কবিতা - পলা

যখন কবিতা লিখব
পলা
অনেক নদী অনেক গাছ অনেক পাহাড় নিয়ে লিখব ভেবে
মাথায় এক পাহাড় চিন্তা ভাবনা নিয়ে গুছিয়ে বসলাম
যেমন এই একটু আগেই নীহারিকার বাগানের চন্দ্রমল্লিকা
আর ডালিয়ার বাহার দেখে কত কথা বর্ণনা মনে এল
তার সাথে যদিও নিস্প্রাণ টগর গাছটাও এক পাশে ছিল
যার নীচে ফ্যাকাশে সবুজ পাতা পড়ে পচে একাকার
এই অসময়ে বৃষ্টিতে স্যাঁত স্যাঁতে আবহাওয়ায় যা হয়
কিন্তু মিথ্যে বলব না সেই সেবার হুসেন সাগরের ধারে
গাঁদা ফুলের বিশাল সম্ভার দেখে যতটা মন ভরে ছিল
ঠিক ততখানি গাঁদা ফুল এবার তেমন চোখে পড়ল না
আমি আর কতটাই বা দেখেছি হয়ত ডাকবাংলোয় বা
রাজবাড়ীর বাগান আলো করে ফুটেছে তারা রকমারী
এমন তো নয় শুধু আমার মন ভরাতেই তারা ফুটবে
কত মানুষ দেখেছে যেমন দেখে টিউলিপ বা রনডেনড্রন
অন্য কোথাও ফুলের জলসায় মেলায় বাগানে উপত্যকায়
এমন সময় নদী এল নৌকা বুকে জোয়ারে দুকূল ভাসিয়ে
আমার কিন্তু নৌকা চাইই, নইলে বড় ভয় করে নদীকে
সাথে একটা পাহাড় হলে মন্দ হত না কিন্তু পাই কোথায়
পাহাড় কি সব জায়গায় পাওয়া যায় নাকি ভাবলেই হল
এত এলোমেলো চিন্তার মধ্যে তোমার কথাও মনে এল
জানি তোমার কথা মানেই যতরাজ্যের অভিমান রাগ
এত কষ্ট রাখি কোথায় সেই যে তোমার জন্য ধরমশালায়
থাক আমার এই একপেশে লেখায় তোমাকে নিয়ে যাই বলি
সবাই এক বাক্যে মেনে নেবে,হয়ত আমি ঠিক কথাই বলছি
তবে তুমি যখন পড়বে তোমার কথাগুলো বাদ দিয়ে পোড়ো
তাহলে দেখবে লেখাগুলো সত্যি কোনো কবিতার মত লাগবে।


0 মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন