হাস্যকৌতুক
দেবাশিস কাঞ্জিলাল
বহুকাল আগে সরকারী দূরদর্শনে একটি গান শুনেছিলাম,সেই গানে নন্দলাল ও দেবদুলাল নামে দু'জন মানুষ এক সৎ-পাত্র নিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন।
খুঁজতে খুঁজতে গানটি পাওয়া গেল ইউ-টিউবে । ১৯৮২ সালে গানটি লিখেছিলেন ও সুর দিয়েছিলেন স্বনামধন্য সলিল চৌধুরী । গাইয়েছিলেন কার্তিক কুমার ও বসন্ত কুমার নামে দুই কৌতুক-শিল্পী ভাইদের দিয়ে ।
গানটির শুরুতে বসন্ত কুমারের একটি প্রস্তাবনা আছে । তবে এখানে কার্তিক কুমারের কন্ঠস্বর নেই, তাঁর পরিবর্তে বসন্ত কুমারের সঙ্গে গানটি গেয়েছিলেন মিঠু রাজ। কারণ রেকর্ডটি করার সময় কার্তিক কুমার প্রয়াত হয়েছিলেন !
কেউ কেউ হয়ত এই গান ও নাচে কিছুটা গ্রাম্যতার আভাস পেলেও পেতে পারেন,
তবু কিছুটা নস্টালজিক হয়েই সেই লিরিক ও গানের লিঙ্কটি আনা হল এখানে ।
আশা, এই পুরোনো গানটি হয়ত ভাল লাগতে পারে কারও কারও ।
নন্দলাল ও দেবদুলাল
ওহে নন্দলাল,
শুনছি নাকি মেয়ের বিয়ে,
তো পাত্র কেমন দেকে এলে ?
পাত্র খুবই ভাল,
খাঁটি সৎ ব্রাহ্মণের ছেলে,
চোখ দুটো যা ট্যারা ,
একটা ঠ্যাঙ খোঁড়া,
রংটা বেজায় কালো,
নইলে পাত্র খুবই ভাল !!
তা হোকগে,
বুঝলে নন্দলাল,
পাত্র তেমন সরেস হলে,
কানা কিংবা খোঁড়াটা কেউ
বিচার করে থোড়া ,
জয় কালি জয় কালি বলে
দাও ঝুলিয়ে দাও ঝুলিয়ে,
বুঝলে নন্দলাল ......।
তবে বুঝলে দেবদুলাল,
আরেকটু দোষ আছে,
তাতে ভাঙ্গছে ব্রাহ্মণের রেয়াজ ...
সুযোগ পেলেই ছেলেটা খাচ্ছে
একটু আধটু পেঁয়াজ,
একটু আধটু পেঁয়াজ !
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
ভেঙ্গে ব্রাহ্মণের রেয়াজ
ছেলে কি না খাচ্ছে পেঁয়াজ ... !
না না না না, বুঝলে দেবদুলাল,
পেঁয়াজটা তো রোজ খায় না এমনি ভাল ছেলে ...
পেঁয়াজটা খায় মাঝে মধ্যে
মাংস-টাংস খেলে ... মাংস-টাংস খেলে ...।
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
আরে ছি ছি ছি ছি ,
শেষে কিনা পেলে, পেঁয়াজ-খেকো
মাংস-খেকো ছেলে এ এ এ !
না না না না, বুঝলে দেবদুলাল,
মাংসটা তো রোজ খায় না এমনি ভাল ছেলে ...
মাংসটা খায় মাঝে মধ্যে নেশা টেশা করলে,
নেশা টেশা করলে ...।
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
আরে ছো ছো ছো ছো --
শেষে কিনা পেলে পেঁয়াজ-খেকো,
মাংস-খেকো, মোদো-মাতাল ছেলে এ এ এ !
না না না না বুঝলে দেবদুলাল,
নেশাটা তো রোজ করে না এমনি ভাল ছেলে ...,
নেশা করে মাঝে মধ্যে কুসঙ্গে-টুসঙ্গে গেলে,
এ এ ...কুসঙ্গে-টুসঙ্গে গেলে .. !
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল,
আরে ছে ছে ছে ছে --
শেষে কিনা পেলে পেঁয়াজ-খেকো
মাংস-খেকো মোদো-মাতাল চরিত্রহীন ছেলে এ এ এ !
না না না না বুঝলে দেবদুলাল, -
কুসঙ্গে তো রোজ যায় না এমনি ভাল ছেলে ... ...
কুসঙ্গে যায় ওয়াগান ভেঙ্গে টাকা পয়সা পেলে
এ এ ...টাকা পয়সা পেলে ...!
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা,
শেষে কিনা পেলে পেঁয়াজ-খেকো মাংস-খেকো
মোদো-মাতাল চরিত্রহীন ওয়াগান-ভাঙ্গা ছেলে এ এ এ !
না না না না বুঝলে দেবদুলাল ,
ওয়াগানটা তো রোজ ভাঙ্গে না এমনি ভাল ছেলে ...
ওয়াগান ভাঙ্গে মাঝে মধ্যে ......,
ওয়াগান ভাঙ্গে মাঝে মধ্যে বাইরে-টাইরে গেলে,
কেননা তার বেশির ভাগই সময় কাটে
আলিপুরের জেলে এ এ ...
আলিপুরের জেলে ... !
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
আরে তউবা তউবা তউবা,
এতো দেখছি এক্কেবারে হাড়-হাভাতে ছেলে !
না না না না বুঝলে দেবদুলাল,
এখন সে আর নেইকো জেলে এমনি ভাল ছেলে ...
এখন সে আর নেইকো জেলে এমনি ভাল ছেলে --
এবার ইলেকশনে দাঁড়িয়েছে সে মন্ত্রী হবে বলে,
বুঝলে, ইলেকশনে দাঁড়িয়েছে সে মন্ত্রী হবে বলে
এ... এ ...মন্ত্রী হবে বলে !
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
এতো দেখছি খাসা ছেলে ...
মন্ত্রী কি এম-এল-এ হলে
সব কলংক যাবে চলে
মন্ত্রী কি এম-এল-এ হলে
সব কলংক যাবে চলে ...
জয় কালি জয় কালি বলে
দাও ঝুলিয়ে দাও ঝুলিয়ে,
জয় কালি জয় কালি বলে
দাও ঝুলিয়ে দাও ঝুলিয়ে,
কি না বুঝলে নন্দলাল ......
তা ঠিক বলেছ দেবদুলাল
কি না বুঝলে নন্দলাল ......
তা ঠিক বলেছ দেবদুলাল !
কি না বুঝলে নন্দলাল ......
তা ঠিক বলেছ দেবদুলাল !!
ইউটিউব ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক্ করুন ...
দেবাশিস কাঞ্জিলাল
বহুকাল আগে সরকারী দূরদর্শনে একটি গান শুনেছিলাম,সেই গানে নন্দলাল ও দেবদুলাল নামে দু'জন মানুষ এক সৎ-পাত্র নিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন।
খুঁজতে খুঁজতে গানটি পাওয়া গেল ইউ-টিউবে । ১৯৮২ সালে গানটি লিখেছিলেন ও সুর দিয়েছিলেন স্বনামধন্য সলিল চৌধুরী । গাইয়েছিলেন কার্তিক কুমার ও বসন্ত কুমার নামে দুই কৌতুক-শিল্পী ভাইদের দিয়ে ।
গানটির শুরুতে বসন্ত কুমারের একটি প্রস্তাবনা আছে । তবে এখানে কার্তিক কুমারের কন্ঠস্বর নেই, তাঁর পরিবর্তে বসন্ত কুমারের সঙ্গে গানটি গেয়েছিলেন মিঠু রাজ। কারণ রেকর্ডটি করার সময় কার্তিক কুমার প্রয়াত হয়েছিলেন !
কেউ কেউ হয়ত এই গান ও নাচে কিছুটা গ্রাম্যতার আভাস পেলেও পেতে পারেন,
তবু কিছুটা নস্টালজিক হয়েই সেই লিরিক ও গানের লিঙ্কটি আনা হল এখানে ।
আশা, এই পুরোনো গানটি হয়ত ভাল লাগতে পারে কারও কারও ।
নন্দলাল ও দেবদুলাল
ওহে নন্দলাল,
শুনছি নাকি মেয়ের বিয়ে,
তো পাত্র কেমন দেকে এলে ?
পাত্র খুবই ভাল,
খাঁটি সৎ ব্রাহ্মণের ছেলে,
চোখ দুটো যা ট্যারা ,
একটা ঠ্যাঙ খোঁড়া,
রংটা বেজায় কালো,
নইলে পাত্র খুবই ভাল !!
তা হোকগে,
বুঝলে নন্দলাল,
পাত্র তেমন সরেস হলে,
কানা কিংবা খোঁড়াটা কেউ
বিচার করে থোড়া ,
জয় কালি জয় কালি বলে
দাও ঝুলিয়ে দাও ঝুলিয়ে,
বুঝলে নন্দলাল ......।
তবে বুঝলে দেবদুলাল,
আরেকটু দোষ আছে,
তাতে ভাঙ্গছে ব্রাহ্মণের রেয়াজ ...
সুযোগ পেলেই ছেলেটা খাচ্ছে
একটু আধটু পেঁয়াজ,
একটু আধটু পেঁয়াজ !
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
ভেঙ্গে ব্রাহ্মণের রেয়াজ
ছেলে কি না খাচ্ছে পেঁয়াজ ... !
না না না না, বুঝলে দেবদুলাল,
পেঁয়াজটা তো রোজ খায় না এমনি ভাল ছেলে ...
পেঁয়াজটা খায় মাঝে মধ্যে
মাংস-টাংস খেলে ... মাংস-টাংস খেলে ...।
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
আরে ছি ছি ছি ছি ,
শেষে কিনা পেলে, পেঁয়াজ-খেকো
মাংস-খেকো ছেলে এ এ এ !
না না না না, বুঝলে দেবদুলাল,
মাংসটা তো রোজ খায় না এমনি ভাল ছেলে ...
মাংসটা খায় মাঝে মধ্যে নেশা টেশা করলে,
নেশা টেশা করলে ...।
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
আরে ছো ছো ছো ছো --
শেষে কিনা পেলে পেঁয়াজ-খেকো,
মাংস-খেকো, মোদো-মাতাল ছেলে এ এ এ !
না না না না বুঝলে দেবদুলাল,
নেশাটা তো রোজ করে না এমনি ভাল ছেলে ...,
নেশা করে মাঝে মধ্যে কুসঙ্গে-টুসঙ্গে গেলে,
এ এ ...কুসঙ্গে-টুসঙ্গে গেলে .. !
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল,
আরে ছে ছে ছে ছে --
শেষে কিনা পেলে পেঁয়াজ-খেকো
মাংস-খেকো মোদো-মাতাল চরিত্রহীন ছেলে এ এ এ !
না না না না বুঝলে দেবদুলাল, -
কুসঙ্গে তো রোজ যায় না এমনি ভাল ছেলে ... ...
কুসঙ্গে যায় ওয়াগান ভেঙ্গে টাকা পয়সা পেলে
এ এ ...টাকা পয়সা পেলে ...!
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা,
শেষে কিনা পেলে পেঁয়াজ-খেকো মাংস-খেকো
মোদো-মাতাল চরিত্রহীন ওয়াগান-ভাঙ্গা ছেলে এ এ এ !
না না না না বুঝলে দেবদুলাল ,
ওয়াগানটা তো রোজ ভাঙ্গে না এমনি ভাল ছেলে ...
ওয়াগান ভাঙ্গে মাঝে মধ্যে ......,
ওয়াগান ভাঙ্গে মাঝে মধ্যে বাইরে-টাইরে গেলে,
কেননা তার বেশির ভাগই সময় কাটে
আলিপুরের জেলে এ এ ...
আলিপুরের জেলে ... !
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
আরে তউবা তউবা তউবা,
এতো দেখছি এক্কেবারে হাড়-হাভাতে ছেলে !
না না না না বুঝলে দেবদুলাল,
এখন সে আর নেইকো জেলে এমনি ভাল ছেলে ...
এখন সে আর নেইকো জেলে এমনি ভাল ছেলে --
এবার ইলেকশনে দাঁড়িয়েছে সে মন্ত্রী হবে বলে,
বুঝলে, ইলেকশনে দাঁড়িয়েছে সে মন্ত্রী হবে বলে
এ... এ ...মন্ত্রী হবে বলে !
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
অ্যাঁ, বল কি নন্দলাল !
এতো দেখছি খাসা ছেলে ...
মন্ত্রী কি এম-এল-এ হলে
সব কলংক যাবে চলে
মন্ত্রী কি এম-এল-এ হলে
সব কলংক যাবে চলে ...
জয় কালি জয় কালি বলে
দাও ঝুলিয়ে দাও ঝুলিয়ে,
জয় কালি জয় কালি বলে
দাও ঝুলিয়ে দাও ঝুলিয়ে,
কি না বুঝলে নন্দলাল ......
তা ঠিক বলেছ দেবদুলাল
কি না বুঝলে নন্দলাল ......
তা ঠিক বলেছ দেবদুলাল !
কি না বুঝলে নন্দলাল ......
তা ঠিক বলেছ দেবদুলাল !!
ইউটিউব ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক্ করুন ...
দেবাশীষবাবুর মনোরম লেখাটি আমার বয়স বেশ কয়ক বছর কমিয়ে দিল। কার্তিক কুমার বসন্ত কুমার জুটি আমাদের যৌবন বয়সে খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। তাঁদের গাওয়া "কপালের পাথরটা কে সরাই কেমন করে? জ্যোতিষী বিধান দিলেন দেখো পাথর পরে" গানটি আজও কানে বাজে।
উত্তরমুছুননারায়ন বাবুর ভাল লাগা আমাকে ভারী খুসি করল ! তাঁকে ধন্যবাদ ।
মুছুনতবে আমি সবাইকে অনুরোধ করব ইউটিউবে এই নন্দলাল-দেবদুলাল শুনতে শুনতে লেখাটি পড়লে ভালো লাগবে আরো ,এ কথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।