বাঙালি ফুটবল দর্শকের দর্শন
উৎসব দত্ত
মনেপ্রাণে বাঙালী ফুটবলপ্রেমী
এরা ফুটবলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। ডেডিকেটেড ফুটবল ফলোয়ার বাংলা থেকে বুন্দেশলিগা এদের ঠোঁটে লেগে থাকে। মাঠে নেমে ফুটবলও খেলে এরা বেশ ভালরকম। EPL হোক কিম্বা ময়দানের দলবদল কলকাতার সাংবাদিকরা হাঁড়ির খবরের নামে এদের ঝেঁপে দ্যায়। বাংলা ফুটবল সংস্কৃতি আজও এদের জন্যই জ্বলজ্বল করছে।
টোয়াইলাইট জেনারেশান
এরা ফিফা ১৪ খেলা পাবলিক, এদের ব্রাজুকা থেকে ভুভুজেলা ড্রইংরুমে বিরাজমান। এরা মনে করে ফুটবলটা শুধু বার্সেলোনা খেলে বাকিরা কাতুকুতু। তাই এরা কৃশানু দে, বিকাশ পাঁজি, প্রসূনদা, বাবলুদা, গৌতম সরকার থুড়ি এ প্রজন্মের সত্যদা, বাসুদা, দিপেন্দুদা, অসীমদাদের না চিনলেও মেসি রোনাল্ডোর জাঙ্গিয়ার বুক পকেটে কি আছে সে খবরটি রাখে।
দিলখুশ দর্শক
দিলখুশ ফুটবল দর্শকের সংখ্যা সর্বাধিক। ওয়ার্ল্ড কাপ হোক কিম্বা ইউরো এরা আর কিছু না করুক রাত জেগে খেলা দেখা চাই-ই চাই। পরের দিন ট্রেন বাসে এদের কচাকচি বেশ এন্টারটেনিং লাগে। টাইব্রেকারকে ট্রাইব্রেকার, ব্রাজিলকে বাজিল আর বায়ার্ন মিউনিখকে ব্রায়ান বললে এদের গর্বে বুকের ছাতি ডবল হয়ে যায়। এই গোঁয়ারগোবিন্দরা নিজেদের কখনো স্প্যানিশ, আরজেন্তিয়ান কিম্বা জার্মান বলে hallucinate করে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় একে extra soccer syndrome বলে।
ফুটবল ভিলেন
বাংলা ফুটবলের ভিলেন পেশায় বড় সাংবাদিক বা ক্রিকেট ঐতিহাসিকরা। অর্থাৎ সারা বছর ক্রিকেট কপচিয়ে ওয়ার্ল্ড কাপ, ইউরো কিম্বা নিদেন পক্ষে আইএসএল এলেই এদের ফুটবল প্রেম টসটস করে। আইএসএলের বাজারে এরা একবারের জন্যও লেখে না ইউনাইটেড স্পোর্টস, জেসিটি, মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড, চার্চিল ব্রাদার্সের কথা -- যারা কিনা টাকার অভাবে উঠেই গ্যালো।
পুনশ্চঃ বাঙালি মহিলারাও ফুটবল দেখেন। ইতিহাস অন্তত সে’রম কথা বলে। এই আইএসএলের বাজারে এটা আরও একবার প্রমাণিত। এই সেদিন অ্যাটলেটিকো দে কলকাতার সাথে চেন্নাইের খেলায় এক মহিলা সমর্থক টুইট করেছেন "Fikru is so hot love you Fikru love you ADK love you Dada muaaaah" অর্থাৎ ফুটবল আমাদের বাঙালিদের প্রাণের খেলা ভালোবাসার খেলা। মান্না দের সেই বিখ্যাত গানটি দিয়ে শেষ করলে দাঁড়ায় “সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল” ।
উৎসব দত্ত
মনেপ্রাণে বাঙালী ফুটবলপ্রেমী
এরা ফুটবলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। ডেডিকেটেড ফুটবল ফলোয়ার বাংলা থেকে বুন্দেশলিগা এদের ঠোঁটে লেগে থাকে। মাঠে নেমে ফুটবলও খেলে এরা বেশ ভালরকম। EPL হোক কিম্বা ময়দানের দলবদল কলকাতার সাংবাদিকরা হাঁড়ির খবরের নামে এদের ঝেঁপে দ্যায়। বাংলা ফুটবল সংস্কৃতি আজও এদের জন্যই জ্বলজ্বল করছে।
টোয়াইলাইট জেনারেশান
এরা ফিফা ১৪ খেলা পাবলিক, এদের ব্রাজুকা থেকে ভুভুজেলা ড্রইংরুমে বিরাজমান। এরা মনে করে ফুটবলটা শুধু বার্সেলোনা খেলে বাকিরা কাতুকুতু। তাই এরা কৃশানু দে, বিকাশ পাঁজি, প্রসূনদা, বাবলুদা, গৌতম সরকার থুড়ি এ প্রজন্মের সত্যদা, বাসুদা, দিপেন্দুদা, অসীমদাদের না চিনলেও মেসি রোনাল্ডোর জাঙ্গিয়ার বুক পকেটে কি আছে সে খবরটি রাখে।
দিলখুশ দর্শক
দিলখুশ ফুটবল দর্শকের সংখ্যা সর্বাধিক। ওয়ার্ল্ড কাপ হোক কিম্বা ইউরো এরা আর কিছু না করুক রাত জেগে খেলা দেখা চাই-ই চাই। পরের দিন ট্রেন বাসে এদের কচাকচি বেশ এন্টারটেনিং লাগে। টাইব্রেকারকে ট্রাইব্রেকার, ব্রাজিলকে বাজিল আর বায়ার্ন মিউনিখকে ব্রায়ান বললে এদের গর্বে বুকের ছাতি ডবল হয়ে যায়। এই গোঁয়ারগোবিন্দরা নিজেদের কখনো স্প্যানিশ, আরজেন্তিয়ান কিম্বা জার্মান বলে hallucinate করে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় একে extra soccer syndrome বলে।
ফুটবল ভিলেন
বাংলা ফুটবলের ভিলেন পেশায় বড় সাংবাদিক বা ক্রিকেট ঐতিহাসিকরা। অর্থাৎ সারা বছর ক্রিকেট কপচিয়ে ওয়ার্ল্ড কাপ, ইউরো কিম্বা নিদেন পক্ষে আইএসএল এলেই এদের ফুটবল প্রেম টসটস করে। আইএসএলের বাজারে এরা একবারের জন্যও লেখে না ইউনাইটেড স্পোর্টস, জেসিটি, মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড, চার্চিল ব্রাদার্সের কথা -- যারা কিনা টাকার অভাবে উঠেই গ্যালো।
পুনশ্চঃ বাঙালি মহিলারাও ফুটবল দেখেন। ইতিহাস অন্তত সে’রম কথা বলে। এই আইএসএলের বাজারে এটা আরও একবার প্রমাণিত। এই সেদিন অ্যাটলেটিকো দে কলকাতার সাথে চেন্নাইের খেলায় এক মহিলা সমর্থক টুইট করেছেন "Fikru is so hot love you Fikru love you ADK love you Dada muaaaah" অর্থাৎ ফুটবল আমাদের বাঙালিদের প্রাণের খেলা ভালোবাসার খেলা। মান্না দের সেই বিখ্যাত গানটি দিয়ে শেষ করলে দাঁড়ায় “সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল” ।
Just fatafati boss. Pore valo laglo
উত্তরমুছুনdhonyobaad boss
মুছুনvison bhalo lekhoni tomar...bohu din dhore tomar lekha pori...vison bhalo lage..:)
উত্তরমুছুনthank you so much :)
মুছুন