কবিতা - শমীক জয় সেনগুপ্ত

মা

শমীক জয় সেনগুপ্ত


মা, তোমার হাত দুটো পালটে মেয়েদের হাত করে নাও না কেন? মারলে বড্ড লাগে।
মা তোমার আঁচলে গীঁট বাঁধো- আমার পেন্সিল খুঁজে পাচ্ছি না। মা, আজ রাঁধবে না তুমি- আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দাও। মা, আজ খাইয়ে দাও । মা, গল্প বল না- আম্মার গল্পগুলো পুরোনো হয়ে গেছে। মা, আমি আজ লিখেছি... তুমি পড়বে!! মা, আমিও আজ পুরোনো হয়ে গেছি; আমায় নতুন করে নাও।





উদ্ভ্রান্ত

নিস্তব্ধ রাস্তার বুকে চপ্পল চালিয়ে উদ্ভ্রান্ত বেসামাল চরণেরা চারণ হতে চায়; আর বে-আব্রু চাঁদ মাতাল হাওয়ার সাথে আশনাই করে দিক ভুল করিয়েছে এখন আমার। জানিনা যে দিকে তাকিয়েছি, তার আজ কি নাম হয়েছে; নৈঋতে নির্বেদ মনন হোঁচট খাক, চোট পেয়ে রক্ত ঝরাক! তবু গান্ধারীর চোখ অনিশ্চিত অন্ধত্বে অমর হয়ে থাক। চল আমরা গঙ্গার বুকে চুপচাপ হেঁটে আসি রাতে। তারপর মিশে যাব তারাদের সাথে, জনান্তিকে।


মা বাবা ও এক ছেলে আর তার ভালবাসা


আমার সাথে সাথে আরো দুজন আমার সাথে জন্মেছিল। একজন আমার মা, অন্যজন বাবা। আর তাদের সাথে সাথে জন্ম নেয়, বেড়ে ওঠে গাছ গাছালির সম্পর্কেরা। তবু তারা আমার সমব্যাথী নয়। তবু তাদের বয়স আমার ধারে কাছে আসে না। আমি ভালবেসে একটু ঝুঁকেছিলাম। বিশ্বাস করে ঝুঁকিও নিয়েছিলাম- তারা বলে উঠলো, গাছ হও ঝুঁকে যেও না। সময়ের সাথে সাথে তারাও তো পাথর হল, সে পাথরে আমি তবু দাগ নই- দাগ কাটা এ যুগেও কঠিন ভীষণ।


1 মতামত:

  1. দেবাশিস কাঞ্জিলাল১৯ মে, ২০১৫ এ ৮:৫৬ PM

    সুন্দর শব্দের কোলাজ ।
    ভাল লাগল,জয় ।

    উত্তরমুছুন