কবিতাঃ
কি যেন নেই
এম . গোলাম মাহমুদ শিশির (বাংলাদেশ)
সেই কবেই কারো দৃষ্টির অঙ্গারে-
পুড়ে গেছে শঙ্খচিলের ডানা।
তবুও প্রগলভ স্বভাবে অর্থহীন উড়ে চলে-
ডানায় বেঁধে মৃত্যুর পরোয়ানা।
অনুভবে বিনম্র অনুরাগ ছুঁয়ে যায়,
নিনাদে কাঁপে ঘুমন্ত চোখ।
দৃষ্টির গভীরে ভাসে ছায়ামুখ কারো;
তবুও হাত খুঁজে পায় না হাতের অস্তিত্ব।
নীল অপরাজিতার ঘ্রাণে-
নেমে আসে তন্দ্রাচ্ছন্ন রাত।
দক্ষিণের বিনম্র ভেজা বাতাস
টেনে আনে ধূসর মেঘমালা।
রাতের আঁচল ছুঁয়ে ওড়ে হিমায়িত অন্ধকার,
আমার স্বপ্নান্ধ দু’টি চোখ।
অলীক তন্দ্রা ভেঙ্গে জেগে উঠি;
মনে পড়ে সেই ধুপছায়া মুখ।
নীলাভ কষ্টের সমস্ত স্মৃতিকনা-
গড়ে তোলে ইস্পাতসম দেয়াল।
অর্থহীন ক্যালিগ্রাফিতে ভরে যায়
সাদা রংয়ের ক্যানভাস।
উড়ন্ত বিকেলের কাছে ভীড় করে-
ঝলসে যাওয়া দুপুরের কান্না।
আমার চেতনার আকাশ জুড়ে-
দেখি ধুলোমাখা মেঘ।
মেঘের প্রচ্ছদ ছিঁড়ে আকাশ ছুঁই;
শুধু ছুঁতে পারিনা তোমাকে!
অশ্বত্থের প্রস্ফুটিত পাতায় জমে একফোঁটা জল
তবুও খুঁজে পাইনা শান্তির সুবর্ণদ্বীপ।
সহস্র আবেগ গায়ে মেখে ষোড়শী চাঁদ-
মায়াজাল বোনে মেঘের সিঁথানে বসে।
পাহাড় মিশে যায় আকাশের নীলে,
তবে সে কেন বাড়ায়না তার নিটোল দু’টি হাত?
শালবনে নড়ে ওঠে পোড়ানো নিলয়,
ঝাঁঝালো বাতাসে শুনি শোঁ-শোঁ শব্দ।
সেই শব্দ রক্তফোঁটা হয়ে-
অবলীলায় ঝরে পড়ে হৃদয় গহীনে।
চৈত্রের খরাবুক তৃষিত বহুদিন,
চোখে দ্রোহের কুয়াশা।
কার্বনের আধিক্য বাতাসে-বাতাসে;
আঘাতে-আঘাতে পরিশ্রান্ত অদৃশ্য অনুভব।
এখনো ঠিক তেমনি দাঁড়িয়ে আছে-
ক্যানভাসের পিছনে উঁকিমারা আকাশ।
এখনো শিহরিত প্লাবন মিশে যায় তেপান্তরে;
তবুও মনে হয় কি যেন নেই!!!
0 মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন