কবিতা - প্রদীপ বসু



ক্ষণিকের অভিলাষ
প্রদীপ বসু


অনেকদিন পরে এক সন্ধেবেলায় সবাই মিলিত হওয়ার প্রয়াস সার্থক হল
রবীন্দ্রসদনে গুরুদেবের পায়ের তলায় বৃত্তাকারে বসলাম সকলে,
মেয়েরাও পাশাপাশি বসল
 বাদামের ঠোঙাগুলো মাঝখানে রেখে তাকে ঘিরে মেয়েরা এবং তাদের মাঝে আমরা পুরুষরা বসলাম
আড্ডা চলছিল নিজের ছন্দে, গল্প-হাসি-ঠাট্টা-মজায়
আড্ডার মাঝেই হাত বাড়িয়ে বাদাম নেওয়ার সময়ে আমার তপ্ত নিঃশ্বাস বারে বার তোমার পিঠের ওপরে
 অগোছালো খোলা চুল তোমার ডিপ-কাট ব্লাউজের পিঠটাকে আড়াল দিতে নারাজ
অমন করে কোন দৃষ্টিতে তাকাচ্ছো?
 আমারই স্বপ্নের মেঘবালিকা একদিন ছিলে
এই কালো আয়ত চোখের ভাষা যেন অন্য রূপ, যা আগে কখনও চোখে পড়েনি
 জোর হাসিঠাট্টার মাঝেই নিভে গেল স্ট্রিট লাইটের আলোটাও
কেউ কেউ হাতড়াতে লাগল হাতের মোবাইল টর্চ,
 তুমি আচম্বিতে টেনে নিলে আমাকে,
 তীব্র চুম্বনের আঘাতে সম্বিত ফিরল ঘটে গেল সব,
 এক নিঃশ্বাসে পান করলে কিছু বাদামের টুকরো আর অধরসুধা

আলো জ্বলে উঠল,
একসাথেই মোবাইলের টর্চ আর স্ট্রিট লাইট

তোমার চোখের চাহনিতে,
 বুকের ওপরে ছলাত ছলাত ধুকপুকুনি
হাঁপর টানছিল হৃদপিণ্ড ফুসফুসের যুগলবন্দী
 তুমি চুপটি করে বসেই আছ আর নিভৃতে নিশ্চিন্তে হজম করছ চুম্বন শোষিত বাদামের টুকরোগুলোর অমৃতসুধা
কিন্তু কেন, তুমি তো জানতেই আমি বিবাহিত, আমি এখন পরপুরুষ
ইউনিভার্সিটি ছাড়ার পরেই তুমি চলে গেছিলে একেবারে বিয়ের মণ্ডপে,
আজও তো একটু আগে আমরা বন্ধু ছিলাম,
তুমি ছিলে আমার স্বপ্নের মেঘবালিকা
 তবে ক্ষণিকের অন্ধকারে আজ তীব্র চুম্বনে কোন চিহ্ন আঁকলে তুমি?


0 মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন