পাকা দেখা
উৎসব দত্ত
ছেলের বাড়ি থেকে আজ দেখতে এসেছে। পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপন মারফত দিদি জামাইবাবু
আর ছেলেবেলার বন্ধু রঞ্জনকে নিয়ে সুজয় ।
মাইক্রো-বায়োলজি নিয়ে পড়া মেঘা বাবা
মায়ের একমাত্র আদুরে মেয়ে। খবরের
কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে সুজয়ের মতো পাত্র পেয়েছেন ওঁরা। নাদুশ নুদুস চেহারার সুজয় চার্টড
অ্যাকাউনটান্ট। ভালো
চাকরি করে। বিয়ের
পর বিদেশ চলে যাবে।
স্লিম ফিগারের মেঘা অসম্ভব সুন্দরী। মাথা নিচু করে শাড়ি পরে সোফায় বসে আছে বাবা
মায়ের সাথে । উল্টোদিকের
সোফায় রঞ্জন, সুজয়ের দিদি জামাইবাবু আর সুজয়।
মেঘাকে দেখলে যে কোনো ছেলে প্রেমে পড়বে। ছবি দেখেই মেঘাকে পছন্দ হয়েছিল সুজয়ের। এখন সামনা সামনি দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারছে
না। বরাবরের
শান্ত ভদ্র নম্র সুজয় কোনো মেয়ের দিকে এভাবে আগে তাকায়নি। কিন্তু মুখ ফুটে কি বলা যায়। হাবে ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছে।
বিয়ের দিনক্ষণ প্রায় পাকা। সুজয়ের ঠিক পাশে বসা রঞ্জন বেশ কিছুক্ষণ ধরে
হাঁ করে মেঘার দিকে তাকিয়ে আছে। তাই
দেখে হবু বউয়ের সৌন্দর্যে হাবুডুবু খাওয়া সুজয় রাগে জ্বলছে। অথচ কিছু বলতেও পারছেনা। ছেলেদের এই সমস্যা -
সুন্দরী মেয়ে দেখলেই গলে যায়।
মেঘাও কম যায় না। সুযোগ
বুঝে ঝাড়ি মেরেই চলেছে রঞ্জনের দিকে।
0 মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন