ভাড়াটে বৃত্তান্ত
সুজয় চক্রবর্তী
---- বুলু,
---- বল।
---- সংসার যে আর চলে না। আমার পা যে কবে ভালো হবে জানি না।.... দুটো বাচ্চা চোখের সামনে...।
----
সবই তো বুঝছি, আমিই বা কী করব, বল। না শিখিছি পড়াশুনো, না শিখিছি হাতের কাজ....
---- বলি, তোর শরীলটা তো আছে।
---- কী! সবই তো দিইছি বেচে, শেষে ইজ্জতটাও দিয় দেবো!
---- শোন, তোর শরীল তোরই থাকবে। এই যেমন বাড়ি ভাড়া দেয়, তেমন...।
----- তুমি একথা বলতি পারছো!
----- আমি বাধ্য হয়ে বলছি, বুলু।
---- বলি, তোর শরীলটা তো আছে।
---- কী! সবই তো দিইছি বেচে, শেষে ইজ্জতটাও দিয় দেবো!
---- শোন, তোর শরীল তোরই থাকবে। এই যেমন বাড়ি ভাড়া দেয়, তেমন...।
----- তুমি একথা বলতি পারছো!
----- আমি বাধ্য হয়ে বলছি, বুলু।
(২)
আগে যখন নতুন ছিল খদ্দের কম আসতো। এখন দিনে তিনবেলাই খদ্দের বুলুর।
সংসারের হাল ফিরেছে। স্বামীর পা-ও ভালো হয়ে গেছে। বুলুর নিজের চেহারাতেও এসেছে জেল্লা। বাচ্চাদুটোও আর খিদের জন্য কাঁদেটাদে না।
(৩)
----
বুলু
---- বল।
---- বলি, সংসার তো দাঁড়ায় গেছে। আমার পা-ও এখুন ভালো হয়ে গেছে। তুই ওসব ছেড়ি দে। আমি কাল থেকি আবার কাজে যাবো।
---- বল।
---- বলি, সংসার তো দাঁড়ায় গেছে। আমার পা-ও এখুন ভালো হয়ে গেছে। তুই ওসব ছেড়ি দে। আমি কাল থেকি আবার কাজে যাবো।
বুলু কোনও উত্তর দেয় না। পাশ ফিরেই শুয়ে থাকে।
----
ঠিক আছে তো? আর খদ্দের ঢুকাস না।.... কি, কথা বলছিস না কেন?
চিৎ হয়ে শুল বুলু। মুখ খুললো।
---- যে বাড়ি একবার ভাড়া দিয়া শুরু হয়, ফাঁকা থাকলি ভাড়াটে ঠিক খোঁজ নিয়ে চলি আসে।
---- যে বাড়ি একবার ভাড়া দিয়া শুরু হয়, ফাঁকা থাকলি ভাড়াটে ঠিক খোঁজ নিয়ে চলি আসে।
0 মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন