গল্প - সুজয় চক্রবর্তী



ভাড়াটে বৃত্তান্ত
সুজয় চক্রবর্তী



---- বুলু,
----
বল
----
সংসার যে আর চলে না। আমার পা যে কবে ভালো হবে জানি না।....  দুটো বাচ্চা চোখের  সামনে...
---- সবই তো বুঝছি, আমিই বা কী করব, বল না শিখিছি পড়াশুনো, না শিখিছি হাতের কাজ....
----
বলি, তোর শরীলটা তো আছে।
----
কী! সবই তো দিইছি বেচে, শেষে ইজ্জতটাও দিয় দেবো!
----
শোন, তোর শরীল তোরই থাকবে। এই যেমন বাড়ি ভাড়া দেয়, তেমন...
-----
তুমি একথা বলতি পারছো!
-----
আমি বাধ্য হয়ে বলছি, বুলু
()
আগে যখন নতুন ছিল খদ্দের কম আসতো। এখন দিনে তিনবেলাই খদ্দের বুলুর
সংসারের হাল ফিরেছে। স্বামীর পা- ভালো হয়ে গেছে। বুলুর নিজের চেহারাতেও এসেছে জেল্লা। বাচ্চাদুটোও আর খিদের জন্য কাঁদেটাদে না
()
---- বুলু
----
বল
----
বলি, সংসার তো দাঁড়ায় গেছে। আমার পা- এখুন ভালো হয়ে গেছে। তুই ওসব ছেড়ি দে। আমি কাল থেকি আবার কাজে যাবো
বুলু কোনও উত্তর দেয় না। পাশ ফিরেই শুয়ে থাকে
---- ঠিক আছে তো? আর খদ্দের ঢুকাস না।....  কি, কথা বলছিস না কেন?
চিৎ হয়ে শুল বুলু। মুখ খুললো।
----
যে বাড়ি একবার ভাড়া দিয়া শুরু হয়, ফাঁকা থাকলি ভাড়াটে ঠিক খোঁজ নিয়ে চলি আসে


0 মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন