বুড়ো শিবতলা
দীপাঞ্জন মাইতি
আকাশ চুঁইয়ে রক্ত পড়ছে –
চুঁইয়ে পড়ছে অ্যাসিড,
ওকে বৃষ্টি বলে ভুল করো না,
ঐ যে চুপচাপ একা দাঁড়িয়ে আছে,
ওকে গাছ বলে জড়িয়ে ধরো না...
দীপাঞ্জন মাইতি
আকাশ চুঁইয়ে রক্ত পড়ছে –
চুঁইয়ে পড়ছে অ্যাসিড,
ওকে বৃষ্টি বলে ভুল করো না,
ঐ যে চুপচাপ একা দাঁড়িয়ে আছে,
ওকে গাছ বলে জড়িয়ে ধরো না...
ও গাছ নয়
ও হাজার খুনের সাক্ষী,
আজো আবার একটা খুন হয়েছে –
ও রোজের মত চুপ করে দেখেছে,
ওকে রক্ত মাখিয়ে
গেছে একদল সমাজ রক্ষক,
ও চিরকালের অভ্যেসে আজো
আবার চুপ করে থেকেছে।
কি পাবে বলে?
ঠিক কি পাওয়ার জন্য??
আপন বলতে বাকি কে আছে আর!!
একদিন যা তার গর্ব ছিলো
শূন্য আজ সে অরণ্য....
যারা ছায়া করেছিলো ওর সাথে-
কারো পা সময়ের সাথে তাল
মেলাতে চক্রাকারে চলছে,
কারো হাত অন্যের সুখ সামলাচ্ছে
আর কেউ গোটাটা চিতায় জ্বলেছে...
ও হাজার খুনের সাক্ষী,
আজো আবার একটা খুন হয়েছে –
ও রোজের মত চুপ করে দেখেছে,
ওকে রক্ত মাখিয়ে
গেছে একদল সমাজ রক্ষক,
ও চিরকালের অভ্যেসে আজো
আবার চুপ করে থেকেছে।
কি পাবে বলে?
ঠিক কি পাওয়ার জন্য??
আপন বলতে বাকি কে আছে আর!!
একদিন যা তার গর্ব ছিলো
শূন্য আজ সে অরণ্য....
যারা ছায়া করেছিলো ওর সাথে-
কারো পা সময়ের সাথে তাল
মেলাতে চক্রাকারে চলছে,
কারো হাত অন্যের সুখ সামলাচ্ছে
আর কেউ গোটাটা চিতায় জ্বলেছে...
বড় ভাগ্য করে জন্মেছিলো ও,
একটা কালো জরুল.... আর ভগবান,
হ্যাঁ আজ ঐ কালো পাথরটার দৌলতে-
খুনীগুলোর হাত থেকে বেঁচেছে ওর প্রাণ;
ও আজ মন্দির -
গায়ে অজস্র সুতোর শেকল,
লাল কমলা হাজার রঙের সিঁদুর লাগা,
সে নাকি সবার ভাগ্য ফেরাতে পারে,
কিন্তু ঠিক কি করে!!
সে তো নিজেই হতভাগা...
সে আজ মন্দির, সে আজ সভ্য,
সে আজ পূজ্যো সবার জন্য..
আপন বলতে বাকি কে আছে আর!!
একদিন যা তার গর্ব ছিলো
শূন্য আজ সে অরণ্য....
রোজ তিলে তিলে বহু খুন হয়েছে
ও থামাতে পারে নি,
রোজ অনাথ হয়েছে কত শিকড়-
ও সবেতে মানাতে ছাড়ে নি...
হয়তো সবটাই ভয় বা হয়তো নয়!!
ওর তো ভয় পাওয়ার ছিলো না –
ঔ তো বদলাটা নিতে পারতো
তবে কেনো নিলো না...
ভগবান হবে বলে!! না কি ও গেছে হেরে!!
ও কি চুপ ছিলো চিরকাল -
না কি চুপ হয়েছে বাকি আর কিছু না পেরে!!
জানি না – শুধু জানি
আজ ও মন্দির আজ ও লোকালয়ের অংশ
আজ আর নয় ও বন্য...
আপন বলতে বাকি কেউ নেই ওর!!
একদিন যা তার গর্ব ছিলো
শূন্য আজ সে অরণ্য....
একদিন যা তার গর্ব ছিলো
শূন্য আজ সে অরণ্য....
0 মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন