অনুবাদ কবিতা - নন্দিনী সেনগুপ্ত

ঘরে ফেরা
নন্দিনী সেনগুপ্ত




ক্লান্ত বেলা শেষে ফিরে আসি ঘরে,

অনুজ্জ্বল পথগুলো ধরে—

ঢেকেছে মেঘ তারাদের আলো,

এত নিকট, তবু সে কোন দূরে হারালো ।

তীব্র চিৎকারে ডাকছে সারমেয়,

রাতের আঁধারে, জেগে আছে কে ও ?
আঁধার ছায়াশরীর হয়ে ধূসর নীল আকাশে,
নিঝুম দাঁড়িয়ে একটা বাড়ি ওপাশে।
সোনালি জানালার তাকে একটা লণ্ঠন রাখা—
ঘুরে চলে রাতের অপরিসর বৃত্তের চাকা।
নেই-মানুষের দেশ যেন, ঘিরে রাখা নামহীন সড়কে-
এই গ্রামেই হয়তো আবার আসবো ফিরে অলখে।
একটা ছোট্ট মেয়ে আমারই মত,
হয়তো তার পায়ে গলানো আমারই জুতো!
হয়তো সে-ই হয়ে উঠেছে আজকের নতুন পথিক।
তোমারই আলো তাকে ঘিরেছে, এগোবার দিশা দেয় ঠিক।


গের্ট্রুড কোলমার রচিত “ঈশ কেঢ়ে মূডে হাঈম” অবলম্বনে লেখা

মূল কবিতা

Ich kehre müde heim zu später Stunde.
Die Straßen schimmerlos, verwölkt die Sterne,
Die Nächste weit, gespenstisch nah die Ferne
Und schreckhaft gellend das Gebell der Hunde.

Es sitz ein Haus geduckt am Himmelsgrunde
Im tiefen Bläulichgrau gleich schwarzem Kerne,
Ein goldenes Fenster bei sich als Laterne,
Durchspäht’s die nächtlich engbegrenzte Runde.

Rings Niemandsland an namenlosen Wegen.
So denkt ich denn, daß Deinem Dorf entgegen
Mit meinem Schuh das liebste Mädchen schreitet,

Daß heute die Pascher du beschleichen müßtest
Und, wie du droben dich zum Gange rüstest,
Dein Licht mich schaut, mir zustrebt und mich leitet.

মূল কবি পরিচিতি

গের্ট্রুড কোলমার, প্রকৃত নাম ছিল গের্ট্রুড ক্যাথি শোৎজিসন্যার। জন্ম মধ্যবিত্ত ইহুদি পরিবারে, ১৮৯৪ সালে বার্লিনে, শৈশবও কেটেছে বার্লিনে। পিতা লূডূঈগ শোৎজিসন্যার ছিলেন পেশায় একজন উকিল। গের্ট্রুড মাতৃভাষা জার্মান (ডয়েশ) ছাড়াও রাশিয়ান ভাষায় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। ১৯১৪-১৫ সাল নাগাদ স্নাতক ডিপ্লোমা করেন ইংরেজি ও ফরাসী ভাষায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে যুদ্ধবন্দী শিবিরে সেনাবাহিনীর হয়ে অনুবাদিকার কাজ করেছেন, যিনি প্রথম জীবনে একজন কিণ্ডারগারটেনের শিক্ষিকা ছিলেন। ১৯১৭ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতার বই। ১৯২০ সালের পর থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে তাঁর কবিতা। সমালোচকরা বলেছিলেন যে গের্ট্রুড ইহুদিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জার্মান ভাষার লেখিকা। ত্রিশের দশকের শেষ দিক থেকে নাৎসি বাহিনীর অত্যাচার জোরদার হতে থাকে ইহুদিদের উপর, সে সময় গের্ট্রুডের বহু কবিতার বই নষ্ট করে ফেলা হয়। নিজের বাসস্থান ছেড়ে বারবার স্থানান্তরিত হতে হয় তাঁকে নাৎসিবাহিনীর হাত থেকে বাঁচবার জন্য। ১৯৪৩ সালের মার্চ মাসের পরে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় না । কার্যকারণ, সূত্র সবই বলছে, সম্ভবত, ওই সময় তিনি নাৎসি বাহিনীর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে গ্যাস চেম্বারে খুন হয়ে যান ।


4 মতামত: