কবিতা - শ্যাম চৌধুরী

সংলাপ না প্রলাপ ...
শ্যাম চৌধুরী



কুরুক্ষেত্রের শেষ পর্যায়
পিতামহ শর শয্যায় ইচ্ছামৃত্যুর অপেক্ষা
শুভক্ষণের প্রতীক্ষা জল ...
একটু জল কিঞ্চিত কোলাহল
এলেন অর্জুন, দিলেন অর্ঘ্য
আজ যে সবই মহার্ঘ্য
সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত্রি
শূণ্যপানে চেয়ে একদল যাত্রী
বিনা যুদ্ধে আজও কি কেউ দেয় মেদিনী
মহা এই ভারতে আজ চতুর্দিকে শকুনী,
কোথায় আজ অনুশাসন
শোষণের অভিযানে ঘুরে বেড়ায় দুঃশাসন
উল্টে যাচ্ছে পাশা
নিভে যায় আশা
যখন তখন বস্ত্রহরণ, কেঁদে ফেরে দ্রৌপদী
বুদ্ধি শুদ্ধি লোপ, মস্তিষ্কে শুধুই দুর্মতি...
কোথায় দাদা, যুধিষ্ঠির,
আর তো পারিনে থাকতে স্থির
ফিসফিসিয়ে আর নয় ... ইতি গজ
বেজে উঠেছে দুন্ধুভি ... সাজো সাজো
হে ভীম, দেখি না যে তোমার গদা
চারিদিকে শুধু দাদা আর দাদা
এলো চুলে আর থাকে না পাঞ্চালী
যখন তখন মারবে টান তা সে
হোক না রাজপথ কিংবা শূণ্য গলি
তখন ছিল জুড়ি সহদেব –নকুল
আজ সম্পর্কে ফাটল- অহিনকুল
তীর ভাঙ্গা ঢেউ
দেখছে না তো কেউ
কোথা তুমি কৃষ্ণ, কোথা সুদর্শন
হায় হায় চারিধার, হচ্ছে মার্গদর্শন
ধৃতরাষ্ট্ররাই দেখি দলে ভারী
চোখেতে বস্ত্র বেঁধে শত শত গান্ধারী
ম্যায় বিবশ হুঁ---
চুলোয় যাক যত পাণ্ডু
উরু ভেঙে স্থাণুবৎ দুর্যোধন
তাতেও কমে না তর্জন গর্জন
যাক গে বাপু, কোরো না রাগ
মাছ ঢাকতে এই নাও কয়েক আঁটি শাক
ওরে পাগল যায় বললেই কি যায় ঢাকা
নটে গাছ মুড়িয়ে সব হচ্ছে ফাঁকা
কমে যাচ্ছে জল
হচ্ছে যে বহুতল
ন্যাড়া বারে বারে যায় বেলতলায়
জীবন যুদ্ধে শুধু হায় হায়
চলে গেলো দেওয়ালী
কেউ ফাটালো, কারুর বা ফাটলো
হোলো পকেট খালি
এমনি করে কি যায় দিন
প্রলোভন, কম সুদ...বাড়ে শুধু ঋণ
বাজারে লেগেছে আগুন
শাক, পাতা থেকে মায় লঙ্কা, রসুন
পেঁয়াজ করছে পেঁয়াজী
বেঁচে থাকতে সবাই রাজি, অতঃ কিম্ !
পড়ছে হিম
এবার আর পড়বে না শীত
বাজার গরম, খেলছি চু কিৎ কিৎ
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শেষ
সব শোধ বোধ
ধূ ধূ মাঠ---ফাঁকা
খেয়ে ভ্যাবাচ্যাকা হতবাক ...
এক দঙ্গল নির্বোধ ।।


1 মতামত: