কবিতাঃ
ঘট সরা
নন্দিনী সেনগুপ্ত
আধেক জীবন কিছু ওঠাপড়া,
সাজিয়ে দিলাম ঘটের উপর সরা,
আমার মত আমায় ভাবতে চাও ?
বাকি আধেক তোমার হল, তাও !
আধেক জীবন কিছু চিত্রপট,
সাজিয়ে দিলাম সরার উপর ঘট।
ভাবনারেখার বাইরে যদি রাখো,
সে আধেকও তোমারি হল,দ্যাখো ।
আধেক জীবন অনেক কলরব
ঘট সরাতে আমেরই পল্লব ।
একলা শালিক দুপুর স্বরলিপি,
আধেক ঘুমের স্বপ্নে তোমার দাবি ?
আধেক জীবন পদ্মপাতার জল,
পূর্ণ ঘটে লক্ষ্মী অচঞ্চল।
নাইরে বেলা, দীর্ঘতর ছায়া।
আধেক আলো মিশেছে কোন মায়া।
আধেক জীবন ছড়িয়ে ইতস্তত,
কুড়িয়ে ভরা ঘট সরাটি যত।
উপবাসের ফুরায় কবে ক্ষণ,
আধেক রূপের মুহূর্ত মোক্ষণ।
পুরো জীবনের মালিক হতে না পারার কষ্টটি,
উত্তরমুছুনবেশ বোঝা গেল কবিতাটিকে পড়ে !
পুরো জীবনের দখল কি কোনদিন পাওয়া যাবে ?
কবিতাটি পড়বার জন্য ধন্যবাদ । পূর্ণতার দিকে মানুষের যাত্রা চলে জীবনভর । কেউ অর্ধেকের মধ্যে, আবার কেউ বা শূন্যতার মধ্যেই পায় পূর্ণতার সন্ধান ।
মুছুনহে পূর্ণ, তব চরণের কাছে যাহা-কিছু সব আছে আছে আছে--
উত্তরমুছুননাই নাই ভয়, সে শুধু আমারই, নিশিদিন কাঁদি তাই।
রবিঠাকুর
আধেক প্রাপ্তির অনুযোগ আর টানাপেড়নে উপাখ্যান এমন সহজ সরল ভাষায় লেখা হয়েছে যা মন কে টানে। ''আধেক জীবন পদ্মপাতার জল, পূর্ণ ঘটে লক্ষ্মী অচঞ্চল'' এই দুটি পংতির মধ্যে দিয়ে প্রাপ্তি সুখ আর অপ্রাপ্তির যে কথা শুনলাম, তাই বোধহয় আমাদের জীবনের সার।
উত্তরমুছুনসাদা চোখে যে কবিতা মন কে ছুঁয়ে যায়, সেই কবিতাই মনে দাগ কাটে।
নন্দিনী সেনগুপ্ত কে শুভেচ্ছা জানাই এমন এক সুন্দর কবিতা উফার দেওার জন্য।
কবিতাটি পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
মুছুনbesh valo laglo didi....
উত্তরমুছুনকবিতাটি পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
মুছুন