গল্প - ঋত্বিক দাশ শর্মা

অন্য মুখ 
ঋত্বিক দাশ শর্মা


নিয়নের আলোয় দুজন বসে ড্রিঙ্ক করছে । আর নীচুস্বরে বেশ চাপা কণ্ঠে উত্তেজিত হয়ে কথা বলছে দুজনে এই ড্রিমল্যান্ড বার-এ। সার্ভ করতে করতে রাজু না শোনার ভান করে ওদের দিকে লক্ষ রেখেছিল । তাদের মধ্যে একজনের নাম ‘ভূষণ’ জানা গেল । ও অবাঙ্গালি। আরেকজন বাঙালি, নাম রাজকুমার । এই রাজকুমার যেন দুজনের মধ্যে সুপিরিয়ার, মানে কিছুটা বস গোছের। তা দুজনের আলাপের মধ্যেই ধরা পড়ছে। আর জানা গেল দুজনেই পাকা জুয়াড়ি । এই জুয়ার বিষয়টা কিন্তু অভিনব ! এদের কথা যেভাবে রাজু শুনছিল তাতে ওরা কিছু টের না পেলেও, রাজুর চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় ! আজ রাতেই একটা মার্ডার হতে চলেছে । আর তার সমস্ত প্ল্যান ফোনে ওরা এখানে বসে বসেই পরিচালনা করছে । রাজকুমার বলছে, এবছর এসিয়াডে, আমাদের ঠিক করা অ্যাথলিট পাঠাতে ১৫ লাখ টাকা প্রফিট হবে । তার জন্য যা ব্যবস্থা করার করে ফেলেছি। ভূষণ জিজ্ঞেস করলো, তার মানে ? রাজকুমার মুচকি মুচকি হাসি দিয়ে চোখ বড় বড় করে বলল, যে মেয়েটি ওয়েট লিফটিং ইভেন্টে প্রথম হিসাবে যাওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছে তাকে সরিয়ে ফেললে পরের জনকে সরকার পাঠাতে বাধ্য হবে । আর সেটা আমাদের পছন্দের । তাই নিয়েই বেট হয়েছে সব জায়গায়। আজ রাতেই সেই কাজটা সেরে ফেলা দরকার। হাতে মাত্র আর চার পাঁচটা দিন সময় আছে । পরের লোকটিকে ঠিক করতে আর বেশি সময় পাওয়া যাবে না ! ব্যস তাহলেই আমাদের কাজ সাকসেসফুল !

সল্টলেকের একটা ছোট ফ্ল্যাটে হঠাৎ করে একটি মেয়ে একা এসে থাকতে আরম্ভ করেছে কদিন ধরে। নাম ‘অনুজা’ । সঙ্গে আর কেউ থাকে না, সেটা অবনীবাবু লক্ষ করেছেন । তিনি পাশের ফ্ল্যাটেই থাকেন। বয়সে অনেক ছোট, তার উপর প্রতিবেশী, তাই মাঝে মাঝে খোঁজ নেন। প্রতিদিনের মত আজও তার ঘরে এসে চা খেতে চাওয়ার আবদার করতে এসে নানা কথা বলে গল্প শুরু করলেন । কী রোজগার করে ? আগে যেখানে থাকত সেখানে কী করত? এসব আলাপের সুরে বলতে গিয়ে জানতে পারলেন, তেমন প্রতিষ্ঠিত কোন জায়গায় সে নেই ! একটা NGO তে কাজ করে খোরাকি চলে। বাবা মারা গেছেন অনেক আগে। ওডিশার কটকে দেশের বাড়ি, মা ও ভাই থাকে। ভাই বেকার। খুব লড়াই করে জীবন চালাচ্ছে সে ! ইতিমধ্যে অবনীবাবুর ঘরের চাকরটি ওঁকে ডাকতে এল । অনুজা দরজা খুলে দেয়ার জন্য যেই বেরতে যাবে, তক্ষুনি দুজনেই উঠে খুলতে গিয়ে জোর ধাক্কা লাগল । আসলে এটা একটা চালাকি ! অবনীবাবু চাইছিলেন মেয়েটির অলক্ষে তার ঘরের কোনও জায়গায় একটি শব্দ সংগ্রহ করার খুব ছোট ট্রান্সমিটার জাতীয় ভয়েস রেকর্ডার লুকিয়ে রাখবেন । আর তার জন্যই এই একটা নাটক করা ছাড়া উপায় ছিল না। দীর্ঘদিন কলকাতার গোয়েন্দা দপ্তরে কাজ করছেন। এখন অফিসার হয়েছেন। কাজের দায়িত্ব, কাজের কৌশল একাই সামলান খুব দক্ষতার সঙ্গে । আর কালই এই মেয়েটির ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য আন্তরাজ্যের পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থেকে ছবি সহ ফেক্সটা পেয়ে সব ঠিক করে ফেলেছিলেন নিজেই। তারপর তাঁর চাকররূপী হাবিলদার নকুলকে বলে রেখেছিলেন গল্পের ছলে এলাকায় চুরি ডাকাতির খবর দিয়ে একটু ভয় লাগিয়ে রাখতে, যাতে একটু আতঙ্ক থেকে তাঁর মত একজন ভাল বয়স্ক প্রতিবেশী হিসাবে যখন তখন এই ঘরে আসার অনুমতি আদায় করে নেওয়া যায় অনুচ্চারিত ভাবে। সেই মত তিনি ও নকুল কিছুক্ষণ রঙ চড়িয়ে একথা সেকথা বলে নির্ভেজাল ভাল মানুষের আস্থা ও সম্মান আদায় করে দুজনে বেরিয়ে গেলেন। সারাদিন গড়িয়ে সন্ধে হয়ে রাত বাড়ে। অনুজা শুনতে পেল হঠাৎ ফ্ল্যাটের নীচে কুকুরগুলো খুব ঘেউ ঘেউ শুরু করেছে। পরে পরেই জানলার কাচের শার্শিতে ঠকাঠক আওয়াজ পেয়ে অনুজা সতর্ক হল। একটা ঘর মোছার ওয়াশিং স্টিক নিয়ে আড়ালে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগল। দেখতে পেল একটা লোক জানলা খুলে ঝুপ করে তার ঘরে লাফিয়ে পরছে অনায়াসে ! এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে ঝাঁপিয়ে পড়ল সে। আগন্তুকের ঘাড়ের কাছে মোক্ষম একটা রদ্দা মারতে গিয়ে অন্ধকারে ঠিক জায়গায় পড়ল না । যেটুকু লাগল তাতেই চোরটি প্রায় সম্বিৎ হারায় আরকী !! তারই মধ্যে অনুজা তাকে পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলার পর মনে হল, লোকটা মরে যায়নি তো ?!! চোখে মুখে জলের ঝাপটা দিয়ে দেখলো ঠিক কতটা ঘায়েল হয়েছে । তারপর লোকজন ডেকে পুলিশে খবর দেবে ঠিক করছে মনে মনে । জলের ঝাপটা পেয়ে কিছুটা সম্বিৎ পেয়ে চোরটি তার পায়ে পরে ক্ষমা চাইল, বলল... ‘আসলে সে ভুল বাড়িতে ঢুকে পড়েছে । পাশের বাড়ি অবনিবাবুর। উনি আজ ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলেছেন, এই খবরটা ওঁর বাড়ির কাজের মেয়ে কমলির থেকে পেয়ে অপারেশানটা করতে এসেছিল ওখানেই। গরিব লোক, পেটের দায়ে করছে...ওঁর ক্ষতি সে করতে চায়নি। আর করবেও না...!!’ নিজে গরিব ঘর থেকে উঠে এসেছে বলে এই সমস্ত কথা শোনার পর মনটা একটু নরম হল অনুজার। হাজার হলেও মেয়ে তো! রাত-দুপুরে কথায় কথায় সময় কাটতে লাগল দুজনের। হঠাৎ কোনও একটি কথা প্রসঙ্গে চোরটি বলল, সে পোর্ট্রেট আঁকতে জানে, চাইলে এখুনি অনুজার ছবি এঁকে দিতে পারবে। এই রাত-দুপুরে চোরটি কি অনুজার সাথে ঠাট্টা করছে ? নাকি নেহাতি সহজ সরল ভাল মানুষ, আজ পেটের দায়ে এইসব করে বেড়াচ্ছে, কোনও শিল্প প্রতিভা থাকলেও থাকতে পারে!! এই সব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে অনুজা তাকে পোর্ট্রেট আঁকতে দিতে রাজি হয়ে গেল। চোরটি তখন অনুরোধ করল, পান করার জন্য এক গ্লাস জল আর একটা কাগজ পেন্সিল যদি এনে দেয় সে, তবে এখুনি কাজ শুরু করবে, কারণ ভোর হতে আর বেশি বাকি নেই। অনুজা যেই সেই কাগজ পেন্সিল আনতে ভেতরের ঘরে গেল, সঙ্গে সঙ্গে চোরটি ঘরের কোনায় রাখা একটা ওয়ার্ড্রোবের নিচের ড্রয়ার থেকে একটা পিস্তল বার করে তার থেকে কার্তুজগুলি সরিয়ে নিজের পকেটে নিয়ে নিল। আসলে ওই বিল্ডিং-এর সব কটি ফ্ল্যাটে কমলি কাজ করার সূত্রে ঘরের কোন জিনিস কোথায় থাকে তা জানা ছিল চোররূপী অভিজিতের । অভিজিত CID ইনস্পেক্টর হিসাবে এমন অনেক কাজ করছে। নিজে একজন চিত্রশিল্পী ও নাট্যকর্মী হয়ে ছদ্মবেশে এই ধরনের কাজ করতে গিয়ে, তার ডিপার্টমেন্টের একজন দক্ষ কর্মী হিসাবে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। এবারেও তাই পাশের ফ্ল্যাটের গোয়েন্দা অফিসার অবনীবাবুর অনুরোধে কাজটির দায়িত্ব নিয়েছে সে। যাই হোক, অনুজা সেই সব জিনিস নিয়ে ফিরে আসার পর এক মুহুর্ত সময় নষ্ট না করে, তাকে এক জায়গায় বসতে বলে মুখের দিকে তাকিয়ে থাকার ভান করে করে ছবি আঁকা শুরু করে দিল। আসলে ওটা হল একটি অন্য মেয়ের মুখ, যার নাম পূজা সচদেব । যে মেয়েটি ভারতের বেস্ট অ্যাথলিট হিসাবে ওয়েটলিফটিং ইভেন্টে প্রথম হয়ে এশিয়াডে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছিল। প্রতিযোগিতায় যাওয়ার দুদিন আগে ওডিশার ন্যাশনাল অ্যাথলেটিক ক্যাম্পে খুন হয়ে যায়। ছবিটা আঁকার পর অভিজিত অনুজাকে ওটা দেখাতেই, অনুজা প্রায় লাফ দিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ে, খুব শংকিত ভয়ার্ত অবস্থায় বলে ওঠে,

--- এটা কি আমার ছবি হয়েছে নাকি ? আপনি কি আমার সাথে এই রাত-দুপুরে ঠাট্টা করতে এসেছেন নাকি ? অভিজিত বলে, আপনি এতো চমকে গেলেন কেন? আপনি এঁকে চেনেন নাকি?

--- না আমি চিনি না !! এবার বলুন আপনি আসলে কে ??

--- আমি যেই হই না কেন, আপনার মুখের ভাব দেখে আমি ধরে ফেলেছি যে এই মেয়েটিকে আপনি ভাল করেই চেনেন...

--- না আমি চিনি না, আর একটা বাড়তি কথা বললে আমি কিন্তু চিৎকার করে লোক ডাকব! কী চান আপনি ?? অভিজিত বলল, আমি কিছুই চাই না, শুধু আপনাকে একটা গল্প বলে এই মেয়েটাকে যে আপনি চেনেন, তা মনে করিয়ে দিতে চাই।

সেইদিন ওই ড্রিমল্যান্ড বারে ড্রিঙ্ক সার্ভ করতে করতে রাজু শুনতে পেল, একটা ফোন এলো রাজকুমারের মোবাইলে। ওপার থেকে একজন যেন বলছে, ‘সব কাজ হয়ে গেছে, এবার কী করতে হবে ? তা শুনে উত্তেজনায় দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে প্রায় চিৎকার করে রাজকুমার বলে উঠলো,... “ইয়েস !!... ওয়েল ডান !!... এবার বডিটাকে কোনরকমে রাতের অন্ধকারে বাড়ির বাইরে এনে হাপিস করে দাও, তারপর সব দায়িত্ব আমাদের!” রাজু চুপিসাড়ে আরও এগিয়ে গেল দুজনের টেবিলের কাছে। ভূষণ জিজ্ঞেস করল, কি করে পুরো প্ল্যানটা সাকসেসফুল হল ? রাজকুমার বলতে লাগল—পূজা আর অনুজা দুজনে অ্যাথলেটিক ক্যাম্পে রুমমেট । অনুজা গরিব ঘরের মেয়ে । খেলাধুলা করে একটা ভাল চাকরির আশায় বহু দিন ধরে লেগে আছে। কিন্তু পারফর্মেন্স ভালো না হওয়ায় এখন পর্যন্ত কোনও মিটে চান্স পায়নি, আর চাকরিও পায়নি। ফলে ওকে মগজ ধোলাই করে লোভ দেখাতে অসুবিধা হয়নি । বেশ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সে কাজ করতে রাজি হয়ে গিয়েছিল । প্রতিদিনের মত এদিনও রাত্রে খাওদাওয়ার পর পুজা ঘরের নাইট ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে খাবার জলটা যেই খেতে গেছে, অনুজা তার সর্বশক্তি দিয়ে পুজার ঘাড়ের কাছে স্পাইনালকর্ডের একটা স্পেসিফিক পয়েন্টে মোক্ষম এক রদ্দা বসিয়ে দেয়। ব্যস তাতেই কাজ হাসিল। পূজা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এবার অনুজাকে কলকাতায় নিয়ে এসে কদিন অন্য নাম দিয়ে লুকিয়ে রাখা হবে... তার পর সব থিতিয়ে গেলে... ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন ! আর আইন আদালত সব আমরা মাল দিয়ে সামলে নেবো !’ ভূষণ সব শুনে লাফ দিয়ে চেঁচিয়ে উঠে বলল... স্প্লেনডিড !!! রাজকুমার বলল... আস্তে আস্তে... তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি ? এতো চেঁচাচ্ছ কেন ??? আরে বাবা আগে টাকাগুলো হাতে পাই, তারপর না হয় এনজয় করা যাবে !!

অপরাধ করবার আগে অপরাধী কখনো ভেবে দেখেনা তার বা তাদের বুদ্ধির থেকেও অপরাধ দমনকারী সংস্থার লোকেরা তাদের কাজের মান বাড়াতে তাদের থেকেও বেশি বুদ্ধি ধরার ক্ষমতা রাখে। আজ যখন গল্পটা অভিজিত অনুজাকে বলছিল, সে লক্ষ করছিল অনুজা আস্তে আস্তে ওয়ার্ড্রোবের দিকে সরে যাচ্ছে । এটাই যে হবে তা আন্দাজ করে অভিজিত আগেই নিজের কাজ সেরে রেখেছিল । গল্প শেষ হওয়ার আগেই অনুজা ওয়ার্ড্রোবের ভিতর থেকে পিস্তলটা বের করে অভিজিতের দিকে তাক করে বলে, ‘তুমি অনেক বেশি জেনে গেছ, এবার আর কোনও কথা বলতে দিচ্ছি না তোমায়’। অভিজিত হাসতে হাসতে বলল, ‘ওই পিস্তলের কার্তুজগুলি এখন আমার পকেটে !! আর তাছাড়া আমি তো আপনার বিরুদ্ধে এখনো কোনও অভিযোগ করিনি ?! তার মানে আপনি স্বীকার করছেন আপনিই সেই অনুজা??... আর আপনিই পূজাকে খু্নটা করেছেন?’

অনুজা বলল, ‘হ্যাঁ করেছি, আর দরকার হলে আরেকটা করতে আমার দিধা নেই...’
বলে পিস্তলের ট্রিগারে দুবার চাপ দিয়ে বিফল হয়েই... ‘অবনী কাকা... অবনী কাকা... চোর... চোর ঢুকেছে, আমাকে মারতে এসেছে, পুলিশকে খবর দিন না তাড়াতাড়ি..’ এই বলে চিৎকারকরতে লাগলো।

চিৎকার শোনার আগেই অবনীবাবু দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঢুকে অবনিবাবু বললেন, ‘পুলিশ আসছে, তবে চোর ধরতে নয়, তোমাকে আপাতত জেল হেফাজতে সাবধানে নিয়ে যেতে। তার আগে তোমায় বলে রাখি, আমি অবনী জোয়ারদার, কলকাতার ভবানী ভবনে গোয়েন্দা বিভাগে অফিসার পদে আছি। আর ইনি কোন চোর নয়, শ্রী অভিজিত রায়, আমার ডিপার্টমেন্টের ইন্সপেক্টর। ওডিশা থেকে দুদিন আগেই সব ইনফরমেশন দিয়ে আমাদের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল । তাই জন্য আজ সকালেই তোমার ঘরে এসে ওই ভয়েস রেকর্ডারটা লুকিয়ে রেখে গিয়েছিলাম । মেয়ে হয়ে তুমি মা... কাজটা ভাল করনি । যাক, ভুল মানুষ মাত্রেই করে, না জেনে বা কারও পাল্লায় পড়ে। এখন তোমার নিজের আরও বিপদ হতে পারে। তাই আমাদের কাস্টডিতে এখুনি তোমাকে নিয়ে যেতে হবে। বিচারের পর সংশোধনাগারে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করবে’। কথাগুলি শোনার পর অনুজা কাঁদতে কাঁদতে বলল, ‘অবনী কাকা, আপনি আজ আমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ধরে নিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু যারা আমার মত গরিব মেয়েদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে, টাকার লোভ দেখিয়ে এমন জঘন্য কাজটা করতে বাধ্য করল, তারা দেখবেন, ওই টাকার জোরেই আপনাদের কবজা থেকে পালিয়ে যাবে। তাদের কোনও শাস্তি আপনারা দিতে পারবেন না। এই কথার উত্তরে অবনীবাবু তৎক্ষণাৎ কিছুই বলতে পারলেন না।


0 মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন