রম্যরচনাঃ স্বপন দেব






রম্যরচনাঃ


ওঁ গণেশায় নমোঃ
স্বপন দেব


বিডন ষ্ট্রীট এর “আসছে বছর আবার হবে” ক্লাব গত বছর এক অভিনব দুর্গা পূজার থিম করেছিলো। সে বছর ওদের দুর্গা প্রতিমার সব দেব-দেবীই হবেন জ্যান্ত ! আয়োজন শুরু হয়েছিলো প্রায় ১০ মাস আগে থেকে এবং তখন থেকেই নানান রকম বিপত্তি। সেক্রেটারির স্ত্রী, যমুনা বৌদি কে দুর্গা করতে কারোরই আপত্তি ছিলও না কারণ, প্রতিদিন রাতেই সেক্রেটারি মশাই মাতাল হয়ে টলতে টলতে বাড়ী ফিরতেন এবং তারপরেই যমুনা বৌদি মহিষাসুর-মর্দিনী রূপ ধারণ করতেন! কিন্তু, সমস্যা হোল ঐ টিংটিঙে চেহারার সেক্রেটারি কে তো অসুর বলে কেউ মানবেনা। ওদিকে সেক্রেটারি সাহেব ও গোঁ ধরে বসে আছেন, নিজের স্ত্রী কে তিনি পর-পুরুষের হাতে কিছুতেই ছাড়বেন না ! এদিকে আবার নির্দেশক মশাই-এর প্রথম পছন্দ ছিল মোড়ের মাথার “বিবেকানন্দ ব্যায়াম সমিতি”র মালিক ভুনো’দা কে। বলিষ্ঠ এবং পেশীবহুল, সবসময়েই খালি গায়ে ঘেমো গন্ধ ওয়ালা ভুনো’দা ছিল আদর্শ অসুর। যাই হোক, সবাই মিলে সেক্রেটারি সাহেবকে বললেন, দাদা মাত্র তো তিন দিনের মামলা ! ঐ তিন দিনে কি বৌদি ভুনো’দার প্রেমে পড়ে যাবেন ? ওর ঘেমো গন্ধটার কথা একবার ভাবুন ! কথাটা সেক্রেটারির মনে ধরলো। যে বউ বাংলা মদের সু-গন্ধ সইতে পারেনা, সে কিছুতেই ঐ ঘেমো গন্ধ সইতে পারবেনা। তিনি নিমরাজি হলেন, কিন্তু একটা শর্ত দিলেন। পূজোর তিনদিন তো বটেই, এমনকি যতদিন মহড়া চলবে, ঐ ভুনো কোন ডিওডোরেন্ট বা পারফিউম ব্যবহার করতে পারবেনা ! যাক, ভালোয় ভালোয় অসুর-দুর্গা পর্ব মিটে যাওয়ার পর শুরু হোল লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গনেশ-এর সন্ধান। যাই হোক, গণেশ নিয়ে খুব একটা সমস্যা হলনা। পাড়ার তুলসী মাস্টারের ছেলে, হাবুল ইতিমধ্যেই পাড়ায় ক্যাবলা গণেশ নামে পরিচিত। কিন্তু, ঘোরতর সমস্যা দেখা দিল কার্তিক, আর সরস্বতী নিয়ে। পাড়ার মহা-কালী বিদ্যামন্দিরের সামনের রোয়াকে যাদের সকাল-বিকেল নিত্য হাজিরা দিতে হয়, তাদের প্রায় গোটা পনের ছেলের সবার দাবী কার্তিক হবার। নির্দেশক মশাই যাকেই বাছেন, বাকি চোদ্দজন সমস্বরে বলে ওঠে, ফোঁট শালা ! তোকে কাল থেকে এখানে দেখলে, পেঁদিয়ে পগার-পাড় করে দেবো ! পূজো প্রায় বানচাল হবার জোগাড় ! যাই হোক, শেষ পর্যন্ত পাড়ার কাউন্সিলর হারাধন বাবু, যিনি এই ক্লাবের সভাপতি তাঁর মধ্যস্ততায় ঠিক হোল ঐ পনেরো জন ই পালা করে ঘণ্টা হিসেবে সাড়ে তিন দিন কার্তিক সাজবে ! লক্ষ্মী নিয়েও কোনও ঝামেলা হোলনা। পাড়ার পুরুত কানাই বাবুর পুত্রবধূ যিনি প্রায় সবসময়েই কানাই বাবুর যজমানীর দৌলতে পাওয়া লাল পাড় শাড়ী আর মাথায় ঘোমটা দিয়ে চলাফেরা করেন, এক বাক্যে সবাই তাঁকে লক্ষ্মী বলে মেনে নিলেন। কিন্তু, আবার মুশকিল বাঁধলো সরস্বতী কে নিয়ে ! সরস্বতীর জন্যে মোট পাঁচজন প্রতিযোগিনী ছিলেন। পাঁচজনই পাড়ার উঠতি যুবকদের হার্টথ্রব ! কিন্তু তাদের মধ্যে দুজন, অমৃতা আর মমতা শিক্ষাগত যোগ্যতায় বাদ চলে গেলো ! অমৃতা ক্লাস এইট পাস আর মমতা মাধ্যমিক ফেল ! বাকি তিনজন, মানে, পায়েল, পিয়ালি আর মধুছন্দার লড়াই ছিলো হাড্ডাহাড্ডি ! পায়েল পাড়ার নিশাপতি বাবুর একমাত্র মেয়ে। নিশাপতি বাবুর আলুর তিনটে কোল্ড স্টোরেজ আছে। এবং তিনিই এই ক্লাবের প্রধান-পৃষ্ঠপোষক। পায়েল পাড়ার সব থেকে উঁচু বাড়ীটার চারতলায় থাকে এবং রোজ সকালে ব্যালকনি তে শর্ট প্যান্ট পরে কানে মোবাইল নিয়ে হুশ হুশ করে নীচের রাস্তা দিয়ে যাওয়া বাইক আরোহীদের উদ্দ্যেশ্যে হাত নাড়েন। একটা প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় সেম এর ছাত্রী। পিয়ালিও কিছু কম যায়না। মেদহীন স্লিম সুঠাম দেহ, মাথার চুল প্রায় কোমরের আধ হাত নীচে পর্যন্ত ঢেউ খেলানো, এম বি এ এর ফাইনাল ইয়ার এর ছাত্রী, অসম্ভব ভালো গান করে। পায়েল-এর মত মড নয় তবে যথেষ্ট আকর্ষনীয়া। আর রূপে গুণে মধুছন্দা তো সাক্ষাৎ মা সরস্বতী ! কেউ কারো চেয়ে কম যায়না। সুতরাং আবার প্রস্তাব উঠলো তিন জনেই পালা করে সরস্বতী হবে কার্তিক দের মত। কিন্তু মুশকিল হোল এরা কেউ পালা করে সরস্বতী সাজতে চায়না। এদের ফুল টাইম পার্ট চাই ! মহা সমস্যা ! একজন প্রস্তাব দিলো ঠিক আছে, আগামী রোববার পাড়ার সবাই এই তিনজন কে ভোট দেবেন। যিনি সব চেয়ে বেশি ভোট পাবেন, তিনি ই হবেন সরস্বতী অফ দি ইয়ার ! ঠিক হোল রবিবারের আগে পাড়ার প্রত্যেক কে আলাদা আলাদা করে তিনজনের নাম লেখা তিন টি করে কাগজ দেওয়া হবে। কেউ একজনের বেশী কাউকে ভোট দিতে পারবেন না। এবং কাগজের টুকরো গুলো একটি বা কয়েকটি লক্ষ্মীর ভাঁড়ে ঢুকিয়ে দিতে হবে। ঐ দিন ই সন্ধ্যায় গনণা হবে এবং গণনার সময়ে পাড়ার মান্যগণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। মোট ১১৭ টি ভোট পরেছিল। গণনার পরে দেখ গেল, মধুছন্দা ৫২ টি, পায়েল ৪১ টি এবং পিয়ালি ২৪ টি। যাক, দেব-দেবী নির্বাচন পর্ব তো চুকলো। পাড়ার সফট টয়েজ এর কারখানার মালিক তপন বাবু কথা দিলেন, দুর্গার আট টি হাত এবং গণেশের শুঁড় তিনি বানিয়ে দেবেন। পরদিন থেকেই প্র্যাকটিস। মানে পোজ নিয়ে একটানা দাঁড়িয়ে থাকা অভ্যাস করা। কিন্তু কদিন পরেই আবার একটা বিতর্ক। পাড়ার পুরোহিত কানাই বাবুর ফরমান, পুজো যদি হয়, তা সে মৃন্ময়ী বা চিন্ময়ী যে রূপেই হোক, দশমীর দিন বিসর্জন ও দিতে হবে ! এ তো আর এক সমস্যা ! যাই হোক, দেখা গেলো অভিনেতা অভিনেত্রী দের সবাই সাঁতার জানেন। আর কার্তিকের দলে অন্তত ৩ জন লাইফ সেভার সাঁতারু। হাবুল, মানে ক্যাবলা গনেশ তো প্রতিদিন সকালে প্রায় মাঝ গঙ্গা অবধি গিয়ে ফিরে আসে। মধুছন্দা শুধু একটু গাঁইগুই করছিল। সেই কোন ছোটবেলায় শিখেছিলাম, এখন কি মনে আছে ? শোন, সাঁতার কাটা আর সাইকেল চালানো কেউ একবার শিখলে সারা জীবন মনে রাখে। তুই বরং ঐ কার্তিকদের কাউকে নিয়ে ৩/৪ দিন ঝালিয়ে নিস, সবাই এক বাক্যে বলে উঠলো। যাই হোক, দশমীর দিন বিকেল পাঁচটায় বিসর্জন হবে সাব্যস্ত হোল। এদিকে মাস তিনেক রিহার্সালের পরেই দেখা গেল সবাই আধ ঘণ্টা একটানা পোজ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে। তবুও, নির্দেশক মশাই ঝুঁকি না নিয়ে কুড়ি মিনিট অন্তর পর্দা ফেলার নির্দেশ দিয়ে রাখলেন। যাই হোক ষষ্ঠীর দিন রাত আটটায় যে যার পোজ নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং পর্দা উত্তোলন হোল ! বাইরে তখন শ পাঁচেক দর্শক একসঙ্গে হাততালি দিয়ে উঠলেন। এমন অভিনব দূর্গা-দর্শন করে তারা বিমোহিত। সপ্তমীর সকাল থেকে রাত অবধি ও নিশ্চিন্তে কাটলো। খালি হাজার হাজার দর্শকের অসংখ্য ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলকানি তে মাঝে মাঝেই সকলের চোখ একটু পিট পিট করে উঠছিলো ! হাবুল, মানে পাড়ায় ক্যাবলা গণেশ নামে পরিচিত এবং এখানে সাক্ষাৎ গণেশ কে কিন্তু কোন কিছুই এক বিন্দু টলাতে পারেনি। ভীষন সিরিয়াস ভাবে সে এটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিল। সপ্তমীর দিন এবং রাত ও নির্বিঘ্নেই কাটলো এবং দর্শক সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়তেই থাকলো। কেলেঙ্কারি ঘটল অষ্টমীর দিন ! সেবার সন্ধি পূজা ছিল দুপুর বেলায়। পোজ নিয়ে সবাই দাঁড়িয়ে আছে, সন্ধি পূজা এবং জ্যান্ত ঠাকুর দেখতে উপস্থিত দর্শককুল। হঠাৎ কোথা থেকে একটা আরশোলা উড়ে এসে সটান সরস্বতী মধুছন্দার গায়ে এসে পড়ল। বাবা গো ! বলেই লাফিয়ে উঠল মধুছন্দা এবং সঙ্গে সঙ্গে আরশোলাটা মধুছন্দার থেকে উড়ে গিয়ে কানাই বাবুর পুত্রবধু, এখানে লক্ষ্মী র গায়ে এসে বসল। আর যায় কোথায় ! মধুছন্দা তৎকালীন কার্তিকের কোলে, আর লক্ষ্মী কে কাছে টেনে নিয়েছেন স্বয়ং মহিষাসুর মর্দিনী !! দর্শকদের হাসি আর টিটকারির মধ্যে সেক্রেটারি চেঁচিয়ে উঠলেন, পর্দা ফেলো পর্দা ফেলো ! কিন্তু শম্ভু, যার পর্দা ফেলার কথা, সে তো তখন চা খেতে গেছে !! অগত্যা ইলেক্ট্রিসিয়ান বুদ্ধি করে সব অন্ধকার করে দিলো ! যাই হোক, ঘণ্টা খানেক পর আবার আলো জ্বলে উঠলো এবং আবার সবাই জ্যান্ত প্রতিমা দর্শন করতে ভীড় জমালো। নবমীর দিন নতুন করে আর কিছু হয়নি এবং খুব সফল এবং সার্থক ভাবেই এই নতুন থিম সকলেই খুব উপভোগ করেছিল। দশমী। আজ বিসর্জন। সকাল থেকেই সকলের মন খারাপ, বিশেষত ক্যাবলা গণেশ মানে হাবুলের। ঠিক হল যে বিকেল ৫টায় সিমলে থেকে দেব-দেবীরা পোজ নিয়ে একটা লরিতে উঠবেন। বিডন স্ট্রীট থেকে নিমতলা ঘাট আর কতই বা দূর, মিনিট দশেক এর মধ্যেই পৌঁছে যাবে। তারপর নৌকায় উঠে সবাই আবার পোজ নিয়ে দাঁড়াবে। নৌকা নিমতলা থেকে শোভাবাজার ঘাটের কাছাকাছি এলে, সেক্রেটারি মশাই একটা হুইশেল বাজাবেন আর তক্ষুনি সবাই একসঙ্গে পেছন দিকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেবে। সেখানে দু তিনজন লাইফ সেভার থাকবে আর তাছাড়া ক্যাবলা গণেশ একাই দু-তিন জনকে টেনে নিয়ে আসতে পারবে। লরি, শোভাবাজার ঘাটে অপেক্ষা করবে এবং সবাই উঠে এলে, মেয়েরা কাপড় ছাড়ার ঘরে গিয়ে পোশাক পালটে একে একে লরিতে এসে উঠবে। যেমন কথা, তেমনি ভাবেই কাজ এগোচ্ছিল। বিডন ষ্ট্রীট দিয়ে লরি করে যাওয়ার সময় পথের দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অজস্র মানুষ অবাক বিস্ময়ে এই জ্যান্ত দুর্গা দেখে আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠল। নৌকায় উঠে আবার সবাই পোজ নিয়ে দাঁড়ালো এবং নৌকা ধীরে ধীরে শোভাবাজার ঘাটের দিকে চললো। ঘাটের প্রায় একশ ফুট দূরে এসে সেক্রেটারী পিঁ পিঁ করে হুইশেল বাজালেন আর সবাই একসাথে গঙ্গার দিকে পেছন করে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। পাড়ে উঠে, মহিলাদের ঘরে মহিলারা আর পুরুষদের ঘরে পুরুষেরা পোশাক ছাড়তে চলে গেলেন। বাকি সবাই লরির পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। আধ ঘণ্টা খানেক পরে ছেলেরা এবং তার মিনিট দশেক পরে মহিলারাও বেড়িয়ে এলেন। লরি ছাড়ার উপক্রম, হঠাৎ তুলসী মাষ্টার চেঁচিয়ে উঠলেন, হাবুল কোথায়? সত্যি ই তো ! হাবুল তো জল থেকে ওঠেনি ! তবে কি ও অন্য ঘাটে চলে গেল ? “ঐ জন্যেই ওকে সবাই ক্যাবলা বলে !” সেক্রেটারি সাহেব বলে উঠলেন। ঘাট থেকে একশ ফুট দূরে, হাবুলের মত ওস্তাদ সাঁতারু ডুবে যাবে এটা কারোর ই বিশ্বাস হলনা। ব্যাটা ঠিক আবার সাঁতরে নিমতলা ঘাটে গিয়ে উঠেছে ! হৈ চৈ করতে করতে সবাই পাড়ার দিকে রওনা দিলো। পাড়ায় এসে সবাই হাবুলের খোঁজ করতে জানা গেল, হাবুল মোটেই পাড়ায় ফেরেনি। তাহলে ? এবার সবাই খুব ভয় পেয়ে, পুলিস, অ্যাম্বুলেন্স আর বন্দর কর্ত্তীপক্ষ কে জানানো হোল। কাউন্সিলার হারাধন বাবুর তত্বাবধানে সবাই হাবুলের খোঁজে বেড়িয়ে পড়ল। না,হাবুল কোথাও নেই। সমবেত আনন্দ নিমেষে ঢাকা পড়লো গভীর বিষাদে। অবশেষে হাবুলের খোঁজ পাওয়া গেল, তবে দু’দিন পর। ফুলে ঢোল হয়ে যাওয়া হাবুলের দেহটা বরানগরের রতনবাবুর ঘাটে এসে ভিড়েছে। পুলিশের কাছে খবর পেয়ে তুলসী মাষ্টার কে নিয়ে সবাই গেলেন এবং বিস্ময়-বিমূঢ় চোখে সবাই দেখলেন, হাবুল শুঁড় টা অবধি খোলেনি ! সারা জীবন সকলের পরিহাস আর বিদ্রুপের ডাক ক্যাবলা হাবুল শোনার থেকে সিদ্ধিদাতা গণেশ হয়েই চলে গেল হাবুল। সে কখোনোই এটাকে মজা বা নাটক বলে ভাবেনি। যারা তাকে নিয়ে এ যাবৎ বিদ্রুপ করে এসেছেন, তাঁরা ঠিক করলেন বিজয়া সন্মিলনীর দিনটি হাবুলের স্মরণ সভা হবে। ক্লাবের নাম পালটে রাখা হোল, হাবুল স্মৃতি ক্লাব।


1 মতামত:

  1. দেবাশিস কাঞ্জিলাল৯ জুলাই, ২০১৪ এ ৮:০৫ PM

    স্বপন দেবের রম্যরচনা "ওঁ গণেশায় নমোঃ" পড়ে মনে হল যেন এক জীবন্ত নাটক দেখছি ! প্রতি ছত্রে সরসতা মুগ্ধ করল । বিষয়বস্তুর মৌলিকত্ব ভারী মনোগ্রাহী । স্বপন দেব সুরসিক মানুষ,তাঁর চলনে বলনের সেই ছাপ এই লেখাটিতেও পড়েছে ভালো রকম । এই স্যাটায়ারের শেষটা বিয়োগান্তক ভাবে মনে ছায়া ফেলে গেল,সব হাসির আড়ালে কি এমনই দুঃখ থাকে !

    উত্তরমুছুন