বাতায়ন
বিদিশা সরকার
শব্দের যৌতুক নিয়ে বসে থাকা। বচসাও হয়। তারপর রক্তপাত। মোবাইল
সম্পর্ক। বিফল শ্রাবণ। পদাবলী উইয়ে কাটে। নিমন্ত্রণ রক্ষা করা এবারও হল না।
সেভেন-আপ এর সবুজ বোতল, সরল পানীয়। তার পাশে বসে থাকে ক্রিস্টাল
উচ্ছ্বাস! জলছবি অতীতের দিন। বন্ধুদের কাছে আসা--বিদায়ের পূর্বাভাস জানি।
উপহার স্বর্গীয় তবুও। সম্পর্কের ব্যারিকেডে বকলসের প্রয়োজন এখনও অজানা।
শিখাও জানেনা। শিখা আসে, শিখা কাঁদে, আমাকে বোঝায়। উত্তর কলকাতার
রম্রমে বাজারের কথা বলি। পকেটে খুচরো পড়ে থাকে। সংসার গয়ং-গচ্ছ।
আমাদের ভাষার চাতুরী পাঠঘরে সান দেয়, হাতিয়ার খোঁজে। জরুরী অবস্থা
চালু হলে প্রহরী দাঁড়িয়ে থাকে শিয়রে সটান। চোখে চোখ রেখে মিথ্যার স্পর্ধায়
অনভ্যেস। বিড়াল অপেক্ষা করে, পাতুরির পাতা চেটে খায়। বিড়াল নখর। নিম-
ছাল উঠে যায়, সাবান লাগালে জ্বালা করে। গোপনীয়তার গ্লাসে আবীর মুখার্জি।
সে নামই তো বলেছিল। দু-বছর যোগাযোগ নেই।
এসব-ই ভাষার জাগ্লারি। প্রাণ-ভোমরা কোটরে নিস্পন্দ অথবা ট্রমায়। মনিটরে
গ্রাফিক ওঠানামায় স্টেথোস্কোপ চেপে বসে। ক্রেনের আওয়াজ, কোন উচ্চস্বর
শ্রবনগ্রাহ্য নয় আর। মডিউলেশনের প্রথম পর্যায় এবং ঘোষণা। মস্তিষ্কের দাম
ক্রমবর্ধমান। এস্টিমের ধোঁয়া নিলে পোয়াতি মায়ের উৎপাদন ক্ষমতার হেল-
দোল নেই। কবিতা বানাই। মাইক্রোওভেনে দু-মিনিট। সুখপাঠ্য গরম সুস্বাদু !
darun noy eta purota chute parlo na.annao kobita tomar amake anek besi nara day
উত্তরমুছুন