেরিয়েছে টি ভি তে দেখেছি খাওয়ালেই ছেলেরা টপা-টপ ফার্স্ট সেকেন্ড হয়ে যাচ্ছে, তা তুমি নাহয় একটু কম তেজের ওষুধ দাও যাতে ফার্স্ট সেকেন্ডের দরকার নেই, কোনরকমে পাশটা করতে পারে।” উত্তরে বিলে ডাক্তার পটাইবাবুকে বোঝাবার চেষ্টা করলেন যে “প্রত্যেক মানুষ নিজ নিজ মেধা নিয়ে জন্মায় এবং জন্মের পর সে যে পরিবেশে বড় হয় সেই পরিবেশের সহায়তায় এবং নিজ প্রচেষ্টায় তার মেধার বিকাশ ঘটে। মেধা ওষুধ খাইয়ে বৃদ্ধি করা যায় না, ওসব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে লোকঠকানোর ব্যবসা। তার চেয়ে ওকে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে বলুন।” বিলে ডাক্তার অল্প বয়সে লেখাপড়ায় এলাকার সেরা ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল, তাই তার কথা পটাইবাবু কি করে ফেলে দেন ? 

এদিকে অবিনাশকে যেন তেন প্রকারে মাধ্যমিক পাশ করাতেই হবে, তা না হলে প্রতিবেশীদের কাছে মুখ দেখানোই দুষ্কর। পটাইবাবু সহধর্মিনী সুরবালার সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর অত্যন্ত পরিচিত জ্যোতিষী ঘনাই শাস্ত্রীর নিকট গেলেন। জ্যোতিষার্ণব ঘনাই শাস্ত্রী পটাইবাবুর কথামত একটি সাদা কাগজে অনেক দাগ কাটলেন, অনেক আঁক কষলেন, তারপর চশমাটি কিঞ্চিত নাকের ডগায় নামিয়ে নিয়ে এসে বললেন, “আসলে আপনার ছেলের এখন কাল-সর্প যোগ চলছে, খুবই মারাত্মক অবস্থা।” শেষের কথা ক’টি এমন ভাবে বললেন যেন অবিনাশ চন্দ্র এখন ভেন্টিলেশনে আছে, কখন কি হয় বলা মুশকিল। একথা শুনে পটাইবাবু ছল ছল চোখে হাতদুটি জোড় করে বললেন, “তাহলে কি উপায় গুরুদেব?” …. গুরুদেব বললেন, “উপায় অবশ্যই আছে, আপনি এত ভেঙ্গে পরবেন না পটাইবাবু, বেশ কিছু যাগ-যজ্ঞ-হোম ইত্যাদির প্রয়োজন। আর সে সবের জন্য কিঞ্চিত খরচ তো হবেই….” পটাইবাবুর এখন এমন অবস্থা যে খরচের কথা চিন্তা করলে হবে না, ছেলেকে মাধ্যমিক পাশ করাতেই হবে, আর তার জন্য দু-চার-পাঁচশো টাকা খরচ হতেই পারে। তাই বললেন, “ঠিক আছে, কত খরচ হবে বলুন আপনি? খরচের জন্য আপনি চিন্তা করবেন না দয়া করে।” ঘনাই গুরুদেব বললেন দেখুন “এমনিতে এই ধরনের যজ্ঞের অনুষ্ঠানে হাজার ত্রিশ টাকা খরচা হয়, কিন্তু আপনি আমার বিশেষ পরিচিত, তাই খরচ-টা অর্ধেক অর্থাৎ পনের হাজার এক টাকা দিলেই হবে।” পনের হাজার টাকার কথা শুনে পটাইবাবু মুখে গোঁ গোঁ করে এক অদ্ভুত শব্দ করতে করতে ঘনাই শাস্ত্রীর চেম্বারেই অজ্ঞান হয়ে গেলেন। 

অবশ্য চোখে মুখে একটু জলের ছিটে দিতেই তাঁর জ্ঞান ফিরে এল, সম্বিত ফিরে পেতেই পটাইবাবু উঠে দাঁড়ালেন, এখন পটাইবাবুর কোনক্রমেই দমে গেলে চলবে না…ইয়ে ইজ্জত কা সওয়াল। জ্ঞান ফিরে পেয়েই তাই গুরুদেবকে কোনরকমে বিদায় জানিয়ে জোর কদমে বাড়ির দিকে পা বাড়ালেন। 

হটাৎ রাস্তায় একজন বেশ শীর্ণ, অত্যন্ত কালো এবং স্বল্প দৈর্ঘের নেড়া মাথার লোক তাঁর পায়ের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বলল, “বাবু ভালো আছেন?” প্রথমে তাকে চিনতে না পারলেও, স্মৃতির মনিকোঠায় একটু খোঁচা দিতেই পটাইবাবুর মনে পড়ে গেল, আরে এ তো সহদেব! এলাকার সিঁধেল চোর। সেবার দত্তদের বাড়িতে চুরি করে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে মারাই যাচ্ছিল, পটাইবাবুই পাড়ার ছেলেদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। …. “তা তুই এখানে কি করছিস?” … “আজ্ঞে এই গতকালকেই জামিন পেয়েছি, তাই একটু পুরনো পাড়ায় ঘুরতে এলুম।” সহদেবের অকপট স্বীকারোক্তি। “শোন, তোর সঙ্গে আমার একটু দরকার আছে, চল, চা খাবি ?” বললেন পটাইবাবু। সহদেব অবাক হয়ে ভাবে, এটা পটাইবাবুর কোন ফন্দি ফিকির নয়তো ? কারণ সহদেবের সঙ্গে পটাইবাবুর মত লোকের কিইবা দরকার থাকতে পারে ? তাছাড়া জীবনে এই প্রথম কোন ভদ্রলোক তাকে তার সঙ্গে চায়ের দোকানে চা খেতে যেতে বলছে। যাইহোক যে লোকটি একদিন তার প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তাঁকে এটুকু বিশ্বাস করা যেতেই পারে ভেবে সহদেব তাঁর সঙ্গ নিল। পটাইবাবু সহদেবের সঙ্গে গল্প করতে করতে তাকে এক কাপ চা একটা টোস্ট বিস্কুট খাইয়ে তাকে আবার বিড়ি খাওয়ার জন্য দুটো টাকাও দিলেন। তারপর সহদেবও হাসতে হাসতে ঘাড় নেড়ে নেড়ে বিদায় নিল। 

তীব্র গরম, তারপর আবার অবিনাশ চন্দ্রকে নিয়ে দুশ্চিন্তা, কদিন রাত্রে ভালো করে ঘুমই হচ্ছিল না। গতকাল প্রথম রাত থেকেই বেশ কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে, পটাইবাবুর মাঝ রাত্রে বাথরুম যাওয়ার জন্যও ঘুম ভাঙ্গেনি। হটাৎ ভোর রাত্রে চিৎকার চেঁচানিতে ঘুম ভাঙ্গতেই পটাইবাবু ধরফর করে উঠে বসলেন বিছানায়। 

“হায়, হায় এ আমার কি হ’ল ?” চিৎকার করেই চলেছেন সুরবালা দেবী, তার পিছন পিছন অবিনাশ চন্দ্র, মুখে তার কথা বলার ক্ষমতা নেই, মায়ের পিছন পিছন সেও বুক চাপরে চলেছে আর হা হুতাস করে চলেছে। ঘরে ঢুকে সুরবালার প্রথম কথা, “হ্যাঁ গো কাল সদর দরজা ভালো করে বন্ধ করোনি?” 
“কেন কি আবার হ’ল?” শুধান পটাইবাবু।
“আর হ’তে বাকি টা কি আছে?.... মাঝ রাত্রে বাড়িতে চোর ঢুকে আমার অবু সোনার ঘর একদম সাফ করে দিয়েছে, হারমোনিয়াম, গীটার, মিউজিক সিস্টেম সবকিছু নিয়ে গেছে, আহা বেচারার এতদিনের সখের জিনিসগুলো !…. আমার তখনই সন্দেহ হয়েছিল, মাঝ রাত্রে বাথরুম করতে উঠে দেখি, কালো মত নেড়া মাথার রোগা আর ছোটখাটো চেহারার একটা লোক আমাদের বাড়ির সমনে ঘুর ঘুর করছে। হ্যাঁ গো, তা তুমি কি শুয়েই থাকবে, নাকি একটা কিছু করবে?”
“তা চোর কি আমার সম্বন্ধী যে, চুরি করা জিনিসগুলো দেখানোর জন্য আমাকে তার বাড়ির ঠিকানা দিয়ে গেছে?... যাও যাও মা বেটায় মিলে আর জ্বালিও না, সকাল হতে এখনও দেরী আছে, যাও দরজা বন্ধ করে আবার শুয়ে পরো।” 

মুখে একথা বলেই পাশ ফিরে শুয়ে পড়লেন পটাইবাবু আর মনে মনে ভাবলেন… যাক কাল সহদেবের বাড়ি গিয়ে আমার কমিশন পাঁচশোটা টাকা নিয়ে আসতে হবে। আর কথায় বলে চোর পালালে ….. বাড়ে, সামনের বছর নিশ্চই এই বাড়-বাড়ন্ত বুদ্ধি নিয়ে অবু আমার মাধ্যমিকটা উতরে যাবে।


2 মতামত:

  1. দেবাশিস কাঞ্জিলাল৯ জুলাই, ২০১৪ এ ৮:১২ PM

    হ্যাট -ট্রিক
    নারায়ণ রায়ের রম্যরচনাটি সত্যিই মনে রম্যতা জাগিয়ে দিল । সরস ভাষায় টানটান আগ্রহ জাগিয়ে রাখা লেখাটি পড়লে সবাই যে আনন্দ পাবেন তা নিশ্চিত করেই বলা যায় । দারুন লিখেছেন আমাদের নারায়ন রায় দাদা তাঁর পটাইবাবুকে নিয়ে ।

    উত্তরমুছুন