কবিতাঃ জয় সেনগুপ্ত





কবিতাঃ


ভানুদাদাকে ...
জয়ের অসমাপ্ত পত্রপুট



ইংরেজি মতে এখন ২৫শে বৈশাখ এর আনন্দোৎসব শুরু হয়ে গেছে।
ছেলেবেলার মত এখন আর বায়না জুড়ি না
"কেক আনো, রবিঠাকুরের বার্থে ডে কেক কোথায় !! "
এ প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খায় না আর।


কি লিখি বল ত' তোমায়.. 
সবাই লিখছে কবি শ্রেষ্ঠ, গুরুদেব... আর আমি হাসছি।
আমার কাছে তো তোমার
সংজ্ঞা রোজ পালটায় তাই না...?
যে মানুষ বন্ধু, পিতা, প্রেমিক, আবার গুরু চাররূপেই
আমার কাছে সমানভাবে ধরা দেয়....যার কাছ থেকে অকাতরে নিঃসঙ্কোচে
হাত পেতে নেওয়া যায়, 
তাকে জন্মদিনের উপহার দিতে গিয়ে হাত আজ সরছে না।
কি যে দেব আর কতটাই বা দিতে পারি???
আজ আমার শাপমোচনের রাতের কথা খুব বেশী করে মনে পড়ছে...
ফোন তুললাম....আর কোন জড়তা ছিল না।। দ্রবীভূত ভয় কে জয় করে
বাস্তবের সামনে এসে দাঁড়ালাম...
কমলিকা আর অরুনেশ্বরের শাপমোচন হল মিলনে....
আমি সেখানে শেষের কবিতা লিখলাম....
মন খারাপের জমাট মেঘকে অন্ধকারে ছুঁড়ে ফেলে আমার মন-রাজ্যের শিলং
পাহাড়ে বৃষ্টি নামল...
অকারণে ভেজা বালিশটা কে আশ্রয় করলাম!!!
মনে হল, ভানুদাদা তুমি যেন হারিয়ে যাওয়া মকরধ্বজকে রক্তকরবীর
রঙে মাতিয়ে আবার দাঁড়াবার শক্তি দিচ্ছ।।
কৃতজ্ঞতা দেবার দুঃসাহস আমার নেই..
শুধু নতুন মালঞ্চে পুরোনো নীরজার কায়া ছেড়ে জয় ঘুরে দাঁড়ালো উত্তুরে
জানালার দিকে...
এবার বোধহয় অভিসারীর প্রতীক্ষা শুরু মিলনের আকাঙ্খায়।।
ভানুদাদা, এবার তবে আমার মুক্তি হোক।।


2 মতামত:

  1. দেবাশিস কাঞ্জিলাল৫ মে, ২০১৪ এ ৬:০৯ PM

    জয়ের কবিতা মুগ্ধ করল !

    জয়কে শুধু একটি কথা শুধাতে চাই,
    সে কি সত্যি মুক্তি পেতে চায় তাঁর কাছে থেকে ?
    অনেকে চেয়েছে,তবু এখনো পারে নি কেউ,এইটুকু জানি ।

    উত্তরমুছুন
  2. এ মুক্তি ভানুদাদার থেকে নয়, ভানুদাদাকে ছেড়ে আমি কোথাও থকতে পারবো না। এ মুক্তি চেয়েছি নিজের অজ্ঞতা , নিজের অহম বোধ থেকে। নিজেকে আমি ভানুদাদার রচনায় খুঁজে পাই। সেই খুঁজে পেয়ে আবার হারাতে মন চায় না।

    উত্তরমুছুন