ঠিকানা
নন্দিনী সেনগুপ্ত
আমার ঠিকানা রাখলো লিখে একটি উপলখণ্ড,
আঁচড় কেটে নদীর বুকে,
আখর লিখে, মুহূর্তকে —
বন্দী করে হারায় কোথায়, দাঁড়ায় না এক দণ্ড !
নদী তবু উদাসীনা, গর-ঠিকানা ভালো মন্দ,
বুকের মাঝে স্বর্ণচিহ্ন বয়ে,
নদী, তোমার সময়-অসময়ে-
ভেবেছিলাম সঙ্গে যাবো,- শিখবো চলার ছন্দ ।
ছন্দ জেগে যথা তথা, শেখায় সে কোন জীবন-কুহক;
হাতে নিয়ে যাদুর কাঠি –
অরণ্য বা অগাধ মাটি,
সবার ছন্দ আছে বুঝি নদীর কাছেই বন্ধক !
ছন্দ খুঁজে তারই কাছে, নদীর ভিতর আরেক নদী –
পরজন্মে আমিই হবো –
বারিসম্ভূতা পুনর্ভব !
খুঁজবো না কোন ছন্দ-ঠিকানা, খুঁজবো না কোন বোধি ।
আঁচড় কেটে নদীর বুকে,
আখর লিখে, মুহূর্তকে —
বন্দী করে হারায় কোথায়, দাঁড়ায় না এক দণ্ড !
নদী তবু উদাসীনা, গর-ঠিকানা ভালো মন্দ,
বুকের মাঝে স্বর্ণচিহ্ন বয়ে,
নদী, তোমার সময়-অসময়ে-
ভেবেছিলাম সঙ্গে যাবো,- শিখবো চলার ছন্দ ।
ছন্দ জেগে যথা তথা, শেখায় সে কোন জীবন-কুহক;
হাতে নিয়ে যাদুর কাঠি –
অরণ্য বা অগাধ মাটি,
সবার ছন্দ আছে বুঝি নদীর কাছেই বন্ধক !
ছন্দ খুঁজে তারই কাছে, নদীর ভিতর আরেক নদী –
পরজন্মে আমিই হবো –
বারিসম্ভূতা পুনর্ভব !
খুঁজবো না কোন ছন্দ-ঠিকানা, খুঁজবো না কোন বোধি ।
নন্দিনী সেনগুপ্তর 'ঠিকানা' কবিতাটিতে উৎসমুখের দিকে এক উজান বাওয়ার প্রয়াস দেখে মুগ্ধ হলাম ।ভূতত্ববিদ নন্দিনীর লেখাতে তার অধিগত বিদ্যার ছাপ কি দেখা গেল কিছু ? আমি কিন্তু দেখতে পেয়েছি তা,সামান্য হলেও । সুন্দর কবিতাটি ভাল লাগল বেশ ।
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ দাদা, কবিতাটি পড়বার জন্য। আমি যদি এক মুহূর্তের জন্যেও পাঠককে ভাবাতে পারি, নিজেকে ধন্য মনে করবো ।
মুছুনঅদ্ভুত সুন্দর মায়াজাল সৃষ্টি করা এই কবিতায় গা ভাসিয়ে নিজেকেই মুগ্ধ করলাম।
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ কবিতাটি পড়বার জন্য ! পাঠক মুগ্ধ হলে কবির সৃষ্টি সার্থকতা পায় ।
মুছুন