ভাগাভাগি
(অণুগল্প)
নন্দিনী সেনগুপ্ত
নন্দিনী সেনগুপ্ত
‘দ্যাখ ছোড়দি, রাঙ্গাদি, তুইও দেখে নে একটু, মায়ের গয়নাগাঁটি যা ছিল-- বেশিটাই ভেঙে তোদের দুজনের
বিয়েতে দেওয়া হয়েছিল। বাকি টুকটাক এই যা ছিল, এ-ই সব, দেখে নে একবার --- মায়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সব নাতিনাতনিরা যেন একটা কিছু
চিহ্ন পায়, তাই... ছোড়দি, তুই তো রিয়াকে নিয়ে এলি না! যাই হোক, এই জড়োয়ার ঝুমকো ফুলটা রিয়ার জন্য...’, বলতে থাকে বিজন।
বনানী চোখ তুলে তাকায়, চোখ দুটো চকচক করছে ওর, হাসছে না কাঁদছে?
‘রিয়ার তো এখন পরীক্ষা চলছে’, বলে ওঠে বনানী; কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে, তারপর একটু টেনে টেনে বলে, ‘কিন্তু ভাইয়া, এগুলোই স-অ-ব তো?’
বিজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে, এক পর্দা চড়ে কণ্ঠস্বর, ‘মানে? সব? কী বোঝাতে চাইছিস তুই ছোড়দি? আরও কিছু এখনও আমি লুকিয়ে রেখেছি বলতে চাস?’
এখন বনানী হাসে। বলে ওঠে, ‘দ্যাখ ভাইয়া, এই দ্যাখ মায়ের সেলাইয়ের বাক্সে...
কতরকম কুরুশের ফুলের নকশা, মায়ের নিজের হাতের তৈরি, এই যে... আমি এইগুলো নিচ্ছি, এই সবগুলো ফুল আমার আর রিয়ার। ওই
জড়োয়ার ঝুমকো ফুলটা না হয় তুই বৌমণির জন্য তুলে রাখ, প্লিজ’।
0 মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন